সম্পাদকীয়
সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম। উত্তম-সুচিত্রা জুটি আজও বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ জুটি হিসেবে পরিগণিত।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বর্তমান সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সেনভাঙার জমিদারবাড়িতে তাঁর জন্ম। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। পরে পাবনা শহরের দিলালপুর এলাকায় তাঁর পরিবার স্থায়ী হয়। তিনি পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকের সময় তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনি।
১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ সিনেমার মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়, কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে ‘সাত নম্বর কয়েদী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। উত্তমকুমারের বিপরীতে প্রথম ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তিনি অভিনয় শুরু করেন। সেই থেকে বাংলা সিনেমার অবিসংবাদিত এই জুটি ছিলেন দর্শকদের মণিকোঠায়, যা আজও চলমান।
তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। ১৯৫৫ সালে ‘দেবদাস’ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান, যা ছিল তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি।
১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে। তিনিই একমাত্র ভারতীয় অভিনয়শিল্পী, যিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য নয়াদিল্লিতে যেতে হতো তাঁকে। কিন্তু তিনি জনসমক্ষে আসতে চাননি। ২০১২ সালে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করা হয়।
দীর্ঘ অভিনয়জীবনে তিনি মোট ৬২টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আর উত্তমকুমারের সঙ্গে প্রায় ৩০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর ১৯৭৮ সালে তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসর নেন। এরপর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।
সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম। উত্তম-সুচিত্রা জুটি আজও বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ জুটি হিসেবে পরিগণিত।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বর্তমান সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সেনভাঙার জমিদারবাড়িতে তাঁর জন্ম। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। পরে পাবনা শহরের দিলালপুর এলাকায় তাঁর পরিবার স্থায়ী হয়। তিনি পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকের সময় তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনি।
১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ সিনেমার মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়, কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে ‘সাত নম্বর কয়েদী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। উত্তমকুমারের বিপরীতে প্রথম ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তিনি অভিনয় শুরু করেন। সেই থেকে বাংলা সিনেমার অবিসংবাদিত এই জুটি ছিলেন দর্শকদের মণিকোঠায়, যা আজও চলমান।
তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। ১৯৫৫ সালে ‘দেবদাস’ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান, যা ছিল তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি।
১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে। তিনিই একমাত্র ভারতীয় অভিনয়শিল্পী, যিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য নয়াদিল্লিতে যেতে হতো তাঁকে। কিন্তু তিনি জনসমক্ষে আসতে চাননি। ২০১২ সালে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করা হয়।
দীর্ঘ অভিনয়জীবনে তিনি মোট ৬২টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আর উত্তমকুমারের সঙ্গে প্রায় ৩০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর ১৯৭৮ সালে তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসর নেন। এরপর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