আধা কিমি রাস্তায় তিন ‘মরণফাঁদ’

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ০৪
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৪১

সড়কের আধা কিলোমিটার অংশে থাকা তিনটি ম্যানহোল বেহাল। দুটি ভেঙে গেছে, একটি দেবে আছে। প্রায় ২২ দিন ধরে উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কে এই অবস্থা। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। দ্রুত ভাঙা ম্যানহোল সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির জসীমউদ্‌দীন পাকার মাথার মোড়সংলগ্ন ম্যানহোল ভেঙে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। ৭-১০ ফুট গভীর এই গর্ত ভরাট করা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা দিয়ে। এর ওপর দেওয়া হয়েছে বাঁশের লাঠি। ওই মোড় থেকে সাঙ্গাম মোড়ের দিকের সড়কের ৫০০ গজ সামনে বড় মসজিদের মোড়ে আরেকটি ম্যানহোল ভেঙে আরও বেশি ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। যে কারণে রাস্তার অর্ধেক অংশেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর এক ফুট জায়গার মধ্যেই আরেকটি ম্যানহোল দেবে গেছে। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ইট দিয়ে স্থানীয়রা ম্যানহোলটি ঘিরে রেখেছেন যেন সেখান দিয়ে গাড়ি চলতে না পারে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট হলে অনেকেই এই রাস্তা ব্যবহার করেন।

সড়কটির পাশের ফুটপাতের চায়ের দোকানদার বিপুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ২২ দিন ধরে ম্যানহোল ভেঙে গর্ত হয়ে আছে। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা হয় এ রাস্তায়। তা ছাড়া, যানজট লেগে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত।’

উত্তরা-৯ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তার ম্যানহোল ভেঙে একই সড়কে দুটি বড় মৃত্যুকূপ হয়ে আছে। আমরা চাই সব কটি ম্যানহোলই সংস্কার করা হোক।’

৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর মোড়ের ফল ব্যবসায়ী আমিরুল বলেন, ‘প্রায়ই গর্তের ভেতর গাড়ির চাকা আটকে যায়। পরে লোকজন ধরাধরি করে গাড়ি সচল করে।’

স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী বিল্লাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় চার মাস আগে ম্যানহোলগুলোর সংস্কারকাজ করা হয়। কিন্তু গভীর রাতে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সেগুলো ফের ভেঙে গেছে।’

বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ঠিকাদার কাজে ফাঁকি দিয়েছেন। না হলে চার মাস আগে সংস্কার করা ম্যানহোল এত দ্রুত কীভাবে ভেঙে যায়! আমাদের দাবি, সঠিকভাবে সংস্কার করা হোক।’

উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তাকর্মী বাদশা ও শুক্কুর পাটোয়ারি বলেন, ‘ভারী গাড়ি চললেই ম্যানহোলগুলো ভেঙে যায়। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে, এটা ঠিক।’

শুক্কুর পাটোয়ারি বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে আমি গর্তের মধ্যে পড়ে লোহার ডিভাইডারে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়েছি। এখনো ভালো হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে ইঞ্জিনিয়ারের ফোন নম্বর দেওয়া আছে। ফোন করে কেউ জানালে আমরা আবার সংস্কার করে দেব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত