১৩ ভোটে ‘বিজয়ী’ প্রার্থীকে পরাজিত ঘোষণার অভিযোগ

মনিরামপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭: ৫১
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৩৫

সদ্যসমাপ্ত যশোরের মনিরামপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ফলাফল ঘোষণায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সোহরাব হোসেন অভিযোগ করেছেন, তিনি নির্বাচনে ১৩ ভোট জয় পান। কিন্তু পুনরায় ভোট গণনার পর দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর সিদ্দিকীকে জয়ী ঘোষণা করেন।

এমন অভিযোগ এনে গত বুধবার বিকেলে মনিরামপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সোহরাব হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৬ নম্বর (সুবলকাটি) ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফল ঘোষণার সময় আমাকে ১৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অসীম কুমার পাল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের আলমগীর সিদ্দিকী পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।’

সোহরাব হোসেন বলেন, ‘দ্বিতীয়বার গণনায়ও আমার ভোট বেশি ছিল। এরপর আমি দাবি তুললে তৃতীয়বার ভোট গণনা শুরু হয়। এর আগে রহস্যজনকভাবে হঠাৎ ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মোবাইলে একটি ফোন এলে তিনি বাইরে চলে যান। এর পরে হেলমেট পড়া এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল যোগে ঢাকুরিয়া বাজারের দিকে পাঠিয়ে দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।’

মোটরসাইকেলে থাকা ওই ব্যক্তি ২০ মিনিট পর ভোটকেন্দ্রে ঢুকলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তড়িঘড়ি তালা প্রতীকের প্রার্থীকে ১২ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যেতে চান। এ সময় আমার এজেন্ট ফলাফল মানি না বলে প্রতিবাদ করেন। তাঁর কণ্ঠ শুনতে পেয়ে আমার সমর্থকেরা এগিয়ে গিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে চলে যেতে বাধা দেন। তখন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোবাইল করে অতিরিক্ত পুলিশ ডেকে আনেন। পুলিশ এসে আমার লোকজনদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেই সুযোগে কেন্দ্র ত্যাগ করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

পুনরায় ভোট গণনার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরসহ নানা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান সোহরাব হোসেন।

এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার পাল বলেন, ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। দুই পক্ষ ঘোষিত ফলাফল না মানায় পুলিশের উপস্থিতিতে দুই প্রার্থীকে সামনে রেখে তৃতীয়বার ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলের কপিতে দুই প্রার্থীর স্বাক্ষর রয়েছে।’

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘পুনরায় ভোট গণনার দাবি সংক্রান্ত কোনো আবেদন পাইনি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত