রকিবুল হাসান রবিন
বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, এই হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন এজেন্সির শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। তবে কোনো এজেন্সির সাহায্য ছাড়াই যে কেউ নিজে নিজেই পুরো আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারেন। সাধারণত উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব বিষয় লাগে, নিচে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
স্নাতকে ভর্তি
কোনো শিক্ষার্থী বিদেশে স্নাতকে ভর্তি হতে চাইলে, তাঁকে এইচএসসির শুরু থেকেই লক্ষ্য স্থির করে পড়াশোনা করতে হবে। পরীক্ষার ফলাফল ভালো হওয়ার পাশাপাশি নিচের যোগ্যতা থাকলে বৃত্তি পাওয়া সহজ হয়।
এসএটি (স্যাট), জিআরই, জিম্যাট
স্কোর
স্নাতক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়তে গেলে এসএটি স্কোর প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে গণিত ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই করা হয়।
সামাজিক কার্যক্রম
ভর্তির আবেদনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হলে নিজেকে বিকশিত করা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে অলিম্পিয়াড হচ্ছে। যেমন গণিত অলিম্পিয়াড, পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ ও পুরস্কার জিতলে বৃত্তি পাওয়া সহজ হয়। স্কাউটিং, সামাজিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সনদও এসব ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
রিকমেন্ডেশন লেটার
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হয়। আলোচিত কোনো ব্যক্তিত্ব, স্কুল বা কলেজের শিক্ষক, প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তিত্ব যিনি শিক্ষার্থীকে চেনেন, তাঁর কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে জমা দিতে হয়। যিনি সুপারিশপত্র লিখবেন তিনি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তিক দক্ষতার পাশাপাশি জ্ঞান অন্বেষণের আগ্রহসহ সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রকৃতি সম্পর্কে উল্লেখ করবেন।
ভাষাদক্ষতার সার্টিফিকেট
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলোয় ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষার ওপর দক্ষতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কেন পড়াশোনা করতে চান, পড়াশোনার মূল লক্ষ্য কী, ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে কাজ করতে চান–এসব নানা বিষয়ে জানার জন্য আবেদনের সঙ্গে আগ্রহের কথা লিখতে হয়। অন্য কারও আবেদনপত্র থেকে হুবহু অনুকরণ করে অনেকেই নিজের কথা লিখে জমা দেন, যেটি কোনোভাবেই করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে নিজের আগ্রহের কথা বুঝে ব্যাখ্যা করে লিখতে হবে, অনুকরণ করা যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে
স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডির পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই খোঁজখবর রাখতে হবে।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে–
গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ
পৃথিবীর যেকোনো দেশেই স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর গবেষণা ও নিবন্ধের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে বিষয়ে পড়ছেন বা গবেষণা করছেন তার ওপর নিবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের চেষ্টার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।অনেকেই নিচু মানের জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশের চেষ্ট করেন, যা কখনোই করবেন না। এতে ভবিষ্যতে বিপদে পড়বেন, ভর্তি বাতিল হয়ে যেতে পারে। গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নিন। বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা, পোস্টার উপস্থাপনের অভিজ্ঞতা ভর্তির কার্যক্রমে ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে।
ইন্টার্নশিপ বা পেশাদার কাজের অভিজ্ঞতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ বা চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জন করা বৃত্তির জন্য সহায়ক। কারণ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির অভিজ্ঞতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।
অধ্যাপক বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ: সাধারণভাবে স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ও শিক্ষকদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৃত্তি বা ফান্ডের জন্য আবেদন করা যায়। প্রতিবছর বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও ফেলোশিপের জন্য অর্থ গ্রহণ করেন শিক্ষকরা। আগে থেকে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সেই অধ্যাপকের মাধ্যমে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, যে বিষয়ে পড়ছেন, কেন সেই বিষয়ে ভবিষ্যতে পড়বেন, যে অধ্যাপক বা শিক্ষকের অধীনে গবেষণা করতে চান, তা বিস্তারিত ই-মেইলে জানাতে হবে।
সুপারিশপত্র
স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে আবেদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা যার অধীনে গবেষণা করছেন তাঁর কাছ থেকে সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। সুপারিশকারী যেখানে আবেদন করছেন, সেই কর্তৃপক্ষ বরাবর আপনাকে চেনেন, জানেন, আপনার মেধা ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে ধারণা আছে, এমনটা লিখলে আপনি এগিয়ে থাকবেন।
গবেষণা প্রস্তাব
দেশভেদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাজ’ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়বেন, কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চান সে সম্পর্কে আবেদনকারীর অভিজ্ঞতা লিখে জমা দিতে হয়। অন্যের প্রস্তাব কখনোই অনুকরণ করে জমা দিবেন না।নিজের আগ্রহ, লক্ষ্য ও উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে প্রস্তাব লিখুন।
আরও যা খেয়াল রাখতে হবে-
আবেদন ফি
যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন ফি জমা দিতে হয়। যেকোনো ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি ফ্রি।
নম্বরপত্র জমা:
ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে নম্বরপত্রের কপি (ট্রান্সক্রিপ্ট) জমা দিতে হয়, যা অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় লেখা হতে হবে কিংবা ইংরেজিতে ভাষান্তর করে জমা দিতে হবে। কুরিয়ার করে পাঠাতে হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ই-মেইলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বরপত্র তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই করিয়ে নিতে হয়।
সময়ক্রম ধরে আবেদন করা:
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সেশনে আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে ‘ফল সেমিস্টার; (আগস্ট থেকে), ‘স্প্রিং সেমিস্টার’ (জানুয়ারি) ও ‘সামার সেমিস্টার” (মে থেকে) বিভিন্ন ভাগে আবেদন করা যায়। প্রধানত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফল সেমিস্টারে আবেদন করতে হয়।
ওয়েবসাইটে নজর রাখা
যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তার ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব থেকে নানা তথ্য জানা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে বিভিন্ন সেশনও পরিচালনা করে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, এই হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন এজেন্সির শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। তবে কোনো এজেন্সির সাহায্য ছাড়াই যে কেউ নিজে নিজেই পুরো আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারেন। সাধারণত উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব বিষয় লাগে, নিচে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
স্নাতকে ভর্তি
কোনো শিক্ষার্থী বিদেশে স্নাতকে ভর্তি হতে চাইলে, তাঁকে এইচএসসির শুরু থেকেই লক্ষ্য স্থির করে পড়াশোনা করতে হবে। পরীক্ষার ফলাফল ভালো হওয়ার পাশাপাশি নিচের যোগ্যতা থাকলে বৃত্তি পাওয়া সহজ হয়।
এসএটি (স্যাট), জিআরই, জিম্যাট
স্কোর
স্নাতক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়তে গেলে এসএটি স্কোর প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে গণিত ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই করা হয়।
সামাজিক কার্যক্রম
ভর্তির আবেদনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হলে নিজেকে বিকশিত করা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে অলিম্পিয়াড হচ্ছে। যেমন গণিত অলিম্পিয়াড, পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ ও পুরস্কার জিতলে বৃত্তি পাওয়া সহজ হয়। স্কাউটিং, সামাজিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সনদও এসব ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
রিকমেন্ডেশন লেটার
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হয়। আলোচিত কোনো ব্যক্তিত্ব, স্কুল বা কলেজের শিক্ষক, প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তিত্ব যিনি শিক্ষার্থীকে চেনেন, তাঁর কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে জমা দিতে হয়। যিনি সুপারিশপত্র লিখবেন তিনি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তিক দক্ষতার পাশাপাশি জ্ঞান অন্বেষণের আগ্রহসহ সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রকৃতি সম্পর্কে উল্লেখ করবেন।
ভাষাদক্ষতার সার্টিফিকেট
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলোয় ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষার ওপর দক্ষতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কেন পড়াশোনা করতে চান, পড়াশোনার মূল লক্ষ্য কী, ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে কাজ করতে চান–এসব নানা বিষয়ে জানার জন্য আবেদনের সঙ্গে আগ্রহের কথা লিখতে হয়। অন্য কারও আবেদনপত্র থেকে হুবহু অনুকরণ করে অনেকেই নিজের কথা লিখে জমা দেন, যেটি কোনোভাবেই করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে নিজের আগ্রহের কথা বুঝে ব্যাখ্যা করে লিখতে হবে, অনুকরণ করা যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে
স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডির পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই খোঁজখবর রাখতে হবে।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে–
গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ
পৃথিবীর যেকোনো দেশেই স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর গবেষণা ও নিবন্ধের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে বিষয়ে পড়ছেন বা গবেষণা করছেন তার ওপর নিবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের চেষ্টার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।অনেকেই নিচু মানের জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশের চেষ্ট করেন, যা কখনোই করবেন না। এতে ভবিষ্যতে বিপদে পড়বেন, ভর্তি বাতিল হয়ে যেতে পারে। গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নিন। বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা, পোস্টার উপস্থাপনের অভিজ্ঞতা ভর্তির কার্যক্রমে ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে।
ইন্টার্নশিপ বা পেশাদার কাজের অভিজ্ঞতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ বা চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জন করা বৃত্তির জন্য সহায়ক। কারণ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির অভিজ্ঞতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।
অধ্যাপক বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ: সাধারণভাবে স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ও শিক্ষকদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৃত্তি বা ফান্ডের জন্য আবেদন করা যায়। প্রতিবছর বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও ফেলোশিপের জন্য অর্থ গ্রহণ করেন শিক্ষকরা। আগে থেকে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সেই অধ্যাপকের মাধ্যমে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, যে বিষয়ে পড়ছেন, কেন সেই বিষয়ে ভবিষ্যতে পড়বেন, যে অধ্যাপক বা শিক্ষকের অধীনে গবেষণা করতে চান, তা বিস্তারিত ই-মেইলে জানাতে হবে।
সুপারিশপত্র
স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে আবেদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা যার অধীনে গবেষণা করছেন তাঁর কাছ থেকে সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। সুপারিশকারী যেখানে আবেদন করছেন, সেই কর্তৃপক্ষ বরাবর আপনাকে চেনেন, জানেন, আপনার মেধা ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে ধারণা আছে, এমনটা লিখলে আপনি এগিয়ে থাকবেন।
গবেষণা প্রস্তাব
দেশভেদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাজ’ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়বেন, কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চান সে সম্পর্কে আবেদনকারীর অভিজ্ঞতা লিখে জমা দিতে হয়। অন্যের প্রস্তাব কখনোই অনুকরণ করে জমা দিবেন না।নিজের আগ্রহ, লক্ষ্য ও উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে প্রস্তাব লিখুন।
আরও যা খেয়াল রাখতে হবে-
আবেদন ফি
যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন ফি জমা দিতে হয়। যেকোনো ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি ফ্রি।
নম্বরপত্র জমা:
ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে নম্বরপত্রের কপি (ট্রান্সক্রিপ্ট) জমা দিতে হয়, যা অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় লেখা হতে হবে কিংবা ইংরেজিতে ভাষান্তর করে জমা দিতে হবে। কুরিয়ার করে পাঠাতে হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ই-মেইলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বরপত্র তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই করিয়ে নিতে হয়।
সময়ক্রম ধরে আবেদন করা:
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সেশনে আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে ‘ফল সেমিস্টার; (আগস্ট থেকে), ‘স্প্রিং সেমিস্টার’ (জানুয়ারি) ও ‘সামার সেমিস্টার” (মে থেকে) বিভিন্ন ভাগে আবেদন করা যায়। প্রধানত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফল সেমিস্টারে আবেদন করতে হয়।
ওয়েবসাইটে নজর রাখা
যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তার ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব থেকে নানা তথ্য জানা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে বিভিন্ন সেশনও পরিচালনা করে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে