নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ট্র্যাকসুট পরে প্রতিদিন অনুশীলনে যেতেন বলে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে আজমিরা আক্তারকে। কেরানীগঞ্জ থেকে নৌকায় বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে যখন পল্টন মাঠে রাগবির অনুশীলনে আসতেন, তখন নৌকার মাঝিও জিজ্ঞেস করে বসতেন, ‘এই পোশাকে কই যান?’ পথেঘাটেও শুনতে হয়েছে অনেক বাঁকা মন্তব্য!
সব বাধা পেরিয়ে এ বছরের শুরুতে খুশির এক খবর দিয়েছিলেন বাংলাদেশের রাগবির প্রথম নারী রেফারি আজমিরা আক্তার। জায়গা করে নিয়েছিলেন এশিয়ান রাগবির ‘আনস্টপেবল উইমেন’স ক্যাম্পেইন’-এর সেরা ৩২ নারীর তালিকায়। সেই খুশিটা আরও বড় হয়েছে আজমিরার। চূড়ান্ত ১৫ নারীর তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বিশ্বের সেরা ১৫ নারীকে বিশেষ সম্মাননা দেবে ওয়ার্ল্ড রাগবি।
গত বছর থেকে ‘আনস্টপেবল উইমেন’স ক্যাম্পেইন’-এর আওতায় এশিয়ার ৩২টি দেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ৮৪ জন বাছাই করেছিল এশিয়ান রাগবি। বাংলাদেশ থেকে আজমিরাসহ নাম পাঠানো হয়েছিল তিন জনের। ৮৪ থেকে সংখ্যাটা পরে নেমে আসে ৩২-এ। সবশেষ সেরা ১৫ জনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে আজমিরার নাম, আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি জানিয়েছেন রাগবি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ আহমেদ।
২০১১ সালে মাকে হারান আজমিরা। ২০১৬ সালে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান বাবাও। মা-বাবাহারা আজমিরাদের তিন বোনকে আগলে রেখেছেন নানি খায়রুন নেসা। অভাব-অনটনের মাঝেই ২০১৭ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় পরিচয় রাগবির সঙ্গে। খেলোয়াড় থেকে ২০১৮ সালে হয়েছেন রাগবি ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্ট অফিসার। ভারতের ভুবনেশ্বর থেকে লেভেল ওয়ান রেফারিং কোর্স শেষ করেছেন আজমিরা। লেভেল টু রেফারিং কোর্সও প্রায় শেষের পথে। ফেডারেশনের হয়ে অংশ নিয়েছেন ৫৭টি জিআইআর (গেট ইনটু রাগবি) প্রোগ্রামে। নারী হয়ে প্রায়ই পরিচালনা করছেন ছেলেদের খেলা।
বাঁকা মন্তব্য শুনতে শুনতে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া আজমিরা এখন স্বপ্ন দেখেন আরও অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার। আজমিরা অনেক আনন্দ খুঁজে পান যখন কিশোরী মেয়েদের মুখ থেকে শোনেন, ‘আমিও আপনার মতো রেফারি হতে চাই।’
কবি নজরুল কলেজ থেকে স্নাতকের দর্শন বিষয়ে চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী আজমিরার সব স্বপ্ন রাগবিকে ঘিরে। ২২ বছর বয়সী এই তরুণীর আশা, এক দিন বাংলাদেশেও ক্রিকেট-ফুটবলের পর্যায়ে চলে আসবে খেলাটি, ‘বাংলাদেশে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাগবি। হয়তো আমাকে দেখে আরও মেয়ে রাগবিতে এগিয়ে আসবে।’
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা রাগবি সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের জানাশোনা একটু কমই। তবে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে খেলাটি। অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকেও। খেলাটি নিয়ে বাংলাদেশে আগ্রহ বাড়তে থাকায় রাগবি ফেডারেশনকে চার হাজার বল উপহার দিয়েছে এশিয়ান রাগবি। রাগবি একাডেমি গড়তে চাঁদপুরে চার একর জমি বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে ফেডারেশনের। যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আশাবাদী কণ্ঠে বলেন, ‘পাঁচ বছরে আমরা ২৫ হাজার স্কুল-কলেজে খেলাটা ছড়িয়ে দিতে চাই। যদি আমাদের পরিকল্পনা ধরে রাখতে পারি, এক দিন হয়তো আমরা ক্রিকেট-ফুটবলকেও ছাড়িয়ে যেতে পারব।’
ট্র্যাকসুট পরে প্রতিদিন অনুশীলনে যেতেন বলে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে আজমিরা আক্তারকে। কেরানীগঞ্জ থেকে নৌকায় বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে যখন পল্টন মাঠে রাগবির অনুশীলনে আসতেন, তখন নৌকার মাঝিও জিজ্ঞেস করে বসতেন, ‘এই পোশাকে কই যান?’ পথেঘাটেও শুনতে হয়েছে অনেক বাঁকা মন্তব্য!
