নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোছা. মর্জিনা খাতুনকে (৪৮) কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল বারীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে শিকারপুর নদীর উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আব্দুল বারী উপজেলার শিকারপুর নদীর উত্তরপাড়া বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে গত মঙ্গলবার ইউপি সদস্য মর্জিনার ছেলে সাদ্দামকে মারধর করে একটি হাত ভেঙে দেন প্রতিবেশী আব্দুল বারী, শাহাদত হোসেন, বুদ্দু মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন। পরে বুধবার সকালে বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম। এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অতর্কিত তাঁকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাম পায়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে সাদ্দাম ও আমাকে হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শারমিন ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য মর্জিনার বাম পায়ে কাটার চিহ্ন আছে। ঘাড়ে, ডান হাতে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে আশঙ্কামুক্ত আছেন।

অভিযুক্ত আব্দুল বারীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, ইউপি সদস্যের ছেলেকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।