‘মনপুরা’ সিনেমা দিয়ে খ্যাতি পাওয়ার আগে মঞ্চনাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন ফারহানা মিলি। ১৯৯৫ সালে নাট্যদল কিশোর থিয়েটারের হয়ে শিশু নাট্যোৎসবে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন। তাঁর পড়াশোনাও নাটক নিয়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে পড়ার সময় ‘হাত বাড়িয়ে দাও’, ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ‘যৈবতী কন্যার মন’সহ অনেক নাটকের চরিত্র হয়ে মঞ্চে ওঠেন মিলি।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি লোকনাট্য দলের সঙ্গে সংযুক্ত। এ দলের ‘তপস্বী ও তরঙ্গিণী’ নাটকটি ২৫ বছর পর ফিরছে মঞ্চে। বুদ্ধদেব বসু রচিত ও লিয়াকত আলী লাকী নির্দেশিত নাটকটির মাধ্যমে ফারহানা মিলিরও মঞ্চে ফেরা হচ্ছে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, পাঁচ বছর যাবৎ মঞ্চে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নাটকটি। এত দিনে শেষ হচ্ছে অপেক্ষার পালা। ৫ জুন ‘তপস্বী ও তরঙ্গিণী’র টেকনিক্যাল শো অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে।

এ নাটকে ফারহানা মিলি অভিনয় করবেন তরঙ্গিণী চরিত্রে। আগে এ চরিত্রে কয়েকজন অভিনেত্রীকে দেখা গেছে। মিলি জানিয়েছেন, টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় আর উপস্থাপনার পাশাপাশি এখন থেকে মঞ্চেও সময় দেবেন তিনি।

ফারহানা মিলি বলেন, ‘মঞ্চনাটক দিয়েই আমি অভিনেত্রী হয়েছি। প্রতিবার যখন মঞ্চে দাঁড়াই, মনে হয় এটাই আমার আসল ঠিকানা। সব সময় মঞ্চের কাছাকাছিই ছিলাম। কিন্তু সব মিলিয়ে সময় বের করা হয়ে উঠত না। লাকী স্যারের মাধ্যমে আবারও মঞ্চে তরঙ্গিণী রূপে দর্শকের সামনে আসছি। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগার ব্যাপার।’

তরঙ্গিণী হয়ে ওঠার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন মিলি। নিয়মিত রিহার্সাল করছেন। এর আগে লোকনাট্য দলের ‘সিদ্ধিদাতা’, ‘মধুমালা’, ‘কঞ্জুস’সহ অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন মিলি।