সব বাধা পেরিয়ে এ বছরের শুরুতে খুশির এক খবর দিয়েছিলেন বাংলাদেশের রাগবির প্রথম নারী রেফারি আজমিরা আক্তার। জায়গা করে নিয়েছিলেন এশিয়ান রাগবির ‘আনস্টপেবল উইমেন’স ক্যাম্পেইন’-এর সেরা ৩২ নারীর তালিকায়। সেই খুশিটা আরও বড় হয়েছে আজমিরার। চূড়ান্ত ১৫ নারীর তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বিশ্বের সেরা ১৫ নারীকে বিশেষ সম্মাননা দেবে ওয়ার্ল্ড রাগবি।
গত বছর থেকে ‘আনস্টপেবল উইমেন’স ক্যাম্পেইন’-এর আওতায় এশিয়ার ৩২টি দেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ৮৪ জন বাছাই করেছিল এশিয়ান রাগবি। বাংলাদেশ থেকে আজমিরাসহ নাম পাঠানো হয়েছিল তিন জনের। ৮৪ থেকে সংখ্যাটা পরে নেমে আসে ৩২-এ। সবশেষ সেরা ১৫ জনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে আজমিরার নাম, আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি জানিয়েছেন রাগবি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ আহমেদ।
২০১১ সালে মাকে হারান আজমিরা। ২০১৬ সালে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান বাবাও। মা-বাবাহারা আজমিরাদের তিন বোনকে আগলে রেখেছেন নানি খায়রুন নেসা। অভাব-অনটনের মাঝেই ২০১৭ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় পরিচয় রাগবির সঙ্গে। খেলোয়াড় থেকে ২০১৮ সালে হয়েছেন রাগবি ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্ট অফিসার। ভারতের ভুবনেশ্বর থেকে লেভেল ওয়ান রেফারিং কোর্স শেষ করেছেন আজমিরা। লেভেল টু রেফারিং কোর্সও প্রায় শেষের পথে। ফেডারেশনের হয়ে অংশ নিয়েছেন ৫৭টি জিআইআর (গেট ইনটু রাগবি) প্রোগ্রামে। নারী হয়ে প্রায়ই পরিচালনা করছেন ছেলেদের খেলা।
বাঁকা মন্তব্য শুনতে শুনতে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া আজমিরা এখন স্বপ্ন দেখেন আরও অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার। আজমিরা অনেক আনন্দ খুঁজে পান যখন কিশোরী মেয়েদের মুখ থেকে শোনেন, ‘আমিও আপনার মতো রেফারি হতে চাই।’
কবি নজরুল কলেজ থেকে স্নাতকের দর্শন বিষয়ে চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী আজমিরার সব স্বপ্ন রাগবিকে ঘিরে। ২২ বছর বয়সী এই তরুণীর আশা, এক দিন বাংলাদেশেও ক্রিকেট-ফুটবলের পর্যায়ে চলে আসবে খেলাটি, ‘বাংলাদেশে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাগবি। হয়তো আমাকে দেখে আরও মেয়ে রাগবিতে এগিয়ে আসবে।’
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা রাগবি সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের জানাশোনা একটু কমই। তবে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে খেলাটি। অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকেও। খেলাটি নিয়ে বাংলাদেশে আগ্রহ বাড়তে থাকায় রাগবি ফেডারেশনকে চার হাজার বল উপহার দিয়েছে এশিয়ান রাগবি। রাগবি একাডেমি গড়তে চাঁদপুরে চার একর জমি বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে ফেডারেশনের। যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আশাবাদী কণ্ঠে বলেন, ‘পাঁচ বছরে আমরা ২৫ হাজার স্কুল-কলেজে খেলাটা ছড়িয়ে দিতে চাই। যদি আমাদের পরিকল্পনা ধরে রাখতে পারি, এক দিন হয়তো আমরা ক্রিকেট-ফুটবলকেও ছাড়িয়ে যেতে পারব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