তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফল নিয়ে ‘শনির দশা’ যেন কাটছেই না। ফল প্রকাশের দুপুরে দেওয়া নম্বরফর্দ বদলে যায় সন্ধ্যায়। নম্বর বদল নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটতে না কাটতেই আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। এবার পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা নিয়ে বোর্ডের দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘোরাঘুরি করলেও মিলছে না সমাধান।
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ড। প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন করছেন। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এর সময় বেঁধে দিয়েছে বোর্ড। আর এর আবেদন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একই বিষয়ের দুটি পত্রে আবেদন করা শিক্ষার্থীরাই বেশি সমস্যায় পড়েছেন। দেখা গেছে, প্রথম পত্রে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রে করা যাচ্ছে না। এই সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার অন্তত ১৫ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা বোর্ডে আসেন। গতকাল বুধবারও এমন সমস্যা নিয়ে আসেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
মেহেরুন নেসা নামের এক শিক্ষার্থী সমস্যার কথা জানাতে গতকাল দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের এক দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘুরছিলেন। কোথাও সমাধান না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় শিক্ষা বোর্ডের তৃতীয় তলায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় মেহেরুনের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নম্বরফর্দে যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের দুটি পত্র মিলিয়ে ৭৩ নম্বর দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এরপরও ওই বিষয়ে আমি ফেল করেছি বলা হচ্ছে। যে কারণে আমার পুরো ফলই অকৃতকার্য এসেছে। সে জন্য ভুলটা কোথায় হলো জানতে আমি পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে চাচ্ছিলাম।’
তবে যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের আবেদন ঠিকঠাক করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রের আবেদন করতে পারেননি মেহেরুন। আবেদনের জন্য এসএমএস করেন তিনি। ফিরতি এসএমএসে তাঁকে জানানো হয়েছে, ফলের ডাটাবেজে মেহেরুনের সাবজেক্ট কোডটি (১২২) পাওয়া যাচ্ছে না। দুদিন ধরে বোর্ডে ঘুরেও সমাধান পাননি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগে অকৃতকার্য হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি জীববিজ্ঞানের দুই বিষয়ে ৯৫ পেয়েছি। এরপরও আমাকে এ বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছি। সে জন্য পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে চাইলেও পারছি না। প্রথম পত্রে আবেদন করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রে করা যাচ্ছে না।’
পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়া প্রায় সব শিক্ষার্থী আরেকটি অভিযোগ করলেন। তাঁরা বলছেন, পাসের অতিরিক্ত নম্বর পেলেও কিছু কিছু বিষয়ে তাঁদের ফেল দেখানো হচ্ছে। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করেন তাঁরা।
জানতে চাইলে এ বিষয়টি অবগত আছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানান শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীম। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমরা টেলিটক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে।’ শিক্ষার্থীরা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে আর সমস্যায় পড়বেন না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পাসের অতিরিক্ত নম্বর পেয়েও ফেল, শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগেরও ব্যাখ্যা দেন আবদুল আলীম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে পৃথকভাবে বহুনির্বাচনী ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে হয়। সে জন্য হয়তো ফেল দেখানো হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফল নিয়ে ‘শনির দশা’ যেন কাটছেই না। ফল প্রকাশের দুপুরে দেওয়া নম্বরফর্দ বদলে যায় সন্ধ্যায়। নম্বর বদল নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটতে না কাটতেই আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। এবার পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা নিয়ে বোর্ডের দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘোরাঘুরি করলেও মিলছে না সমাধান।
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ড। প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন করছেন। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এর সময় বেঁধে দিয়েছে বোর্ড। আর এর আবেদন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একই বিষয়ের দুটি পত্রে আবেদন করা শিক্ষার্থীরাই বেশি সমস্যায় পড়েছেন। দেখা গেছে, প্রথম পত্রে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রে করা যাচ্ছে না। এই সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার অন্তত ১৫ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা বোর্ডে আসেন। গতকাল বুধবারও এমন সমস্যা নিয়ে আসেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
মেহেরুন নেসা নামের এক শিক্ষার্থী সমস্যার কথা জানাতে গতকাল দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের এক দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘুরছিলেন। কোথাও সমাধান না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় শিক্ষা বোর্ডের তৃতীয় তলায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় মেহেরুনের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নম্বরফর্দে যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের দুটি পত্র মিলিয়ে ৭৩ নম্বর দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এরপরও ওই বিষয়ে আমি ফেল করেছি বলা হচ্ছে। যে কারণে আমার পুরো ফলই অকৃতকার্য এসেছে। সে জন্য ভুলটা কোথায় হলো জানতে আমি পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে চাচ্ছিলাম।’
তবে যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের আবেদন ঠিকঠাক করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রের আবেদন করতে পারেননি মেহেরুন। আবেদনের জন্য এসএমএস করেন তিনি। ফিরতি এসএমএসে তাঁকে জানানো হয়েছে, ফলের ডাটাবেজে মেহেরুনের সাবজেক্ট কোডটি (১২২) পাওয়া যাচ্ছে না। দুদিন ধরে বোর্ডে ঘুরেও সমাধান পাননি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগে অকৃতকার্য হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি জীববিজ্ঞানের দুই বিষয়ে ৯৫ পেয়েছি। এরপরও আমাকে এ বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছি। সে জন্য পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে চাইলেও পারছি না। প্রথম পত্রে আবেদন করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রে করা যাচ্ছে না।’
পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়া প্রায় সব শিক্ষার্থী আরেকটি অভিযোগ করলেন। তাঁরা বলছেন, পাসের অতিরিক্ত নম্বর পেলেও কিছু কিছু বিষয়ে তাঁদের ফেল দেখানো হচ্ছে। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করেন তাঁরা।
জানতে চাইলে এ বিষয়টি অবগত আছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানান শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীম। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমরা টেলিটক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে।’ শিক্ষার্থীরা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে আর সমস্যায় পড়বেন না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পাসের অতিরিক্ত নম্বর পেয়েও ফেল, শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগেরও ব্যাখ্যা দেন আবদুল আলীম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে পৃথকভাবে বহুনির্বাচনী ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে হয়। সে জন্য হয়তো ফেল দেখানো হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে