যশোর প্রতিনিধি
যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কংক্রিটের ওপর বীজধান ছিটানো, পাশেই পড়ে আছে লাঙল, কাস্তে, মই, আঁচড়া। এগুলো সবই কৃষিকাজের উপকরণ। আর এগুলোর চারপাশ ঘিরে বসে আছেন কয়েক শ মানুষ। তাঁদের একটাই দাবি, ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ৯টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা এখানে এসে অবস্থান নেন।
এ সময় ভবদহের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রবিউল ইসলাম নামের এক কৃষকের সঙ্গে কথা হয়। রবিউল বলেন, ‘আমরা বাপু ওত রাজনীতি বুঝি না। আমরা কৃষক মানুষ। কৃষিকাজ করেই জীবনযাপন করতে হয় আমাগের। এর ওপরই আমাগের ছেলেপেলের খাওয়া-দাওয়া, পড়ালিখা চলে। তাই আমরা চাই মাঠেত্তে পানি সইরে যাক।’
বিপ্লব কুমার নামের আরেকজন বলেন, ‘কয়েক মাস ধইরে ঘরবাড়িতে উঠতি পারতিছিনে। ঘরের ভেতর মাজা সুমান পানি। রান্নাঘর, গোয়াল, বাথরুম সবই পানির ভেতর। কী কইরে যে আমাগের থাকতি হচ্ছে, তা কেউ বুঝতি পাইরতেছে না। বুঝতি পারলি আমাগের ইরাম দুর্ভোগে থাকতি হইতো না।’
সোমবার যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে (কালেক্টরেট চত্বর) ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচিতে দ্বিতীয় দিনও কয়েক শ কৃষক ও পানিবন্দী নারী-পুরুষ অংশ নেন। তাঁদের সবাই লাঙল, কাস্তে, মই, আঁচড়া নিয়ে নিজেদের দুর্দশার কথা জানাতে মনিরামপুর থেকে এসেছিলেন।
উপস্থিত আন্দোলনকারী সবার একটাই কথা, ‘এবারের অবস্থান কর্মসূচি তত দিন চলবে, যত দিন না পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রনজিৎ বাওয়ালি বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলনের পরও ভবদহের ছিয়ানব্বই গ্রামের মানুষ কোনো সমাধান পায়নি। তাই এবার কঠোর অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমরা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছি; কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হয়নি। ২০২১ সালেই পানিতে ডুবে মারা গেছে ১ শিশুসহ ৪ জন।’
আহ্বায়ক রনজিৎ বাওয়ালি বলেন, ‘নদী মেরে ফেলায় কেশবপুরের ২৭ বিলও জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। তাই এবারের অবস্থান কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য যত দিন পর্যন্ত আমরা সঠিক কোনো সমাধান না পাব, আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভবদহের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ উদ্যোগে সেচ প্রকল্প নেয়। প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও ভবদহ স্লুইসগেট দিয়ে ভবদহবাসীর জন্য কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। নদীর তলদেশ পলিতে ভরে যাওয়ায় বিলের পানি কোথাও যেতে পারছে না।
যার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে এই মুহূর্তে বিল কপালিয়ায় টিআরএম বাস্তবায়ন, নদী রক্ষা, হরি শ্রী নদীতে পড়া পলি অপসারণ ও পলি মাটি নদীগর্ভে নয়-নদী পাড়ের বাইরে ফেলা, পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া টেকা-মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার, আমডাঙ্গা খাল প্রশস্ত ও গভীর করা, আমডাঙ্গা খালের স্লুইসগেটের পূর্বাংশে অবিলম্বে খালের দুপাশে স্থায়ী টেকসই প্রাচীর নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, লুটপাটের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ৫০ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প বাতিল, সমস্ত কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কার্যকরী এবং আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোকে কাজ মনিটরিংয়ের সুযোগ দেওয়ার দাবি করা হয়।’
যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কংক্রিটের ওপর বীজধান ছিটানো, পাশেই পড়ে আছে লাঙল, কাস্তে, মই, আঁচড়া। এগুলো সবই কৃষিকাজের উপকরণ। আর এগুলোর চারপাশ ঘিরে বসে আছেন কয়েক শ মানুষ। তাঁদের একটাই দাবি, ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ৯টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা এখানে এসে অবস্থান নেন।
এ সময় ভবদহের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রবিউল ইসলাম নামের এক কৃষকের সঙ্গে কথা হয়। রবিউল বলেন, ‘আমরা বাপু ওত রাজনীতি বুঝি না। আমরা কৃষক মানুষ। কৃষিকাজ করেই জীবনযাপন করতে হয় আমাগের। এর ওপরই আমাগের ছেলেপেলের খাওয়া-দাওয়া, পড়ালিখা চলে। তাই আমরা চাই মাঠেত্তে পানি সইরে যাক।’
বিপ্লব কুমার নামের আরেকজন বলেন, ‘কয়েক মাস ধইরে ঘরবাড়িতে উঠতি পারতিছিনে। ঘরের ভেতর মাজা সুমান পানি। রান্নাঘর, গোয়াল, বাথরুম সবই পানির ভেতর। কী কইরে যে আমাগের থাকতি হচ্ছে, তা কেউ বুঝতি পাইরতেছে না। বুঝতি পারলি আমাগের ইরাম দুর্ভোগে থাকতি হইতো না।’
সোমবার যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে (কালেক্টরেট চত্বর) ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচিতে দ্বিতীয় দিনও কয়েক শ কৃষক ও পানিবন্দী নারী-পুরুষ অংশ নেন। তাঁদের সবাই লাঙল, কাস্তে, মই, আঁচড়া নিয়ে নিজেদের দুর্দশার কথা জানাতে মনিরামপুর থেকে এসেছিলেন।
উপস্থিত আন্দোলনকারী সবার একটাই কথা, ‘এবারের অবস্থান কর্মসূচি তত দিন চলবে, যত দিন না পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রনজিৎ বাওয়ালি বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলনের পরও ভবদহের ছিয়ানব্বই গ্রামের মানুষ কোনো সমাধান পায়নি। তাই এবার কঠোর অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমরা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছি; কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হয়নি। ২০২১ সালেই পানিতে ডুবে মারা গেছে ১ শিশুসহ ৪ জন।’
আহ্বায়ক রনজিৎ বাওয়ালি বলেন, ‘নদী মেরে ফেলায় কেশবপুরের ২৭ বিলও জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। তাই এবারের অবস্থান কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য যত দিন পর্যন্ত আমরা সঠিক কোনো সমাধান না পাব, আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভবদহের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ উদ্যোগে সেচ প্রকল্প নেয়। প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও ভবদহ স্লুইসগেট দিয়ে ভবদহবাসীর জন্য কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। নদীর তলদেশ পলিতে ভরে যাওয়ায় বিলের পানি কোথাও যেতে পারছে না।
যার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে এই মুহূর্তে বিল কপালিয়ায় টিআরএম বাস্তবায়ন, নদী রক্ষা, হরি শ্রী নদীতে পড়া পলি অপসারণ ও পলি মাটি নদীগর্ভে নয়-নদী পাড়ের বাইরে ফেলা, পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া টেকা-মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার, আমডাঙ্গা খাল প্রশস্ত ও গভীর করা, আমডাঙ্গা খালের স্লুইসগেটের পূর্বাংশে অবিলম্বে খালের দুপাশে স্থায়ী টেকসই প্রাচীর নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, লুটপাটের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ৫০ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প বাতিল, সমস্ত কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কার্যকরী এবং আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোকে কাজ মনিটরিংয়ের সুযোগ দেওয়ার দাবি করা হয়।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে