নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে গ্যাস-সংকট। প্রথম দিকে শহরের বাইরে সংকট দেখা দিলেও ধীরে ধীরে সেই ধাক্কা এসে লেগেছে জেলা শহরেও। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন আবাসিক গ্যাস-সংযোগ ব্যবহারকারীরা। রান্নার সময় চুলায় মিলছে না পর্যাপ্ত গ্যাস। বিকল্প হিসেবে গৃহিণীদের কেউ কেউ লাকড়ির চুলা, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করলেও কর্মজীবীরা ঝুঁকছেন ইলেকট্রিক পণ্যের দিকে। গ্যাসের চুলার বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন রাইস কুকার এবং বৈদ্যুতিক চুলা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া, জামতলা, মিশনপাড়া, খানপুর, আমলাপাড়া, গলাচিপা, উকিলপাড়া, মণ্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ, নলুয়া, দেওভোগসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকে না বললেই চলে। একই অবস্থা বিরাজ করছে ফতুল্লার শিয়াচর, রেলস্টেশন, লালপুর, সস্তাপুর, কুতুবআইল ও রামারবাগ এলাকায়ও। শিল্পকারখানা সমৃদ্ধ এসব এলাকায় বসবাস করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। গ্যাস-সংকটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে বৈদ্যুতিক চুলার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এসব এলাকায়।
ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার বাসিন্দা আসমা (৫৫) বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাস থেকে দিনের বেলা গ্যাস পাওয়াই যাচ্ছে না। লাকড়ি আনা নেওয়া ঝামেলার বিষয়। বাধ্য হয়ে এখন বৈদ্যুতিক চুলা কিনে নিয়েছি। বিদ্যুৎ বিল বেশি এলেও কিছু করার নেই।’
শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল আফসার শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দামের চুলা দেখছিলেন তিনি। কথা হলে নুরুল বলেন, ‘রাতের বেলা চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে আজ এসেছি চুলা কিনতে।’
গত এক মাসে বৈদ্যুতিক চুলা ও রাইস কুকারের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ভিশন ইলেকট্রনিকস শোরুমের ম্যানেজার মেহেদী হাসান। বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত ওয়ালটন শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধি শামীম বলেন, ‘প্রতিদিন ৭-৮টি চুলা এবং ৬-৭টির মতো রাইস কুকার বিক্রি হয়। গ্যাস-সংকট বাড়ার পরপরই চাহিদা বেড়েছে এসব পণ্যের।’
শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটে অবস্থিত মিনিস্টার শোরুমের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মানুষ এক প্রকার বাধ্য হয়ে চুলা ও রাইস কুকার কিনছেন। চীনা পণ্যের আমদানিও কমে গেছে। দাম বাড়ছে সবকিছুর। আমরা শুধু রাইস কুকার বিক্রি করছি। প্রতিদিন ১০টির মতো রাইস কুকার বিক্রি হচ্ছে।’
গ্যাসের চুলার বিকল্প হিসেবে ইলেকট্রনিক এসব পণ্যে বিদ্যুৎ খরচের বিষয়ে তাঁরা জানান, দুজনের পরিবার হলে মাসে ৩০০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে না। আর পরিবার বড় হলে সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ হবে। এদিক থেকে সিলিন্ডার গ্যাসের চেয়ে বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহারে সাশ্রয় হচ্ছে।
গ্যাস-সংকটের বিষয়ে তিতাস গ্যাস, নারায়ণগঞ্জের উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে যে পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা, সেই অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গ্যাস-সংকটের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আমরা আশা করছি, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই গ্যাস-সংকট কমে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।’
নারায়ণগঞ্জে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে গ্যাস-সংকট। প্রথম দিকে শহরের বাইরে সংকট দেখা দিলেও ধীরে ধীরে সেই ধাক্কা এসে লেগেছে জেলা শহরেও। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন আবাসিক গ্যাস-সংযোগ ব্যবহারকারীরা। রান্নার সময় চুলায় মিলছে না পর্যাপ্ত গ্যাস। বিকল্প হিসেবে গৃহিণীদের কেউ কেউ লাকড়ির চুলা, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করলেও কর্মজীবীরা ঝুঁকছেন ইলেকট্রিক পণ্যের দিকে। গ্যাসের চুলার বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন রাইস কুকার এবং বৈদ্যুতিক চুলা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া, জামতলা, মিশনপাড়া, খানপুর, আমলাপাড়া, গলাচিপা, উকিলপাড়া, মণ্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ, নলুয়া, দেওভোগসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকে না বললেই চলে। একই অবস্থা বিরাজ করছে ফতুল্লার শিয়াচর, রেলস্টেশন, লালপুর, সস্তাপুর, কুতুবআইল ও রামারবাগ এলাকায়ও। শিল্পকারখানা সমৃদ্ধ এসব এলাকায় বসবাস করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। গ্যাস-সংকটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে বৈদ্যুতিক চুলার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এসব এলাকায়।
ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার বাসিন্দা আসমা (৫৫) বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাস থেকে দিনের বেলা গ্যাস পাওয়াই যাচ্ছে না। লাকড়ি আনা নেওয়া ঝামেলার বিষয়। বাধ্য হয়ে এখন বৈদ্যুতিক চুলা কিনে নিয়েছি। বিদ্যুৎ বিল বেশি এলেও কিছু করার নেই।’
শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল আফসার শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দামের চুলা দেখছিলেন তিনি। কথা হলে নুরুল বলেন, ‘রাতের বেলা চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে আজ এসেছি চুলা কিনতে।’
গত এক মাসে বৈদ্যুতিক চুলা ও রাইস কুকারের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ভিশন ইলেকট্রনিকস শোরুমের ম্যানেজার মেহেদী হাসান। বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত ওয়ালটন শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধি শামীম বলেন, ‘প্রতিদিন ৭-৮টি চুলা এবং ৬-৭টির মতো রাইস কুকার বিক্রি হয়। গ্যাস-সংকট বাড়ার পরপরই চাহিদা বেড়েছে এসব পণ্যের।’
শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটে অবস্থিত মিনিস্টার শোরুমের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মানুষ এক প্রকার বাধ্য হয়ে চুলা ও রাইস কুকার কিনছেন। চীনা পণ্যের আমদানিও কমে গেছে। দাম বাড়ছে সবকিছুর। আমরা শুধু রাইস কুকার বিক্রি করছি। প্রতিদিন ১০টির মতো রাইস কুকার বিক্রি হচ্ছে।’
গ্যাসের চুলার বিকল্প হিসেবে ইলেকট্রনিক এসব পণ্যে বিদ্যুৎ খরচের বিষয়ে তাঁরা জানান, দুজনের পরিবার হলে মাসে ৩০০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে না। আর পরিবার বড় হলে সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ হবে। এদিক থেকে সিলিন্ডার গ্যাসের চেয়ে বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহারে সাশ্রয় হচ্ছে।
গ্যাস-সংকটের বিষয়ে তিতাস গ্যাস, নারায়ণগঞ্জের উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে যে পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা, সেই অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গ্যাস-সংকটের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আমরা আশা করছি, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই গ্যাস-সংকট কমে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে