মীর রাকিব হাসান
কখন মনে হলো সিনেমা নির্মাণ প্রয়োজন?
২০১২-১৩ সালের দিকে এ টি এম শামসুজ্জামান যখন আমার সঙ্গে ধারাবাহিক ‘নোয়াশাল’ করেন, তিনি খুব করে বলছিলেন সাব্বির সিনেমা বানাও। নরেশ ভুইয়া বহুদিন বলেছেন, তুই একটা সিনেমা বানা। পীযূষ দা ২০১০ সালের দিকে খুব সিরিয়াস হয়ে এক দিন বলেন, তুই সিনেমা বানানোর ছেলে। সেই প্রস্তুতি তো তোর নেওয়া দরকার। আমার কাছের এমন অসংখ্য মানুষ, সিনিয়ররা আমাকে এই কথাগুলো বলেছেন। কথাগুলো আস্তে আস্তে মনে গেঁথেছে। আমারও মনে হয়েছে বড় করে একটা গল্প বলা দরকার। একটা গল্প মাথার মধ্যে ঘুরছিলও অনেক দিন। ২০১৮ সালে অনুদানের জন্য জমা দেই। ভাবলাম দেখি প্রথম স্টেপে পাস করি কি না। অনুদান পাওয়ার পর সাহসটা বহু গুণ বেড়ে যায়। অনুদানের পাশাপাশি আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুলঝুড়ি মিডিয়া লিমিটেড ছবিটির জন্য অর্থ ব্যয় করেছে।
ছবির গল্পটা কেমন?
এটা আমার ভেতরের বহুদিনের লালন করা একটা গল্প। বহুদিন ধরে ডালপালা মেলেছে। আমি স্বপ্ন দেখতাম আমার সিনেমাতে সুন্দর সুন্দর নদী থাকবে। গাছগাছালি, বন থাকবে। সুন্দর অভিনয় থাকবে। সুন্দর সংগীত, সংলাপ থাকবে, যাতে মানুষ বহুদিন এই ছবি মনে রাখে। একবার হলে গিয়ে দেখল আর ভুলে গেল এমন কাজ করতে চাইনি। এটা আসলে মালা গাঁথার মতো। বহুদিন এই মালাটা গেঁথেছি। কল্পনার ঘটনাকেই বাস্তব করতে চেয়েছি। মানুষ যখন দেখবে হয়তো এর কোনো না কোনো অংশ নিজের পরিচিত কোনো চরিত্রের সঙ্গে মেশাতে পারবে।
ছবির নাম ‘রাত জাগা ফুল’ কেন?
গল্পে একটা রহস্য আছে। সেই রহস্যটা এখনই প্রকাশ করতে চাই না। তবে ছবির নামকরণটা রূপক অর্থে করা হয়েছে। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন পুরো পৃথিবীটাই যেন ঘুমিয়ে থাকে। জেগে থাকে অন্য একটা প্রকৃতি, অন্য এক জগৎ। আবার, আমরা যখন কাজে থাকি, তখন ঘুমিয়ে থাকে সেই অন্য জগৎ। এর একটা ব্যাখ্যা কিন্তু আছে। সব অন্ধকারের মধ্যে একটা অদ্ভুত আলো থাকে। মানুষের ভেতরেও অন্ধকার এবং আলো আছে। দিন শেষে সব বিজয় সত্য ও সুন্দরেরই হয়।
রইস চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটা সম্পর্কে বলবেন?
এটা অনেক মানুষের একটা রূপক চরিত্র। যে প্রকৃতির কল্যাণেই বেড়ে ওঠে। মনুষ্য সমাজের চেয়ে বনেবাদাড়েই ঘুরে বেড়ায় বেশি। তার বেড়ে ওঠায় কৃত্রিমতা নেই। আমরা পৃথিবীর নানা রঙে বর্ণে ইট কাঠের খাঁচায় যেমন বহুরূপী হয়ে উঠি, রইস তেমন না। আমাদের তো প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। কিন্তু রইস প্রকৃতির একটা অংশ। আমাদের প্রকৃতির খুব কাছে নিয়ে যায় রইস।
রইস হয়ে ওঠার কোনো ব্যাপার ছিল?
এর জন্য প্রায় আট মাস আগে থেকে চুল কাটা বন্ধ করে দেই। চার মাস আগে থেকে দাড়ি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তিন মাসের মতো কোনো শুটিং করিনি। নানাভাবে এই চরিত্র ও ছবির জন্য সময় দিয়েছি।
ছবিতে একঝাঁক অভিনয়শি ল্পী। প্রধান নায়ক-নায়িকা কে?
