অনন্যা দাস
ব্রুস লি। নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মেদহীন ছিপছিপে এক মানুষের ছবি, যিনি খালি খালি দুখানা হাত দিয়ে পিটিয়ে চলেছেন প্রতিপক্ষের খারাপ মানুষদের! ব্রুস লি মানেই কারাতের জবরদস্ত এক প্রদর্শনী। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিপক্ষের যম এ মানুষটি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। তাঁর আত্মবিশ্বাসের কাছেই অর্ধেক মানুষ কুপোকাত হয়ে যায়।
ব্রুস লি কারাতে বিষয়টিকে পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় করে তুললেও শব্দটি জাপানি ভাষার। এর বাংলা অর্থ ‘খালি হাতে’। কারাতে জিনিসটাও মূলত খালি হাতে আত্মরক্ষার এক সুপ্রাচীন কৌশল।
বলে রাখা ভালো, কারাতে শুধু পুরুষ মানুষের আত্মরক্ষার কৌশল নয়। একসময় তেমন একটি সংস্কার থাকলেও এখন এটি নারী, পুরুষ, শিশু বা যে কারও শেখার বিষয়।
কেন শিখবেন কারাতে
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদপত্রে আমরা নারীদের সঙ্গে হওয়া বিভিন্ন ঘটনার কথা পড়ছি ও দেখছি। এসব নেতিবাচক সংবাদ আমাদের পথঘাটে চলাচলের সময় আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। ফলে নারীরা রাস্তায় একা চলাচলের সময় অসহায় বোধ করেন। কোনো ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে ঠান্ডা মাথায় সেটা মোকাবিলা করতে পারেন না।
আমাদের দেশের নারীরা শারীর গঠনের পদ্ধতিগত কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকেন না বললেই চলে। ফলে বয়স তিরিশ পেরোতেই বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন তাঁরা।
অন্যদিকে শহরের রাস্তায় চলাচলে অনেক সময় বিভিন্ন অনিরাপদ ও বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। সেসব ক্ষেত্রে নিজের শক্তির ওপর আত্মবিশ্বাস থাকলে আরও সহজে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই।
কারাতে শিখলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হলে সেটা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করা এবং পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখলে কী করবেন, ঠান্ডা মাথায় তা ভাবতে পারবেন। কারণ কারাতের চর্চা শুধু আত্মরক্ষা করতেই শেখায় না, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেও শেখায়।
এ প্রসঙ্গে কথা হয়, বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের প্রশিক্ষক রেজাউল করিমের সঙ্গে। তাঁর মতে, শারীরিক ফিটনেস বাড়াতে ইদানীং কারাতে শেখার আগ্রহ বাড়ছে; বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এই আগ্রহ বেশি কাজ করছে। শুধু তা-ই নয়, শহরে বাইরে খেলাধুলার পরিবেশের অভাব থাকায় বেশির ভাগ শিশু শারীরিক চর্চার সঙ্গে জড়িত নেই। তাই বিকল্প হিসেবে অনেক মা-বাবা তাঁদের সন্তানকে কারাতে শেখাতে উৎসাহ বোধ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল থেকেও আজকাল শিক্ষার্থীদের ফিটনেস বাড়াতে কারাতে শেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সপ্তাহজুড়ে কিংবা ছুটির দিনে
কর্মজীবী নারীরা সাধারণত নিজেদের ছুটির দিনগুলোতে ক্লাস করার চেষ্টা করে থাকেন। আবার অনেক মা নিজেদের মেয়েশিশুদের ছোট থেকেই কারাতে শেখাতে দিয়ে দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে মেয়েশিশুদের জন্য আলাদা করে কোনো ক্লাসের ব্যবস্থা নেই। তবে একটু বড় হওয়ার পরে ছেলে আর মেয়েদের আলাদাভাবে কারাতে শেখানো হয় বলে জানালেন রেজাউল করিম।
শেখার বয়স ও ফিটনেস
মূলত চার বছরের ওপরে বয়স এমন যে কেউ চাইলে কারাতে প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে পারবে। কারাতে শেখার জন্য আগে থেকেই নির্দিষ্ট মাত্রার ফিটনেস থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।
রেজাউল করিম জানান, কারাতে শিক্ষার মাধ্যমে মোটামুটি ধরনের ফিটনেস পেতে আনুমানিক তিন থেকে ছয় মাস লেগে যেতে পারে। কে কত দ্রুত জিনিসগুলো রপ্ত করতে পারছে, সেটা নির্ভর করে তারা কতটুকু নিয়মিত অনুশীলন করছে, সেটার ওপর। আর কারাতের সর্বোচ্চ সম্মাননা বা ব্ল্যাক বেল্ট পেতে সাধারণত লেগে যায় দুই বছর। এরপরও কেউ চাইলে কারাতে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারে।
কোথায় শিখবেন
ঢাকায় কারাতে শেখার অনেক প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। আত্মরক্ষার জন্য বলা হলেও কারাতে খেলা, ব্যায়াম এমনকি চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও বিখ্যাত। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে সপ্তাহে ছয় দিন কারাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মিরপুর ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, কমলাপুর, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে কারাতে শেখানো হয়। তবে শুধু বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনই নয়, বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন, উশু ফেডারেশন, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশে স্কুলপর্যায়ে ও বিভিন্ন স্টেডিয়ামে কারাতে এবং অন্যান্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়।
কিছু প্রতিষ্ঠান
খরচ কত
কারাতে শেখার জন্য এককালীন ভর্তি ফি স্থান ও প্রতিষ্ঠানভেদে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই খরচের মধ্যে সাধারণত কারাতের পোশাক তৈরির খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর মাসিক খরচ ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।
