পরীর পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের নেতারা। সেই সঙ্গে এই পাহাড়কে প্রত্নসম্পদ হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এই দাবি জানান।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কক্সবাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আবুল কাসেম টেলিকনফারেন্স যুক্ত হয়ে বলেন, ৭০০ বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ পরীর পাহাড়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাস ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনোজ কুমার দেব। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি সাংবাদিক আলীউর রহমান, সংগঠক কায়সার আলী চৌধুরী, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ।

মহসীন কাজী বলেন, শত শত বছরের ইতিহাস পরিবর্তনের অধিকার কারও নেই। পরীর পাহাড় সংরক্ষণে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা সরানো জরুরি। পাহাড়ের ধারে স্থাপিত বহুতল ভবনগুলোর ভূতাত্ত্বিক জরিপও প্রয়োজন। এই ভবনের যে কোনো একটি ধসে পড়লে বাংলাদেশ ব্যাংক, সিডিএ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।

লিখিত বক্তব্যে পরীর পাহাড় সংরক্ষণে পাঁচ দফা সুপারিশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, পরীর পাহাড়ের ১৩০ বছরের ঐতিহাসিক স্থাপনা প্রত্নসম্পদ হিসাবে সংরক্ষণ ও পাহাড়ের চার পাশের স্থাপনা সরিয়ে এটিকে চট্টগ্রামের লাইট হাউজ ঘোষণা করা।

এ ছাড়া বর্তমান জেলা প্রশাসন থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম বাকলিয়া কর্ণফুলী তীরবর্তী এলাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ের ঢালে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা, ভূতাত্ত্বিক জরিপ করে পুরো এলাকাটির অবৈধ সরকারি-বেসরকারি সকল স্থাপনা সরিয়ে লাল ভবনটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।