রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) একটি নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় সাড়ে ৩১ একর নিচু জমি নির্বাচন করা হয়েছে। অধিগ্রহণ করার সম্ভাবনায় প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একটি মহল ওই নিচু জমি ভরাট করে ভিটার মূল্যহারে টাকা আদায় করার ছক কষছে। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হলে পাশের জমির তুলনায় সরকারকে কয়েক গুণ টাকা বেশি গুনতে হবে। এভাবে জমি অধিগ্রহণ থেকেই প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতানোর নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদন থেকে এই নীলনকশার তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিসির পাঠানো প্রতিবেদন নোট আকারে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নজরে আনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এ বিষয়ে অভিমত ও নির্দেশনা চাওয়া হলে মন্ত্রী গত ২০ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে জানান, ইডিসিএলের বর্তমান শিল্পটি প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো ও ভঙ্গুর। জীর্ণ অবকাঠামোর কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে নতুন কারখানা স্থাপনে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্থান নির্বাচন করা হয়। সম্পূর্ণ অকৃষি জমি চিহ্নিত করে পিপিপি প্রস্তুত ও একনেকে উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্প পরিচালক ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে ভূমি অধিগ্রহণে অনুরোধের পরেও ছয় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এমনকি জমি অধিগ্রহণে ৪ ধারায় নোটিশ জারি করা হয়। মন্ত্রীর মতে, ৪ ধারায় নোটিশ জারির পর ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জেনেভায় অবস্থান করছেন। উচ্চ প্রযুক্তির অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। কারণ, এই প্রকল্পের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। শত কোটি টাকার লুটের অভিযোগ পদ্মা সেতুর মতো হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, সবকিছু হবে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে।
জানা যায়, ইডিসিএলের নতুন ওষুধ উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় ২০২১ সালে। এটি প্রকল্প আকারে একনেকে উপস্থাপন করা হয় এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদন করেন।
জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনে যা আছে
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো প্রতিবেদনে জানান, ইডিসিএলের ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৮৪ নম্বর মেঘশিমুল মৌজায় ৩১ দশমিক ৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাওয়া গেছে। জমি অধিগ্রহণে ইতিপূর্বে (২৭ ডিসেম্বর ২০২২) সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। ১৭ জানুয়ারি জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও দাখিলকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রস্তাবিত ভূমির শ্রেণি নাল (নিচু) হলেও সম্প্রতি সেখানে বালু ভরাট করে ভিটা শ্রেণি (উঁচু) করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জেলার অন্য কোনো মৌজায় দাম পরিবর্তন না করলেও ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি পরিকল্পিতভাবে মহাপরিদর্শক নিবন্ধনের স্মারক নম্বর ১০.০৫. ০০০০.০০৪. ৯৯.২১. ৭৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ২০২১ সালে জেলা রেজিস্ট্রার, মানিকগঞ্জের স্মারক নম্বর ৪১-এ মূলে শুধু ৮৪ নম্বর মেঘশিমুল মৌজার ভিটা/বাড়ি শ্রেণির সরকারি মূল্য ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আশপাশের মৌজার রেট অনেক কম। এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সদর উপজেলার ৫টি মৌজার জমির সরকারি মূল্যহারের তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ডিসি মন্তব্য করেন, প্রকল্পের জন্য মেঘশিমুল মৌজায় ভিটা শ্রেণির (পরিবর্তন করা) জমি অধিগ্রহণ করা হলে পার্শ্ববর্তী মৌজার চেয়ে সরকারের ৩ থেকে ১০ গুণ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এর পরিমাণ ৬০ থেকে ১০০ কোটি টাকা।
ডিসি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবিত জমির পরিবর্তে একই মৌজার অন্য জমিতে কিংবা পার্শ্ববর্তী কোনো মৌজায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে অথবা প্রস্তাবিত জমিতে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭-এর ৪(৭) ধারা মোতাবেক পরিবর্তিত ভিটা শ্রেণি অগ্রাহ্য করে মূল রেকর্ডীয় শ্রেণি নাল হিসেবে অধিগ্রহণ করা হলে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর প্রতিবেদনের আলোকে মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে ভূমি বরাদ্দ কমিটিকে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত জমিই অধিগ্রহণ করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটি এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
উল্টো ডিসির অপসারণ দাবি
এদিকে ইডিসিএলের জন্য জমি অধিগ্রহণে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের অপসারণ দাবি করেছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে ওই দাবি জানান দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ডিসিকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন।
ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে আগেই আলোচনা
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন দেওয়ার আগে ১৭ জানুয়ারি তাঁর সভাপতিত্বে জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভা হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ইডিসিএলের প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৩১ দশমিক ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুরোধ জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক সময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং পরিবর্তিত শ্রেণির জমির দাম পরিকল্পিতভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। তখন সরকারের আর্থিক সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পার্শ্ববর্তী মৌজায় বিকল্প স্থানে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় কি না, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ইডিসিএলের মত নিতে তাগিদ মন্ত্রীর
জানা যায়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অভিমত ও নির্দেশনা চাওয়া হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই প্রকল্পের মূল সুবিধাভোগী ইডিসিএলকে জানিয়ে তাদের মতামত নিতে বলেন। এর আলোকে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ অনুসরণ করে জরুরি ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করতেও বলেন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবিরকে একাধিকবার ফোন করে এবং বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) একটি নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় সাড়ে ৩১ একর নিচু জমি নির্বাচন করা হয়েছে। অধিগ্রহণ করার সম্ভাবনায় প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একটি মহল ওই নিচু জমি ভরাট করে ভিটার মূল্যহারে টাকা আদায় করার ছক কষছে। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হলে পাশের জমির তুলনায় সরকারকে কয়েক গুণ টাকা বেশি গুনতে হবে। এভাবে জমি অধিগ্রহণ থেকেই প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতানোর নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদন থেকে এই নীলনকশার তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিসির পাঠানো প্রতিবেদন নোট আকারে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নজরে আনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এ বিষয়ে অভিমত ও নির্দেশনা চাওয়া হলে মন্ত্রী গত ২০ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে জানান, ইডিসিএলের বর্তমান শিল্পটি প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো ও ভঙ্গুর। জীর্ণ অবকাঠামোর কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে নতুন কারখানা স্থাপনে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্থান নির্বাচন করা হয়। সম্পূর্ণ অকৃষি জমি চিহ্নিত করে পিপিপি প্রস্তুত ও একনেকে উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্প পরিচালক ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে ভূমি অধিগ্রহণে অনুরোধের পরেও ছয় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এমনকি জমি অধিগ্রহণে ৪ ধারায় নোটিশ জারি করা হয়। মন্ত্রীর মতে, ৪ ধারায় নোটিশ জারির পর ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জেনেভায় অবস্থান করছেন। উচ্চ প্রযুক্তির অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। কারণ, এই প্রকল্পের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। শত কোটি টাকার লুটের অভিযোগ পদ্মা সেতুর মতো হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, সবকিছু হবে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে।
জানা যায়, ইডিসিএলের নতুন ওষুধ উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় ২০২১ সালে। এটি প্রকল্প আকারে একনেকে উপস্থাপন করা হয় এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদন করেন।
জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনে যা আছে
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো প্রতিবেদনে জানান, ইডিসিএলের ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৮৪ নম্বর মেঘশিমুল মৌজায় ৩১ দশমিক ৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাওয়া গেছে। জমি অধিগ্রহণে ইতিপূর্বে (২৭ ডিসেম্বর ২০২২) সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। ১৭ জানুয়ারি জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও দাখিলকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রস্তাবিত ভূমির শ্রেণি নাল (নিচু) হলেও সম্প্রতি সেখানে বালু ভরাট করে ভিটা শ্রেণি (উঁচু) করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জেলার অন্য কোনো মৌজায় দাম পরিবর্তন না করলেও ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি পরিকল্পিতভাবে মহাপরিদর্শক নিবন্ধনের স্মারক নম্বর ১০.০৫. ০০০০.০০৪. ৯৯.২১. ৭৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ২০২১ সালে জেলা রেজিস্ট্রার, মানিকগঞ্জের স্মারক নম্বর ৪১-এ মূলে শুধু ৮৪ নম্বর মেঘশিমুল মৌজার ভিটা/বাড়ি শ্রেণির সরকারি মূল্য ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আশপাশের মৌজার রেট অনেক কম। এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সদর উপজেলার ৫টি মৌজার জমির সরকারি মূল্যহারের তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ডিসি মন্তব্য করেন, প্রকল্পের জন্য মেঘশিমুল মৌজায় ভিটা শ্রেণির (পরিবর্তন করা) জমি অধিগ্রহণ করা হলে পার্শ্ববর্তী মৌজার চেয়ে সরকারের ৩ থেকে ১০ গুণ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এর পরিমাণ ৬০ থেকে ১০০ কোটি টাকা।
ডিসি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবিত জমির পরিবর্তে একই মৌজার অন্য জমিতে কিংবা পার্শ্ববর্তী কোনো মৌজায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে অথবা প্রস্তাবিত জমিতে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭-এর ৪(৭) ধারা মোতাবেক পরিবর্তিত ভিটা শ্রেণি অগ্রাহ্য করে মূল রেকর্ডীয় শ্রেণি নাল হিসেবে অধিগ্রহণ করা হলে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর প্রতিবেদনের আলোকে মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে ভূমি বরাদ্দ কমিটিকে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত জমিই অধিগ্রহণ করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটি এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
উল্টো ডিসির অপসারণ দাবি
এদিকে ইডিসিএলের জন্য জমি অধিগ্রহণে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের অপসারণ দাবি করেছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে ওই দাবি জানান দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ডিসিকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন।
ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে আগেই আলোচনা
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন দেওয়ার আগে ১৭ জানুয়ারি তাঁর সভাপতিত্বে জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভা হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ইডিসিএলের প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৩১ দশমিক ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুরোধ জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক সময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং পরিবর্তিত শ্রেণির জমির দাম পরিকল্পিতভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। তখন সরকারের আর্থিক সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পার্শ্ববর্তী মৌজায় বিকল্প স্থানে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় কি না, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ইডিসিএলের মত নিতে তাগিদ মন্ত্রীর
জানা যায়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অভিমত ও নির্দেশনা চাওয়া হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই প্রকল্পের মূল সুবিধাভোগী ইডিসিএলকে জানিয়ে তাদের মতামত নিতে বলেন। এর আলোকে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ অনুসরণ করে জরুরি ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করতেও বলেন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবিরকে একাধিকবার ফোন করে এবং বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে