জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের মাঠে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন মৌয়ালরা। মৌ চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে তাঁদের এ ব্যস্ততা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) প্রশিক্ষণার্থী তাঁরা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের দাবি, সরকার স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করলে তাঁদের মতো বেকারেরা সহজে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
জয়পুরহাট বিসিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৩০ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে সরিষার ফুল থেকে। জেলায় এবার সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফুলও ভালো হয়েছে। তাই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ মধু সংগ্রহ হবে বলে আশা করছে বিসিক।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল, শালগ্রাম, শ্যামপুর, দস্তপুর, হালট্টি, হাদিগারা, হিলকুণ্ডা, তুরাগ, জলাটুলসহ কয়েকটি সরিষার মাঠে চলছে মৌয়ালদের মধু আহরণে ব্যস্ততা।
অধিক মধু আহরণের জন্য মৌয়ালরা ৮-১০টি দলে বিভক্ত হয়েছেন। প্রতি দলে থাকছেন ৪-৬ জন মৌয়াল। আর প্রতিটি দলে থাকছে ৪৫ থেকে ৯৫টি মৌবাক্স। প্রতি সপ্তাহে প্রতিটি দল আহরণ করছে ৫-১০ মণ মধু। প্রতি কেজি মধু ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) মৌমাছি পালন কর্মসূচিতে বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকা কারিগরি সহকারী হাফিজুর রহমান জানান, ১৯৭৭ সাল থেকে তিনি মৌমাছি চাষের সঙ্গে জড়িত। সারা দেশে ছড়িয়ে আছে তাঁর অসংখ্য প্রশিক্ষণার্থী।
হাফিজুর রহমান জানান, সরিষা চাষ করে সারা মাঠের কৃষকেরা যে পরিমাণ টাকা পাবেন, তার চেয়ে বেশি টাকা পাবেন মৌচাষিরা। কারণ এক কেজি সরিষার মূল্য ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা। কিন্তু ১ কেজি মধুর দাম ৪০০ টাকা।
জানা গেছে, জয়পুরহাটে বর্তমানে যে কয়টি দল মধু সংগ্রহের কাজ করছে, তারা কমপক্ষে ১০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করবে। এবার আবহাওয়া ও সরিষার ফুল দুই-ই ভালো হয়েছে। এ জন্য মধু সংগ্রহ বাড়বে।
নতুন প্রশিক্ষণার্থী ইউসুফ আলী জানান, তিনি মৌ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে বুঝেছেন যে, শিক্ষিত বেকারেরা চাকরির পিছে না ছুটে অল্প সময়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজিতে মৌ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব ঘোচাতে পারেন।
আমিনুর রশিদ জানান, তাঁর ২৫টি মৌবাক্স আছে। পুঁজির অভাবে তিনি তাঁর মৌখামার বাড়াতে পারছেন না। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে খামার বড় হতো।
বিসিক জয়পুরহাটের উপব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ জানান, জয়পুরহাটের পুরানাপৈল এলাকায় মৌ চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চলমান না থাকায় দিনাজপুরের বাঁশেরহাটের একটি মৌ চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষক এনে এখানে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি ফি ৫০০ টাকা। প্রতি ব্যাচে ১৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের সরকারি সনদ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, সরিষাখেতের কাছে মৌবাক্স স্থাপন করলে মৌমাছি প্রাকৃতিকভাবে বিচরণ করে। এতে ফুলের পরাগায়ন বৃদ্ধি পায়। ফলে সরিষার ফলনও বাড়ে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের মাঠে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন মৌয়ালরা। মৌ চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে তাঁদের এ ব্যস্ততা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) প্রশিক্ষণার্থী তাঁরা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের দাবি, সরকার স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করলে তাঁদের মতো বেকারেরা সহজে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
জয়পুরহাট বিসিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৩০ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে সরিষার ফুল থেকে। জেলায় এবার সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফুলও ভালো হয়েছে। তাই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ মধু সংগ্রহ হবে বলে আশা করছে বিসিক।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল, শালগ্রাম, শ্যামপুর, দস্তপুর, হালট্টি, হাদিগারা, হিলকুণ্ডা, তুরাগ, জলাটুলসহ কয়েকটি সরিষার মাঠে চলছে মৌয়ালদের মধু আহরণে ব্যস্ততা।
অধিক মধু আহরণের জন্য মৌয়ালরা ৮-১০টি দলে বিভক্ত হয়েছেন। প্রতি দলে থাকছেন ৪-৬ জন মৌয়াল। আর প্রতিটি দলে থাকছে ৪৫ থেকে ৯৫টি মৌবাক্স। প্রতি সপ্তাহে প্রতিটি দল আহরণ করছে ৫-১০ মণ মধু। প্রতি কেজি মধু ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) মৌমাছি পালন কর্মসূচিতে বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকা কারিগরি সহকারী হাফিজুর রহমান জানান, ১৯৭৭ সাল থেকে তিনি মৌমাছি চাষের সঙ্গে জড়িত। সারা দেশে ছড়িয়ে আছে তাঁর অসংখ্য প্রশিক্ষণার্থী।
হাফিজুর রহমান জানান, সরিষা চাষ করে সারা মাঠের কৃষকেরা যে পরিমাণ টাকা পাবেন, তার চেয়ে বেশি টাকা পাবেন মৌচাষিরা। কারণ এক কেজি সরিষার মূল্য ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা। কিন্তু ১ কেজি মধুর দাম ৪০০ টাকা।
জানা গেছে, জয়পুরহাটে বর্তমানে যে কয়টি দল মধু সংগ্রহের কাজ করছে, তারা কমপক্ষে ১০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করবে। এবার আবহাওয়া ও সরিষার ফুল দুই-ই ভালো হয়েছে। এ জন্য মধু সংগ্রহ বাড়বে।
নতুন প্রশিক্ষণার্থী ইউসুফ আলী জানান, তিনি মৌ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে বুঝেছেন যে, শিক্ষিত বেকারেরা চাকরির পিছে না ছুটে অল্প সময়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজিতে মৌ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব ঘোচাতে পারেন।
আমিনুর রশিদ জানান, তাঁর ২৫টি মৌবাক্স আছে। পুঁজির অভাবে তিনি তাঁর মৌখামার বাড়াতে পারছেন না। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে খামার বড় হতো।
বিসিক জয়পুরহাটের উপব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ জানান, জয়পুরহাটের পুরানাপৈল এলাকায় মৌ চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চলমান না থাকায় দিনাজপুরের বাঁশেরহাটের একটি মৌ চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষক এনে এখানে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি ফি ৫০০ টাকা। প্রতি ব্যাচে ১৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের সরকারি সনদ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, সরিষাখেতের কাছে মৌবাক্স স্থাপন করলে মৌমাছি প্রাকৃতিকভাবে বিচরণ করে। এতে ফুলের পরাগায়ন বৃদ্ধি পায়। ফলে সরিষার ফলনও বাড়ে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে