বিভিন্ন ভাষা ও সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা অভিবাসীদের নানা অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এন্থোলজি সিনেমা (কয়েকটি ছোট গল্পের সংকলন) ‘হেয়ার আউট ওয়েস্ট’। এতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান অর্ক দাশ। একটি গল্পের চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। নাম ‘ব্রাদারহুড’।

অর্ক বলেন, ‘এই সিনেমায় আটটি অধ্যায় রয়েছে। একেকটি অধ্যায় একেকটি ছোট গল্প।’ ‘হেয়ার আউট ওয়েস্ট’ সিনেমায় এমন সব মানুষের গল্প বলা হয়েছে, যাঁরা নিজেদের অস্ট্রেলিয়ান বলে মনে করেন। কিন্তু তাঁরা কোনো না কোনোভাবে বাঙালি, ইংরেজ, অ্যারাবিয়ান, চায়নিজ, কুর্দি, তুর্কি, ভিয়েতনামি ও স্প্যানিশ।

প্রায় এক যুগ ধরে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে অভিনয় করছেন অর্ক। থিয়েটার, টেলিভিশন ছাড়াও কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে ‘লায়ন’, ‘মুলান’ উল্লেখযোগ্য।

‘হেয়ার আউট ওয়েস্ট’ সিনেমাটি নির্মাণে এবিসি অস্ট্রেলিয়া, স্ক্রিন অস্ট্রেলিয়া, স্ক্রিন নিউ সাউথওয়েলস যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে। কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ওয়েস্টার্ন সিডনির আটজন লেখক একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পান। দুই বছর ধরে চিত্রনাট্য লেখা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করেন তাঁরা।

বিভিন্ন ভাষা-সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা অভিবাসীদের কয়েকটি গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় একটি বাংলাভাষী পরিবারের সংকট বলবে অর্কর লেখা গল্প। তিনি জানান, গত বছর সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছে সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। সিনেমাটি যাঁরা দেখেছেন, ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি পাবে ‘হেয়ার আউট ওয়েস্ট’।

একজন বয়স্ক নারী হাসপাতাল থেকে বাচ্চা অপহরণ করে। এরপর তার একটা জার্নি শুরু হয়। পরিচয় হয় নানা চরিত্রের সঙ্গে। অর্ক বলেন, ‘ইমিগ্রেশন নিয়ে অনেক গল্প আছে। ছবির বিভিন্ন জায়গায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দেওয়া হবে। এখানে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের গল্প বলা হবে।’

অর্কর বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। এর আগে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। এ বছর পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ শুরু করবেন। তিনি বলেন, ‘সিনেমার কাহিনি একজন ইয়ং ইমিগ্র্যান্ট ওয়ার্কারকে নিয়ে। ওর জীবনটা কীভাবে পরিবর্তন হতে থাকে সেটা দেখানো হবে।’

বাংলাদেশে এসে বা এখানকার অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে অর্কর। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের কাজ নিয়মিত দেখার চেষ্টা করি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ অনেক পরিচালকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে।’