গল্পই এই ছবির নায়ক। এই ছবির যে দর্শন, সেটাই নায়ক। আমরা যারা অভিনয় করেছি তারা চরিত্রের প্রয়োজনেই এসেছি। যেখানে যাকে মনে হয়েছে, তাকেই অনুরোধ করেছি ছবিটি করার। আবুল হায়াত, দিলারা জামান, ফজলুর রহমান বাবু, জয়রাজসহ পুরোনো যারা অভিনয় করেছি, তাঁরা একে অপরকে বহুদিন ধরেই চিনি। নতুনদের নিয়ে আলাদা করে বলতে হয়। তানভীর, ঐশী, তানিন তানহা, শাহেদ শাহরিয়ার অভিনয় করেছেন। দারুণ করেছেন তাঁরা। এখনকার নতুনরা আসলেই মেধাবী। কাজটা সহজে বুঝতে পারেন। আউটডোরে শুটিংয়ে তো ভোর চারটায় উঠে বসেছিলেন তাঁরা। তাঁরা ভালো গল্প খোঁজেন, ভালো চরিত্র খোঁজেন। আমরাই হয়তো তাঁদের সেই সুযোগটা দিতে পারি না।
গানে অনেক বরেণ্য শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন…
নচিকেতা, শফি মণ্ডল, মমতাজ, এস আই টুটুল, রাহুল আনন্দ, হৃদয় খান আমার ছবিতে গেয়েছেন। গল্প লিখতে লিখতে যে সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে, সেখানেই গানের উৎপত্তি। আর প্রত্যেকটা গান তাই আমার লেখা। শিল্পীর জন্য গান নির্বাচন করিনি, গানের জন্য, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে শিল্পী নির্বাচন করেছি।
অভিনেতা থেকে পরিচালক হওয়ার প্রাপ্তি কী?
অভিনেতা একটা চরিত্রকে নির্মাণ করেন। পরিচালক একটা গল্পকে নির্মাণ করেন। এটা একটা আবিষ্কারও বলা যায়। নির্মাতা একজন আবিষ্কারক। সেটাই নির্মাতা হওয়ার বড় প্রাপ্তি।
মুক্তির অগের সময়টা কীভাবে কাটছে?
২০-২৫ দিনের শুটিং বন্ধ। প্রতি রাতে ঘুমাতে দেরি হয়। সবার কথা শুনছি। তা ছাড়া স্বাভাবিকভাবে সিনেমা মুক্তির আগে যে ব্যাপারগুলো থাকে, তা তো আছেই।
বড় পর্দায় আগেও কাজ করেছেন। কিন্তু সেই সুফল ঘরে তুলতে পারেননি। আপনাকে নিয়মিত পাওয়া যায়নি ছবিতে। নিজের ছবিতে আবার নায়ক হয়ে ফিরছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।
আমার মনে হয়, মেইনস্ট্রিমে কাজের জন্য যে সময় দেওয়ার দরকার ছিল, সেটা আমি দিতে পারিনি। এটা আসলে সময় দেওয়ার ব্যাপার। একজন শাকিব খান কিংবা শাবনূর, রিয়াজ-ফেরদৌস-পূর্ণিমাদের মতো হতে হলে ওইখানে শতভাগ সময় দিতে হয়। যেটা আমি দিতে পারিনি। তবে এখন সারা পৃথিবীর সিনেমার ফিলোসফি চেঞ্জ হয়েছে। অমিতাভ বচ্চনও এই বয়সে নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করছেন, আবার তাঁকে নিয়ে নতুন নতুন গল্প, চরিত্র তৈরিও হচ্ছে। একজন নায়কের চেয়ে একজন অভিনেতাকে নিয়েও সিনেমা নির্মাণ সম্ভব।
সিনেমাটি দেখতে দর্শক কেন হলে যাবে?
গল্পটা কারও মাথার ওপর দিয়ে যাবে না। ভাবাবে, মনে গেথে থাকবে। রোমান্টিক একটা গল্প। দেশের গল্প। ছবিটা দেখার পর মনে হবে সুন্দর একটা গল্প দেখলাম। সিনেমাতে যা যা থাকার দরকার, তার সবই এতে আছে। দর্শকদের তৃপ্তি দিতেই ‘রাত জাগা ফুল’ বানিয়েছি।
বলা হয় বর্তমান সময়টা ওটিটির। এই সময়ে ছবিটি দেখতে হলে দর্শক আসবে?
‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মতো ছবিও আমি হলে গিয়ে দেখেছি। সব ছবির বেলাতেই হলে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। চলতি মাসে এ বছরের সর্বোচ্চ ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ছবিগুলো দেখতে মানুষ হলে যাচ্ছে। ছবি দেখার যত মাধ্যমের কথাই বলুন না কেন মানুষ কিন্তু সিনেমাটা হলে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে টিকিট কেটেই দেখতে পছন্দ করেন। তাই বলতে পারি রাত জাগা ফুল দেখতেও দর্শকরা হলে আসবেন।
কখন মনে হলো সিনেমা নির্মাণ প্রয়োজন?
২০১২-১৩ সালের দিকে এ টি এম শামসুজ্জামান যখন আমার সঙ্গে ধারাবাহিক ‘নোয়াশাল’ করেন, তিনি খুব করে বলছিলেন সাব্বির সিনেমা বানাও। নরেশ ভুইয়া বহুদিন বলেছেন, তুই একটা সিনেমা বানা। পীযূষ দা ২০১০ সালের দিকে খুব সিরিয়াস হয়ে এক দিন বলেন, তুই সিনেমা বানানোর ছেলে। সেই প্রস্তুতি তো তোর নেওয়া দরকার। আমার কাছের এমন অসংখ্য মানুষ, সিনিয়ররা আমাকে এই কথাগুলো বলেছেন। কথাগুলো আস্তে আস্তে মনে গেঁথেছে। আমারও মনে হয়েছে বড় করে একটা গল্প বলা দরকার। একটা গল্প মাথার মধ্যে ঘুরছিলও অনেক দিন। ২০১৮ সালে অনুদানের জন্য জমা দেই। ভাবলাম দেখি প্রথম স্টেপে পাস করি কি না। অনুদান পাওয়ার পর সাহসটা বহু গুণ বেড়ে যায়। অনুদানের পাশাপাশি আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুলঝুড়ি মিডিয়া লিমিটেড ছবিটির জন্য অর্থ ব্যয় করেছে।
ছবির গল্পটা কেমন?
এটা আমার ভেতরের বহুদিনের লালন করা একটা গল্প। বহুদিন ধরে ডালপালা মেলেছে। আমি স্বপ্ন দেখতাম আমার সিনেমাতে সুন্দর সুন্দর নদী থাকবে। গাছগাছালি, বন থাকবে। সুন্দর অভিনয় থাকবে। সুন্দর সংগীত, সংলাপ থাকবে, যাতে মানুষ বহুদিন এই ছবি মনে রাখে। একবার হলে গিয়ে দেখল আর ভুলে গেল এমন কাজ করতে চাইনি। এটা আসলে মালা গাঁথার মতো। বহুদিন এই মালাটা গেঁথেছি। কল্পনার ঘটনাকেই বাস্তব করতে চেয়েছি। মানুষ যখন দেখবে হয়তো এর কোনো না কোনো অংশ নিজের পরিচিত কোনো চরিত্রের সঙ্গে মেশাতে পারবে।
ছবির নাম ‘রাত জাগা ফুল’ কেন?
গল্পে একটা রহস্য আছে। সেই রহস্যটা এখনই প্রকাশ করতে চাই না। তবে ছবির নামকরণটা রূপক অর্থে করা হয়েছে। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন পুরো পৃথিবীটাই যেন ঘুমিয়ে থাকে। জেগে থাকে অন্য একটা প্রকৃতি, অন্য এক জগৎ। আবার, আমরা যখন কাজে থাকি, তখন ঘুমিয়ে থাকে সেই অন্য জগৎ। এর একটা ব্যাখ্যা কিন্তু আছে। সব অন্ধকারের মধ্যে একটা অদ্ভুত আলো থাকে। মানুষের ভেতরেও অন্ধকার এবং আলো আছে। দিন শেষে সব বিজয় সত্য ও সুন্দরেরই হয়।
রইস চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটা সম্পর্কে বলবেন?
এটা অনেক মানুষের একটা রূপক চরিত্র। যে প্রকৃতির কল্যাণেই বেড়ে ওঠে। মনুষ্য সমাজের চেয়ে বনেবাদাড়েই ঘুরে বেড়ায় বেশি। তার বেড়ে ওঠায় কৃত্রিমতা নেই। আমরা পৃথিবীর নানা রঙে বর্ণে ইট কাঠের খাঁচায় যেমন বহুরূপী হয়ে উঠি, রইস তেমন না। আমাদের তো প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। কিন্তু রইস প্রকৃতির একটা অংশ। আমাদের প্রকৃতির খুব কাছে নিয়ে যায় রইস।
রইস হয়ে ওঠার কোনো ব্যাপার ছিল?
এর জন্য প্রায় আট মাস আগে থেকে চুল কাটা বন্ধ করে দেই। চার মাস আগে থেকে দাড়ি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তিন মাসের মতো কোনো শুটিং করিনি। নানাভাবে এই চরিত্র ও ছবির জন্য সময় দিয়েছি।
ছবিতে একঝাঁক অভিনয়শি ল্পী। প্রধান নায়ক-নায়িকা কে?
গল্পই এই ছবির নায়ক। এই ছবির যে দর্শন, সেটাই নায়ক। আমরা যারা অভিনয় করেছি তারা চরিত্রের প্রয়োজনেই এসেছি। যেখানে যাকে মনে হয়েছে, তাকেই অনুরোধ করেছি ছবিটি করার। আবুল হায়াত, দিলারা জামান, ফজলুর রহমান বাবু, জয়রাজসহ পুরোনো যারা অভিনয় করেছি, তাঁরা একে অপরকে বহুদিন ধরেই চিনি। নতুনদের নিয়ে আলাদা করে বলতে হয়। তানভীর, ঐশী, তানিন তানহা, শাহেদ শাহরিয়ার অভিনয় করেছেন। দারুণ করেছেন তাঁরা। এখনকার নতুনরা আসলেই মেধাবী। কাজটা সহজে বুঝতে পারেন। আউটডোরে শুটিংয়ে তো ভোর চারটায় উঠে বসেছিলেন তাঁরা। তাঁরা ভালো গল্প খোঁজেন, ভালো চরিত্র খোঁজেন। আমরাই হয়তো তাঁদের সেই সুযোগটা দিতে পারি না।
গানে অনেক বরেণ্য শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন…
নচিকেতা, শফি মণ্ডল, মমতাজ, এস আই টুটুল, রাহুল আনন্দ, হৃদয় খান আমার ছবিতে গেয়েছেন। গল্প লিখতে লিখতে যে সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে, সেখানেই গানের উৎপত্তি। আর প্রত্যেকটা গান তাই আমার লেখা। শিল্পীর জন্য গান নির্বাচন করিনি, গানের জন্য, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে শিল্পী নির্বাচন করেছি।
অভিনেতা থেকে পরিচালক হওয়ার প্রাপ্তি কী?
অভিনেতা একটা চরিত্রকে নির্মাণ করেন। পরিচালক একটা গল্পকে নির্মাণ করেন। এটা একটা আবিষ্কারও বলা যায়। নির্মাতা একজন আবিষ্কারক। সেটাই নির্মাতা হওয়ার বড় প্রাপ্তি।
মুক্তির অগের সময়টা কীভাবে কাটছে?
২০-২৫ দিনের শুটিং বন্ধ। প্রতি রাতে ঘুমাতে দেরি হয়। সবার কথা শুনছি। তা ছাড়া স্বাভাবিকভাবে সিনেমা মুক্তির আগে যে ব্যাপারগুলো থাকে, তা তো আছেই।
বড় পর্দায় আগেও কাজ করেছেন। কিন্তু সেই সুফল ঘরে তুলতে পারেননি। আপনাকে নিয়মিত পাওয়া যায়নি ছবিতে। নিজের ছবিতে আবার নায়ক হয়ে ফিরছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।
আমার মনে হয়, মেইনস্ট্রিমে কাজের জন্য যে সময় দেওয়ার দরকার ছিল, সেটা আমি দিতে পারিনি। এটা আসলে সময় দেওয়ার ব্যাপার। একজন শাকিব খান কিংবা শাবনূর, রিয়াজ-ফেরদৌস-পূর্ণিমাদের মতো হতে হলে ওইখানে শতভাগ সময় দিতে হয়। যেটা আমি দিতে পারিনি। তবে এখন সারা পৃথিবীর সিনেমার ফিলোসফি চেঞ্জ হয়েছে। অমিতাভ বচ্চনও এই বয়সে নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করছেন, আবার তাঁকে নিয়ে নতুন নতুন গল্প, চরিত্র তৈরিও হচ্ছে। একজন নায়কের চেয়ে একজন অভিনেতাকে নিয়েও সিনেমা নির্মাণ সম্ভব।
সিনেমাটি দেখতে দর্শক কেন হলে যাবে?
গল্পটা কারও মাথার ওপর দিয়ে যাবে না। ভাবাবে, মনে গেথে থাকবে। রোমান্টিক একটা গল্প। দেশের গল্প। ছবিটা দেখার পর মনে হবে সুন্দর একটা গল্প দেখলাম। সিনেমাতে যা যা থাকার দরকার, তার সবই এতে আছে। দর্শকদের তৃপ্তি দিতেই ‘রাত জাগা ফুল’ বানিয়েছি।
বলা হয় বর্তমান সময়টা ওটিটির। এই সময়ে ছবিটি দেখতে হলে দর্শক আসবে?
‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মতো ছবিও আমি হলে গিয়ে দেখেছি। সব ছবির বেলাতেই হলে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। চলতি মাসে এ বছরের সর্বোচ্চ ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ছবিগুলো দেখতে মানুষ হলে যাচ্ছে। ছবি দেখার যত মাধ্যমের কথাই বলুন না কেন মানুষ কিন্তু সিনেমাটা হলে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে টিকিট কেটেই দেখতে পছন্দ করেন। তাই বলতে পারি রাত জাগা ফুল দেখতেও দর্শকরা হলে আসবেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে