নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
মৌলভীবাজারের ছনকাপন গ্রামের বাসিন্দা হারুছ মিয়ার ছেলে শাহজাহান আহমেদ (৩০)। প্রায় ২৪ বছর ধরে তাঁদের বসবাস সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ধরাধরপুর এলাকায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবরে বের হওয়া বিজয় মিছিলে যোগ দেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শাহজাহানও। সেদিনের পর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি তাঁর। শাহজাহানের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে তাঁর ছয় বছর বয়সী ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।
গত মঙ্গলবার রাতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সিলেট নগরের চণ্ডীপুলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিজয় মিছিল করে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তেজিত জনতা দক্ষিণ সুরমা থানা ঘেরাও করে। একপর্যায়ে থানার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে শাহজাহানসহ আরও বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
শাহজাহানের মা রাবেয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণ সুরমা থানা ঘেরাওকালে পুলিশ শাহজাহানকে আটক করেছে বলে জানতে পারি। ওই ঘটনার একটি ভিডিও চিত্রে থানার ভেতর মাটিতে ফেলে শাহজাহানকে লাথি মারতে দেখা যায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে। কিন্তু এর পর থেকে তার কোনো হদিস মিলছে না।’
নিখোঁজ শাহজাহানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘এই সময়ে স্বামীকে পাশে পাওয়া খুবই জরুরি। আমার এক সন্তান পেটে, আরেক সন্তান কোলে। আমার জামাই কোনো রাজনীতি করতেন না। অক্ষত অবস্থায় তাঁকে ফেরত চাই।’
বিজয় মিছিলে ছিলেন দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শিমুল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকজন ছিলাম মিছিলে। শাহজাহান ভাই তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন।
একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা থানার ভেতরে ঢুকলে পুলিশ শাহজাহানকে আটক করে মারধর করে। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ থানা কম্পাউন্ড ছেড়ে চলে গেলে কয়েকজন ভেতর গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর খোঁজ পাইনি।’
মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন স্কুলশিক্ষার্থী রাইয়ান
একই দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় স্কুলছাত্র রাইয়ান (১৬)। সে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ডালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর তাকে ভর্তি করানো হয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। সেখানে ১২ দিনেও তার চেতনা ফেরেনি। মাথার গুলি বের করতে পারেননি চিকিৎসকেরা। পরে ১৭ আগস্ট রাইয়ানকে নেওয়া হয় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চললেও অবস্থার উন্নতি হয়নি।
রাইয়ানের মা রুনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেটা অনেক মেধাবী। পুলিশ কেন মাথায় গুলি করল? সবার কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
রাইয়ানের চাচাতো ভাই নাহিদ বলেন, ঘটনার দিন বিজয় মিছিলে ছিল রাইয়ান। পুলিশ গুলি চালালে একপর্যায়ে তার মাথায় গুলি লাগে। উদ্ধার করে রাইয়ানকে প্রথমে দক্ষিণ সুরমার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে নাহিদ আরও জানান, রাইয়ানের মাথার গুলি সহজে বের করা যাবে না। এই ধরনের উন্নত চিকিৎসা দেশে নেই। তবে তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগির আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ শাহজাহানের স্ত্রী সাধারণ ডায়েরি করে গেছেন। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গুলিবিদ্ধ রাইয়ানের বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৌলভীবাজারের ছনকাপন গ্রামের বাসিন্দা হারুছ মিয়ার ছেলে শাহজাহান আহমেদ (৩০)। প্রায় ২৪ বছর ধরে তাঁদের বসবাস সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ধরাধরপুর এলাকায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবরে বের হওয়া বিজয় মিছিলে যোগ দেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শাহজাহানও। সেদিনের পর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি তাঁর। শাহজাহানের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে তাঁর ছয় বছর বয়সী ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।
গত মঙ্গলবার রাতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সিলেট নগরের চণ্ডীপুলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিজয় মিছিল করে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তেজিত জনতা দক্ষিণ সুরমা থানা ঘেরাও করে। একপর্যায়ে থানার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে শাহজাহানসহ আরও বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
শাহজাহানের মা রাবেয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণ সুরমা থানা ঘেরাওকালে পুলিশ শাহজাহানকে আটক করেছে বলে জানতে পারি। ওই ঘটনার একটি ভিডিও চিত্রে থানার ভেতর মাটিতে ফেলে শাহজাহানকে লাথি মারতে দেখা যায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে। কিন্তু এর পর থেকে তার কোনো হদিস মিলছে না।’
নিখোঁজ শাহজাহানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘এই সময়ে স্বামীকে পাশে পাওয়া খুবই জরুরি। আমার এক সন্তান পেটে, আরেক সন্তান কোলে। আমার জামাই কোনো রাজনীতি করতেন না। অক্ষত অবস্থায় তাঁকে ফেরত চাই।’
বিজয় মিছিলে ছিলেন দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শিমুল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকজন ছিলাম মিছিলে। শাহজাহান ভাই তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন।
একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা থানার ভেতরে ঢুকলে পুলিশ শাহজাহানকে আটক করে মারধর করে। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ থানা কম্পাউন্ড ছেড়ে চলে গেলে কয়েকজন ভেতর গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর খোঁজ পাইনি।’
মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন স্কুলশিক্ষার্থী রাইয়ান
একই দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় স্কুলছাত্র রাইয়ান (১৬)। সে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ডালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর তাকে ভর্তি করানো হয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। সেখানে ১২ দিনেও তার চেতনা ফেরেনি। মাথার গুলি বের করতে পারেননি চিকিৎসকেরা। পরে ১৭ আগস্ট রাইয়ানকে নেওয়া হয় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চললেও অবস্থার উন্নতি হয়নি।
রাইয়ানের মা রুনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেটা অনেক মেধাবী। পুলিশ কেন মাথায় গুলি করল? সবার কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
রাইয়ানের চাচাতো ভাই নাহিদ বলেন, ঘটনার দিন বিজয় মিছিলে ছিল রাইয়ান। পুলিশ গুলি চালালে একপর্যায়ে তার মাথায় গুলি লাগে। উদ্ধার করে রাইয়ানকে প্রথমে দক্ষিণ সুরমার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে নাহিদ আরও জানান, রাইয়ানের মাথার গুলি সহজে বের করা যাবে না। এই ধরনের উন্নত চিকিৎসা দেশে নেই। তবে তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগির আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ শাহজাহানের স্ত্রী সাধারণ ডায়েরি করে গেছেন। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গুলিবিদ্ধ রাইয়ানের বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