সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আট ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। দুই পক্ষেরই সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজপুর ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরনবী চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাঈন উদ্দিন মামুন, চরপার্বতী ইউপিতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুব রশিদ মঞ্জু, চরহাজারী ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল হুদা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান স্বপন, চরকাঁকড়া ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ সবুজ, চরফকিরা ইউপিতে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জায়দল হক কচি ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ হোসেন রাবেন্স, রামপুর ইউপিতে সেতুমন্ত্রীর ভাগনে সালেকিন রিমন, ব্যবসায়ী হাসিবুস শহীদ আলেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন আহমদ, মুছাপুর ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন এবং চরএলাহী ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মনোনয়নপত্র জমা দেন।

অপরদিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস জানান, সিরাজপুর ইউপিতে নাজিম উদ্দীন মিকন, চরপার্বতী ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল, চরহাজারী ইউপিতে মহিউদ্দিন সোহাগ, চরকাঁকড়া ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী সফি উল্যাহ ও মির্জা ঘোষিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন বাদল, চরফকিরা ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন, রামপুর ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী, মুছাপুরে নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব আলী ও চরএলাহী ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল গনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, ‘আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তৃণমূলের পছন্দের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করে জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁদেরই নৌকা প্রতীক দেবেন বলে আশা রাখি।’

অপরদিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস জানান, মেয়রের পছন্দের প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র নিশ্চয় সঠিক ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক দেবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে এখানে রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি হয়। তৈরি হয় অস্থিতিশীল, অসহিষ্ণু রাজনৈতিক পরিবেশ। দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা ছিল, স্থানীয় সাংসদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগেই এই বিরোধ মীমাংসা করবেন। কিন্তু তা না হওয়ায় আসন্ন নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।