ব্রুস লি। নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মেদহীন ছিপছিপে এক মানুষের ছবি, যিনি খালি খালি দুখানা হাত দিয়ে পিটিয়ে চলেছেন প্রতিপক্ষের খারাপ মানুষদের! ব্রুস লি মানেই কারাতের জবরদস্ত এক প্রদর্শনী। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিপক্ষের যম এ মানুষটি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। তাঁর আত্মবিশ্বাসের কাছেই অর্ধেক মানুষ কুপোকাত হয়ে যায়।
ব্রুস লি কারাতে বিষয়টিকে পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় করে তুললেও শব্দটি জাপানি ভাষার। এর বাংলা অর্থ ‘খালি হাতে’। কারাতে জিনিসটাও মূলত খালি হাতে আত্মরক্ষার এক সুপ্রাচীন কৌশল।
বলে রাখা ভালো, কারাতে শুধু পুরুষ মানুষের আত্মরক্ষার কৌশল নয়। একসময় তেমন একটি সংস্কার থাকলেও এখন এটি নারী, পুরুষ, শিশু বা যে কারও শেখার বিষয়।
কেন শিখবেন কারাতে
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদপত্রে আমরা নারীদের সঙ্গে হওয়া বিভিন্ন ঘটনার কথা পড়ছি ও দেখছি। এসব নেতিবাচক সংবাদ আমাদের পথঘাটে চলাচলের সময় আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। ফলে নারীরা রাস্তায় একা চলাচলের সময় অসহায় বোধ করেন। কোনো ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে ঠান্ডা মাথায় সেটা মোকাবিলা করতে পারেন না।
আমাদের দেশের নারীরা শারীর গঠনের পদ্ধতিগত কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকেন না বললেই চলে। ফলে বয়স তিরিশ পেরোতেই বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন তাঁরা।
অন্যদিকে শহরের রাস্তায় চলাচলে অনেক সময় বিভিন্ন অনিরাপদ ও বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। সেসব ক্ষেত্রে নিজের শক্তির ওপর আত্মবিশ্বাস থাকলে আরও সহজে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই।
কারাতে শিখলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হলে সেটা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করা এবং পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখলে কী করবেন, ঠান্ডা মাথায় তা ভাবতে পারবেন। কারণ কারাতের চর্চা শুধু আত্মরক্ষা করতেই শেখায় না, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেও শেখায়।
এ প্রসঙ্গে কথা হয়, বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের প্রশিক্ষক রেজাউল করিমের সঙ্গে। তাঁর মতে, শারীরিক ফিটনেস বাড়াতে ইদানীং কারাতে শেখার আগ্রহ বাড়ছে; বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এই আগ্রহ বেশি কাজ করছে। শুধু তা-ই নয়, শহরে বাইরে খেলাধুলার পরিবেশের অভাব থাকায় বেশির ভাগ শিশু শারীরিক চর্চার সঙ্গে জড়িত নেই। তাই বিকল্প হিসেবে অনেক মা-বাবা তাঁদের সন্তানকে কারাতে শেখাতে উৎসাহ বোধ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল থেকেও আজকাল শিক্ষার্থীদের ফিটনেস বাড়াতে কারাতে শেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সপ্তাহজুড়ে কিংবা ছুটির দিনে
কর্মজীবী নারীরা সাধারণত নিজেদের ছুটির দিনগুলোতে ক্লাস করার চেষ্টা করে থাকেন। আবার অনেক মা নিজেদের মেয়েশিশুদের ছোট থেকেই কারাতে শেখাতে দিয়ে দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে মেয়েশিশুদের জন্য আলাদা করে কোনো ক্লাসের ব্যবস্থা নেই। তবে একটু বড় হওয়ার পরে ছেলে আর মেয়েদের আলাদাভাবে কারাতে শেখানো হয় বলে জানালেন রেজাউল করিম।
শেখার বয়স ও ফিটনেস
মূলত চার বছরের ওপরে বয়স এমন যে কেউ চাইলে কারাতে প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে পারবে। কারাতে শেখার জন্য আগে থেকেই নির্দিষ্ট মাত্রার ফিটনেস থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।
রেজাউল করিম জানান, কারাতে শিক্ষার মাধ্যমে মোটামুটি ধরনের ফিটনেস পেতে আনুমানিক তিন থেকে ছয় মাস লেগে যেতে পারে। কে কত দ্রুত জিনিসগুলো রপ্ত করতে পারছে, সেটা নির্ভর করে তারা কতটুকু নিয়মিত অনুশীলন করছে, সেটার ওপর। আর কারাতের সর্বোচ্চ সম্মাননা বা ব্ল্যাক বেল্ট পেতে সাধারণত লেগে যায় দুই বছর। এরপরও কেউ চাইলে কারাতে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারে।
কোথায় শিখবেন
ঢাকায় কারাতে শেখার অনেক প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। আত্মরক্ষার জন্য বলা হলেও কারাতে খেলা, ব্যায়াম এমনকি চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও বিখ্যাত। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে সপ্তাহে ছয় দিন কারাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মিরপুর ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, কমলাপুর, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে কারাতে শেখানো হয়। তবে শুধু বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনই নয়, বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন, উশু ফেডারেশন, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশে স্কুলপর্যায়ে ও বিভিন্ন স্টেডিয়ামে কারাতে এবং অন্যান্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়।
কিছু প্রতিষ্ঠান
খরচ কত
কারাতে শেখার জন্য এককালীন ভর্তি ফি স্থান ও প্রতিষ্ঠানভেদে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই খরচের মধ্যে সাধারণত কারাতের পোশাক তৈরির খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর মাসিক খরচ ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে