ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে দেখা দিয়েছে চোখ ওঠা রোগের (কনজাংটিভাইটিস) প্রকোপ। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্থানীয় ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে চোখের ড্রপের সংকট। আক্রান্তদের অনেকেই ছুটছেন জেলা ও উপজেলার সরকারি-বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষুবিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন চোখ ওঠা রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই রোগকে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে চোখের কনজাংটিভা নামের পর্দায় প্রদাহ হয়। এতে চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যায়। চোখে ব্যথা ও অস্বস্তি হয়। চোখ থেকে পানি পড়ে। কারও চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। আলোয় গেলে চোখে অস্বস্তি বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া এটি বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়।
সরেজমিন উপজেলার কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া, উদাখালী ও গজারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চোখ ওঠা রোগী আছে। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
উদাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ছালুয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫৫) বলেন, ‘গত সপ্তাহে স্ত্রী চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হন। এরপর ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে পরিবারের সবাই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এখনো আমার দুই চোখ লাল হয়ে আছে, ডাক্তারের পরামর্শে ড্রপ ব্যবহার করছি।’
কালীর বাজারের শফি মেডিকেল স্টোরের মালিক সুলতান মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়ে গেছে। সাধারণত এ রোগের ওষুধের সরবরাহ ও চাহিদা কম থাকে। অনেক সময় ফার্মেসিতে এ ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এখন সবখানেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাই এসব ওষুধের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন চোখ ওঠা রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চোখ ওঠা একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাধারণত ৭ দিনে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তবে চোখ বেশি লাল হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাবান-পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর পরই হাত পরিষ্কার করতে হবে।
কোনো কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। এ ছাড়া চোখ উঠলে কালো চশমা ব্যবহার করা ভালো। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালু, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে।
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে দেখা দিয়েছে চোখ ওঠা রোগের (কনজাংটিভাইটিস) প্রকোপ। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্থানীয় ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে চোখের ড্রপের সংকট। আক্রান্তদের অনেকেই ছুটছেন জেলা ও উপজেলার সরকারি-বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষুবিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন চোখ ওঠা রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই রোগকে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে চোখের কনজাংটিভা নামের পর্দায় প্রদাহ হয়। এতে চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যায়। চোখে ব্যথা ও অস্বস্তি হয়। চোখ থেকে পানি পড়ে। কারও চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। আলোয় গেলে চোখে অস্বস্তি বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া এটি বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়।
সরেজমিন উপজেলার কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া, উদাখালী ও গজারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চোখ ওঠা রোগী আছে। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
উদাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ছালুয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫৫) বলেন, ‘গত সপ্তাহে স্ত্রী চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হন। এরপর ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে পরিবারের সবাই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এখনো আমার দুই চোখ লাল হয়ে আছে, ডাক্তারের পরামর্শে ড্রপ ব্যবহার করছি।’
কালীর বাজারের শফি মেডিকেল স্টোরের মালিক সুলতান মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়ে গেছে। সাধারণত এ রোগের ওষুধের সরবরাহ ও চাহিদা কম থাকে। অনেক সময় ফার্মেসিতে এ ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এখন সবখানেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাই এসব ওষুধের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন চোখ ওঠা রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চোখ ওঠা একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাধারণত ৭ দিনে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তবে চোখ বেশি লাল হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাবান-পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর পরই হাত পরিষ্কার করতে হবে।
কোনো কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। এ ছাড়া চোখ উঠলে কালো চশমা ব্যবহার করা ভালো। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালু, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে