কুড়িগ্রামে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২২, ০৬: ৫৯
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৫৩

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় ধরলা নদীর চরে গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজের দুদিন পর কৃষক আজগর আলীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার উত্তর কদমতলা এলাকা থেকে ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজগর আলীর বাড়ি সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের নওয়াবশ গ্রামে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে ধরলার চরে কয়েকটি গরু ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান আজগর। ওই দিন সন্ধ্যার আগে গরুগুলো বাড়িতে ফিরলেও আজগর ফেরেননি। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনুসন্ধান চালালেও খোঁজ মেলেনি আজগরের। পরে গতকাল তাঁর লাশ উদ্ধার হলো।

এদিকে আজগরের মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজগরের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার আগে কেউ তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে থাকতে পারেন।

নিহতের বড় ছেলে আজিজুলের দাবি, ‘বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এক ব্যক্তির জমির ধান খাওয়ায় ওই ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে লাঠি দিয়ে বাবাকে আঘাত করেছিলেন। তাঁর গলায় আমি আঘাতের চিহ্ন দেখেছি।’

বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য ওয়াসিম বলেন, ‘আজগর আলীর গরু স্থানীয় এক ব্যক্তির জমির ধান খাওয়ায় ওই ব্যক্তি নৌকায় করে গিয়ে আজগরকে একটি লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এরপর নদী পার হওয়ার পথে আজগর হঠাৎ নদীতে পড়ে হারিয়ে যান।’

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত