এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
ভোলায় ৩৩ বছর আগে খুন হয়েছিলেন দুই ভাই। এই জোড়া খুন মামলার বিচারকাজ হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয়েছিল ২৯ বছর আগে। মামলার তদবির করা ব্যক্তি নিখোঁজ ১৫ বছর ধরে। গত বছর আবেদন করে বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথির খোঁজ পাননি ভুক্তভোগীদের পরিবার।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, আসামিরা সচ্ছল, প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পাওয়ার পর থেকে ভয়ভীতি ও নানা হুমকি দিয়েছেন। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। ভয়ে মামলার খোঁজখবরও নেননি।
আইনজীবীরা বলছেন, ২৯ বছর ধরে স্থগিতাদেশ থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
মামলাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে বলতে হবে।’
মামলার নথি ও বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বাসিন্দা এখলাছ উদ্দিন দুই ছেলে সহিদুল ইসলাম (১৯) ও কামাল শেখকে (১১) নিয়ে ১৯৯১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোলার চর কুকরি-মুকরির চরনবিল নদীতে নৌকায় বসে মাছ ধরছিলেন। মেজ ছেলে জাহিদুল শেখ (১৬) মাছ সংরক্ষণের জন্য ছিল ডাঙায়। রাত নয়টার দিকে মুখ ঢাকা ১০-১২ জন ওই নৌকায় উঠে এখলাছকে কোপাতে থাকে।
উদ্দেশ্য ছিল, ভয় দেখিয়ে তাঁদের বাগেরহাটে ফেরত পাঠানো। হঠাৎ ছোট ছেলে কামাল বলে ওঠে, ‘মামা, বাবাকে মারবেন না।’ এরপর এক কোপে কামালের মাথা বিচ্ছিন্ন করে হামলাকারীদের একজন। প্রাণ বাঁচাতে সহিদুল নদীতে ঝাঁপ দিলে তাঁকে সেখানেই কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। নদীতে থাকা অন্য নৌকার জেলেরা পরদিন সকালে এখলাছের নৌকা তীরে আনেন। ঘটনা জানার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোলার চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন এখলাছের ভাই আব্দুল বারেক। মামলা নং-৭।
তদন্ত শেষে ১৯৯১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই সাতজন হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের শাহজাহান, আব্দুর রব, হারুন আলী শরীফ, ভিপি মোশারফ ও এসারত এবং চরফ্যাশনের মোস্তফা ওরফে কালা মোস্তফা ও কালাম। বাদীপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। মামলা তুলে নিতে বাদীকে ভয়ভীতি দেখান। এ নিয়ে মোস্তফা, আব্দুর রব, শাহজাহানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালের ১৪ জানুয়ারি থানায় জিডি করা হয়। পরে হুমকির বিষয়টি জানিয়ে আসামিদের জামিন বাতিলের জন্য আদালতে আবেদনও করা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (জিআর মামলা নং ৫০/৯২) সাক্ষ্য গ্রহণ চলা অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলার বিচারকাজ স্থগিত করেন ১৯৯৫ সালে। এখনো মামলাটির বিচারকাজ বন্ধ রয়েছে। আট বছর আগে এখলাছ উদ্দিন ও চার বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন।
বাদী আব্দুল বারেক বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অন্য নৌকায় ছিলাম। খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তবে দুই ভাতিজার লাশ পাইনি। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে ছিল। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) আমাকে সহযোগিতা করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসামিরা ব্যবসা করেন, প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়েছেন। আমরা গরিব মানুষ। পাশে কেউ নাই। এ কারণে ভয়ে আর খোঁজ নেওয়া হয়নি।’
এই মামলার বিষয়ে সহযোগিতা চাইতে নিহত দুজনের ভাই জাহিদুল শেখ ২২ জানুয়ারি এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও শিশুকন্যা। সেখানেই তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। বললেন, লিগ্যাল এইডের কর্মকর্তারা মামলার কাগজপত্র ও নথি চেয়েছেন।
কিন্তু গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নথির খোঁজ চেয়ে আবেদন করলে জানানো হয়, নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলার তদবির করতেন তাঁর ফুফা। তিনিও নিখোঁজ ১৫ বছর ধরে। নিখোঁজের ঘটনায় জিডিও করা হয়েছে। বাদী তাঁর চাচাও ভয়ে মামলার খোঁজ নেন না। তিনি বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতি, পুলিশ সদর দপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
জাহিদুলের বাড়ি মোরেলগঞ্জের হরগাতি গ্রামে। ১৬ বছর ধরে বালুশ্রমিক। বললেন, ‘ভয়ে বাড়ি যেতে পারি না। বাবার চিকিৎসা আর মামলার খরচ চালিয়ে এখন নিঃস্ব। দুই ভাইয়ের লাশও পাইনি। তবে মরার আগে বিচারটা অন্তত দেখে যেতে চাই।’ তিনি জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়েও যোগাযোগ করেছেন।
নথি খুঁজতে জাহিদুল শেখ ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন সুমনের মাধ্যমে। জানতে চাইলে ইউসুফ হোসেন সুমন বলেন, একজন মহিলা (জাহিদুলের স্ত্রী) এসেছিলেন। নথি পেতে আবেদন করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে তাঁরা আর খোঁজ রাখেননি।
খোঁজ নিলে ভোলার আদালতের একটি সূত্র জানায়, ফৌজদারি বিবিধ ১৪৩৪/৯৫ নং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
তবে হাইকোর্টের ফৌজদারি বিবিধ ও রেকর্ড শাখায় কয়েক দিন খুঁজে ওই নথি বের করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার খোঁজ রাখা বাদী-বিবাদীদের দায়িত্ব। এটি অনেক আগের মামলা, তাই হয়তো নথি খুঁজে পেতে দেরি হচ্ছে। নথি গায়েব হয়ে গেছে এমনটি বলার সুযোগ নেই।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৯ বছর ধরে স্থগিতাদেশ থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। যথাসময়ে বিচার না হলে মামলার আলামত নষ্ট হয়, অনেক সময় সাক্ষীদের কেউ কেউ মারা যান। এতে বিচারপ্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ভোলায় ৩৩ বছর আগে খুন হয়েছিলেন দুই ভাই। এই জোড়া খুন মামলার বিচারকাজ হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয়েছিল ২৯ বছর আগে। মামলার তদবির করা ব্যক্তি নিখোঁজ ১৫ বছর ধরে। গত বছর আবেদন করে বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথির খোঁজ পাননি ভুক্তভোগীদের পরিবার।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, আসামিরা সচ্ছল, প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পাওয়ার পর থেকে ভয়ভীতি ও নানা হুমকি দিয়েছেন। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। ভয়ে মামলার খোঁজখবরও নেননি।
আইনজীবীরা বলছেন, ২৯ বছর ধরে স্থগিতাদেশ থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
মামলাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে বলতে হবে।’
মামলার নথি ও বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বাসিন্দা এখলাছ উদ্দিন দুই ছেলে সহিদুল ইসলাম (১৯) ও কামাল শেখকে (১১) নিয়ে ১৯৯১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোলার চর কুকরি-মুকরির চরনবিল নদীতে নৌকায় বসে মাছ ধরছিলেন। মেজ ছেলে জাহিদুল শেখ (১৬) মাছ সংরক্ষণের জন্য ছিল ডাঙায়। রাত নয়টার দিকে মুখ ঢাকা ১০-১২ জন ওই নৌকায় উঠে এখলাছকে কোপাতে থাকে।
উদ্দেশ্য ছিল, ভয় দেখিয়ে তাঁদের বাগেরহাটে ফেরত পাঠানো। হঠাৎ ছোট ছেলে কামাল বলে ওঠে, ‘মামা, বাবাকে মারবেন না।’ এরপর এক কোপে কামালের মাথা বিচ্ছিন্ন করে হামলাকারীদের একজন। প্রাণ বাঁচাতে সহিদুল নদীতে ঝাঁপ দিলে তাঁকে সেখানেই কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। নদীতে থাকা অন্য নৌকার জেলেরা পরদিন সকালে এখলাছের নৌকা তীরে আনেন। ঘটনা জানার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোলার চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন এখলাছের ভাই আব্দুল বারেক। মামলা নং-৭।
তদন্ত শেষে ১৯৯১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই সাতজন হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের শাহজাহান, আব্দুর রব, হারুন আলী শরীফ, ভিপি মোশারফ ও এসারত এবং চরফ্যাশনের মোস্তফা ওরফে কালা মোস্তফা ও কালাম। বাদীপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। মামলা তুলে নিতে বাদীকে ভয়ভীতি দেখান। এ নিয়ে মোস্তফা, আব্দুর রব, শাহজাহানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালের ১৪ জানুয়ারি থানায় জিডি করা হয়। পরে হুমকির বিষয়টি জানিয়ে আসামিদের জামিন বাতিলের জন্য আদালতে আবেদনও করা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (জিআর মামলা নং ৫০/৯২) সাক্ষ্য গ্রহণ চলা অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলার বিচারকাজ স্থগিত করেন ১৯৯৫ সালে। এখনো মামলাটির বিচারকাজ বন্ধ রয়েছে। আট বছর আগে এখলাছ উদ্দিন ও চার বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন।
বাদী আব্দুল বারেক বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অন্য নৌকায় ছিলাম। খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তবে দুই ভাতিজার লাশ পাইনি। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে ছিল। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) আমাকে সহযোগিতা করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসামিরা ব্যবসা করেন, প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়েছেন। আমরা গরিব মানুষ। পাশে কেউ নাই। এ কারণে ভয়ে আর খোঁজ নেওয়া হয়নি।’
এই মামলার বিষয়ে সহযোগিতা চাইতে নিহত দুজনের ভাই জাহিদুল শেখ ২২ জানুয়ারি এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও শিশুকন্যা। সেখানেই তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। বললেন, লিগ্যাল এইডের কর্মকর্তারা মামলার কাগজপত্র ও নথি চেয়েছেন।
কিন্তু গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নথির খোঁজ চেয়ে আবেদন করলে জানানো হয়, নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলার তদবির করতেন তাঁর ফুফা। তিনিও নিখোঁজ ১৫ বছর ধরে। নিখোঁজের ঘটনায় জিডিও করা হয়েছে। বাদী তাঁর চাচাও ভয়ে মামলার খোঁজ নেন না। তিনি বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতি, পুলিশ সদর দপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
জাহিদুলের বাড়ি মোরেলগঞ্জের হরগাতি গ্রামে। ১৬ বছর ধরে বালুশ্রমিক। বললেন, ‘ভয়ে বাড়ি যেতে পারি না। বাবার চিকিৎসা আর মামলার খরচ চালিয়ে এখন নিঃস্ব। দুই ভাইয়ের লাশও পাইনি। তবে মরার আগে বিচারটা অন্তত দেখে যেতে চাই।’ তিনি জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়েও যোগাযোগ করেছেন।
নথি খুঁজতে জাহিদুল শেখ ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন সুমনের মাধ্যমে। জানতে চাইলে ইউসুফ হোসেন সুমন বলেন, একজন মহিলা (জাহিদুলের স্ত্রী) এসেছিলেন। নথি পেতে আবেদন করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে তাঁরা আর খোঁজ রাখেননি।
খোঁজ নিলে ভোলার আদালতের একটি সূত্র জানায়, ফৌজদারি বিবিধ ১৪৩৪/৯৫ নং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
তবে হাইকোর্টের ফৌজদারি বিবিধ ও রেকর্ড শাখায় কয়েক দিন খুঁজে ওই নথি বের করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার খোঁজ রাখা বাদী-বিবাদীদের দায়িত্ব। এটি অনেক আগের মামলা, তাই হয়তো নথি খুঁজে পেতে দেরি হচ্ছে। নথি গায়েব হয়ে গেছে এমনটি বলার সুযোগ নেই।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৯ বছর ধরে স্থগিতাদেশ থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। যথাসময়ে বিচার না হলে মামলার আলামত নষ্ট হয়, অনেক সময় সাক্ষীদের কেউ কেউ মারা যান। এতে বিচারপ্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে