শম্পা বিশ্বাস, ঢাকা
মশকনিধনের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) যেসব যন্ত্র রয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ বিকল হয়ে পড়ে আছে। মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় কাজে আসছে না এসব যন্ত্র। যন্ত্রগুলো চালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা তাই অলস সময় কাটাচ্ছেন। যন্ত্রের অভাবে কাজ করতে না পারলেও মাস শেষে এসব কর্মীর বেতন-ভাতার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হচ্ছে ডিএনসিসিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যন্ত্র বিকল থাকায় দেড় শতাধিক মশকনিধন কর্মী কাজ করতে পারছেন না। এরপরও প্রতিমাসে তাঁরা ১০-২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন। ডেঙ্গু মশার প্রকোপে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, সেই সময়ে এভাবে বিপুল পরিমাণ যন্ত্র বিকল পড়ে থাকায় সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল যন্ত্র মেরামতের জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। এতগুলো যন্ত্র কেন বিকল হয়ে পড়ে আছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলেও জানান মেয়র।
কাজ ছাড়া কর্মীদের বেতন দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা বলেন, যন্ত্র বিকল বলে কর্মীরা কাজ করছেন এমন তথ্য সঠিক নয়। তাদের অন্য কাজও তো রয়েছে।
যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশকনিধন কর্মীরা তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরে কোনো কাজ করেন না।
ঢাকা উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডিএনসিসিতে মশকনিধনের কাজে ব্যবহারের যন্ত্র আছে ১ হাজার ৮২৯টি। এর মধ্যে সচল আছে ১ হাজার ২৬৫টি। বিকল হয়েছে ৫৬৪টি। সচল যন্ত্রের মধ্যে ৪৯০টি ফগার মেশিন (ধোঁয়া দেওয়ার যন্ত্র) এবং ৭৭৫টি হ্যান্ড মেশিন (তরল ওষুধ ছেটানোর যন্ত্র) রয়েছে। দশটি অঞ্চলে ভাগ করে ডিএনসিসির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রতি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন চালানোর জন্য কর্মী আছে ১০ জন করে। সেই হিসেবে ৫৪টি ওয়ার্ডে কাজ করছেন ৫৪০ জন মশকনিধন কর্মী। একই সঙ্গে হ্যান্ড মেশিন চালানোর জন্য কর্মী আছে মোট ৮৫২ জন। সব মিলিয়ে মশকনিধন কর্মী আছে ১ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে ১ ও ৩ নম্বর অঞ্চলের গঠনগত কারণে কর্মীর তুলনায় ৬৬টি করে যন্ত্র বেশি রয়েছে। বাকি আটটি অঞ্চলে যন্ত্র সচল আছে ১ হাজার ১৯৯টি। এই যন্ত্রগুলোর বিপরীতে অতিরিক্ত কর্মী আছেন ১৯৩ জন।
ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বসে থাকা কর্মীদের মধ্যে স্থায়ী কর্মী ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত কর্মীও রয়েছেন। স্থায়ী কর্মীদের বেতন প্রতি মাসে ২৬ হাজার টাকা। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিতরা পান মাসে ১০ হাজার টাকা।
গত বুধবার কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়-৫-এ গিয়ে দেখা যায়, গেটের বাম পাশে প্রায় শখানেক নষ্ট যন্ত্র পড়ে আছে। মোহাম্মদপুর টাউন হলের পাশে ডিএনসিসির গুদামেও রাখা হয়েছে আরও বেশ কিছু বিকল যন্ত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, এমন কোনো ওয়ার্ড নেই যেখানে জনবলের সমপরিমাণ যন্ত্র সচল রয়েছে। সিটি করপোরেশন টাকা দিচ্ছে না বলে যন্ত্রও মেরামত হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নগরবাসী সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন। আবার বসে থাকা কর্মীদের বেতন বাবদ প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
যন্ত্র মেরামতের টাকা না দেওয়ার বিষয়ে ডিএনসিসির সিইও সেলিম রেজা বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। যন্ত্র ঠিক করার দায়িত্ব আঞ্চলিক অফিসের। তারা মেরামত করে বিল জমা দিলে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।
মশকনিধনের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) যেসব যন্ত্র রয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ বিকল হয়ে পড়ে আছে। মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় কাজে আসছে না এসব যন্ত্র। যন্ত্রগুলো চালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা তাই অলস সময় কাটাচ্ছেন। যন্ত্রের অভাবে কাজ করতে না পারলেও মাস শেষে এসব কর্মীর বেতন-ভাতার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হচ্ছে ডিএনসিসিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যন্ত্র বিকল থাকায় দেড় শতাধিক মশকনিধন কর্মী কাজ করতে পারছেন না। এরপরও প্রতিমাসে তাঁরা ১০-২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন। ডেঙ্গু মশার প্রকোপে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, সেই সময়ে এভাবে বিপুল পরিমাণ যন্ত্র বিকল পড়ে থাকায় সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল যন্ত্র মেরামতের জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। এতগুলো যন্ত্র কেন বিকল হয়ে পড়ে আছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলেও জানান মেয়র।
কাজ ছাড়া কর্মীদের বেতন দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা বলেন, যন্ত্র বিকল বলে কর্মীরা কাজ করছেন এমন তথ্য সঠিক নয়। তাদের অন্য কাজও তো রয়েছে।
যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশকনিধন কর্মীরা তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরে কোনো কাজ করেন না।
ঢাকা উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডিএনসিসিতে মশকনিধনের কাজে ব্যবহারের যন্ত্র আছে ১ হাজার ৮২৯টি। এর মধ্যে সচল আছে ১ হাজার ২৬৫টি। বিকল হয়েছে ৫৬৪টি। সচল যন্ত্রের মধ্যে ৪৯০টি ফগার মেশিন (ধোঁয়া দেওয়ার যন্ত্র) এবং ৭৭৫টি হ্যান্ড মেশিন (তরল ওষুধ ছেটানোর যন্ত্র) রয়েছে। দশটি অঞ্চলে ভাগ করে ডিএনসিসির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রতি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন চালানোর জন্য কর্মী আছে ১০ জন করে। সেই হিসেবে ৫৪টি ওয়ার্ডে কাজ করছেন ৫৪০ জন মশকনিধন কর্মী। একই সঙ্গে হ্যান্ড মেশিন চালানোর জন্য কর্মী আছে মোট ৮৫২ জন। সব মিলিয়ে মশকনিধন কর্মী আছে ১ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে ১ ও ৩ নম্বর অঞ্চলের গঠনগত কারণে কর্মীর তুলনায় ৬৬টি করে যন্ত্র বেশি রয়েছে। বাকি আটটি অঞ্চলে যন্ত্র সচল আছে ১ হাজার ১৯৯টি। এই যন্ত্রগুলোর বিপরীতে অতিরিক্ত কর্মী আছেন ১৯৩ জন।
ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বসে থাকা কর্মীদের মধ্যে স্থায়ী কর্মী ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত কর্মীও রয়েছেন। স্থায়ী কর্মীদের বেতন প্রতি মাসে ২৬ হাজার টাকা। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিতরা পান মাসে ১০ হাজার টাকা।
গত বুধবার কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়-৫-এ গিয়ে দেখা যায়, গেটের বাম পাশে প্রায় শখানেক নষ্ট যন্ত্র পড়ে আছে। মোহাম্মদপুর টাউন হলের পাশে ডিএনসিসির গুদামেও রাখা হয়েছে আরও বেশ কিছু বিকল যন্ত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, এমন কোনো ওয়ার্ড নেই যেখানে জনবলের সমপরিমাণ যন্ত্র সচল রয়েছে। সিটি করপোরেশন টাকা দিচ্ছে না বলে যন্ত্রও মেরামত হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নগরবাসী সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন। আবার বসে থাকা কর্মীদের বেতন বাবদ প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
যন্ত্র মেরামতের টাকা না দেওয়ার বিষয়ে ডিএনসিসির সিইও সেলিম রেজা বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। যন্ত্র ঠিক করার দায়িত্ব আঞ্চলিক অফিসের। তারা মেরামত করে বিল জমা দিলে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে