দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনায় চাষাবাদে যোগ হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। খরচ কম হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছেন উপজেলার কৃষকেরা। সূর্যমুখী চাষে সুফল পাওয়ার আশায় কৃষকদের আগ্রহও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাত ইউনিয়নের কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। এই ফসল তদারকি করছেন কৃষি কর্মকর্তা। এ বছর উচ্চফলনশীল সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে এ উপজেলায়। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ, সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। গত বছর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছিল। চলতি বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষের দিকে দিন দিন ঝুঁকছেন। অনেক জমিতে কৃষি চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চাষি সুলতান আহমেদ সরদার বলেন, গত বছর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক সূর্যমুখীর চাষ করি, তাতে আমার দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। এ বছর আমি ৪ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করি। আশা করছি সূর্যমুখীর ফলন অনেকাংশে ভালো। এ বছর বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে পারব।
একই গ্রামের জাফর, আলম সর্দার, মোতাহার চৌকিদার ও নজরুল মৃধা বলেন, সুলতান ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় এ বছর পুনরায় আমরা ৩ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে ফলন ভালো পেয়েছি বলে এ বছর ১০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। শুরুর দিকে বৃষ্টিতে কিছু বীজ নষ্ট হয়, তবে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় যা ফলন দেখছি তাতে ভালো ফলন আশা করছি।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের চাষি কাজী কামাল বলেন, গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া ভালো থাকায় খেতে ফুল আর ফুল। অধিক ফলনের আশা করছি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সূর্যমুখী খেতে দর্শনার্থীদের ভিড়। কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে আসছেন। আবার কেউ সূর্যমুখী খেতের ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন।
সূর্যমুখী খেত দেখতে আশা দর্শনার্থী নূপুর রানী, সরমিলা, শুক্লা, লামিয়া, মিজানুর, হারুন ও মারুফা বলেন, সূর্যমুখী ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে খেত। আমরা এক গ্রামের লোকজন মিলে দেখতে ও স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলতে আসছি। এসে অনেক ভালো লেগেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর অহাম্মেদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর অধিক লাভের আশায় দ্বিগুণ সূর্যমুখী চাষ করেছেন চাষিরা। এ বছর উপজেলায় সূর্যমুখীর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আর গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্বিগুণ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কীটনাশকসহ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সমস্যার সমাধানে পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, উপজেলায় সব ধরনের কৃষি ফলনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় এবং উপজেলা প্রশাসন আন্তরিক। উপজেলার মাটি কৃষিকাজে উর্বর, তাই কৃষকের বিন্দু পরিমাণ জায়গা ফাঁকা না থাকে সেদিকে নজর দেবে প্রশাসন। সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে কৃষক সূর্যমুখী চাষে বেশি আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাবেন।
পটুয়াখালীর দশমিনায় চাষাবাদে যোগ হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। খরচ কম হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছেন উপজেলার কৃষকেরা। সূর্যমুখী চাষে সুফল পাওয়ার আশায় কৃষকদের আগ্রহও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাত ইউনিয়নের কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। এই ফসল তদারকি করছেন কৃষি কর্মকর্তা। এ বছর উচ্চফলনশীল সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে এ উপজেলায়। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ, সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। গত বছর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছিল। চলতি বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষের দিকে দিন দিন ঝুঁকছেন। অনেক জমিতে কৃষি চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চাষি সুলতান আহমেদ সরদার বলেন, গত বছর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক সূর্যমুখীর চাষ করি, তাতে আমার দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। এ বছর আমি ৪ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করি। আশা করছি সূর্যমুখীর ফলন অনেকাংশে ভালো। এ বছর বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে পারব।
একই গ্রামের জাফর, আলম সর্দার, মোতাহার চৌকিদার ও নজরুল মৃধা বলেন, সুলতান ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় এ বছর পুনরায় আমরা ৩ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে ফলন ভালো পেয়েছি বলে এ বছর ১০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। শুরুর দিকে বৃষ্টিতে কিছু বীজ নষ্ট হয়, তবে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় যা ফলন দেখছি তাতে ভালো ফলন আশা করছি।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের চাষি কাজী কামাল বলেন, গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া ভালো থাকায় খেতে ফুল আর ফুল। অধিক ফলনের আশা করছি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সূর্যমুখী খেতে দর্শনার্থীদের ভিড়। কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে আসছেন। আবার কেউ সূর্যমুখী খেতের ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন।
সূর্যমুখী খেত দেখতে আশা দর্শনার্থী নূপুর রানী, সরমিলা, শুক্লা, লামিয়া, মিজানুর, হারুন ও মারুফা বলেন, সূর্যমুখী ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে খেত। আমরা এক গ্রামের লোকজন মিলে দেখতে ও স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলতে আসছি। এসে অনেক ভালো লেগেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর অহাম্মেদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর অধিক লাভের আশায় দ্বিগুণ সূর্যমুখী চাষ করেছেন চাষিরা। এ বছর উপজেলায় সূর্যমুখীর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আর গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্বিগুণ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কীটনাশকসহ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সমস্যার সমাধানে পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, উপজেলায় সব ধরনের কৃষি ফলনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় এবং উপজেলা প্রশাসন আন্তরিক। উপজেলার মাটি কৃষিকাজে উর্বর, তাই কৃষকের বিন্দু পরিমাণ জায়গা ফাঁকা না থাকে সেদিকে নজর দেবে প্রশাসন। সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে কৃষক সূর্যমুখী চাষে বেশি আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাবেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে