মুলাদীতে মামলা তুলে নিতে বাদীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার সকালে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের চরগাছুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর সন্ধ্যায় সাক্ষীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চরগাছুয়া গ্রামের আলাউদ্দীন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। একই বাড়ির আলতাফ হাওলাদার, তাঁর আত্মীয় সেরাজ সরদার লোকজন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আলাউদ্দীন হাওলাদার।

আলাউদ্দীন হাওলাদার বলেন, ‘চরগাছুয়া মৌজায় একটি জমি নিয়ে আলতাফ হাওলাদারের সঙ্গে আমার বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বরিশাল আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। আলতাফ হাওলাদার একাধিকবার মামলাগুলো তুলে নিতে হুমকি দিয়েছেন।’

আলাউদ্দীন হাওলাদারের স্ত্রী মিনারা বেগম জানান, সোমবার ভোরে ঘরের সামনে শীতের কাপড় বের করছিলেন। এ সময় আলতাফ হাওলাদার গালি দিতে শুরু করেন। এতে মিনারার ছেলে হৃদয় প্রতিবাদ করেন। এতে আলতাফ হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজনকে ডাক দেন। ওই সময় আলতাফ হাওলাদারের আত্মীয় সেরাজ সরদার, আবুল হাওলাদার, সুজন হাওলাদারসহ ৭-৮ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হৃদয় হাওলাদারকে পিটিয়ে আহত করেন। আলাউদ্দীন হাওলাদার ও তার স্ত্রী ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।

আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বেলা ১১টার দিকে আলাউদ্দীন হাওলাদার বাদী হয়ে সেরাজ সরদার, আলতাফ হাওলাদারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ দেন। মুলাদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা সাক্ষ্য দেন। এতে আলতাফ হাওলাদারের লোকজন সাক্ষী ফারুকী বেগম, তাঁর মেয়ে নিপা আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।

নিপা আক্তার বলেন, ‘সকালে সেরাজ সরদার, আলতাফ হাওলাদার ও তাদের লোকজন হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করেছে। পুলিশ এলে আমরা সত্যি কথা বলেছি। এতে হামলাকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন। আমাকে ও আমার মাকে জখম করেন।’

আলতাফ হোসেন ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

মুলাদী থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সকালে হামলার ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শন করেছে। সন্ধ্যায় সাক্ষীদের ওপর হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।