আলফাজ আহমেদ
দেশের মাঠে আমরা যেভাবে শিরোপার জন্য লড়াই করেছিলাম, সেটা অবিশ্বাস্য ছিল। তখন খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালো খেলার প্রতিজ্ঞা ছিল, দেশের জন্য কিছু করা সম্ভব, ছিল সেই বিশ্বাসও।
আমাদের সেই দলে কোচের (জর্জ কোটান) বিশাল একটা অবদান ছিল। তিনি এই দলটাকে প্রায় দুই বছর সময় ধরে তৈরি করেছিলেন। দলের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। গোলরক্ষক আমিনুলকে তৈরি করেছিলেন। আমাদের দলটাকে এক করেছিলেন। এরপর যত দল এসেছে, আমাদের সেই দলটার তুলনায় সেসব দলের বিশাল পার্থক্য। এখনকার দলে নিখাদ কোনো স্ট্রাইকার নেই। এটাই বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এরপর বল বানিয়ে দেওয়ার মতো মিডফিল্ডারও নেই। ভালো মানের স্টপার নেই।
আমিনুলের মতো একজন গোলরক্ষক দলে নেই যে একাই প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে দিতে পারে। আসলে বর্তমান অনেক কিছু নেই, আবার অনেক কিছুই আছে।
এখন বাস্তবতা হচ্ছে দেশে মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের ভীষণ অভাব। বড় বড় দেশে মেসি-রোনালদোদের মতো একজন খেলোয়াড় থাকে যারা দলের মানদণ্ড। দলের প্রাণভোমরা। বাংলাদেশ দলে এমন কোনো প্রাণভোমরা নেই যেকোনো সময় সে খেলার চেহারাটা পাল্টে দিতে পারে। আসলে খেলোয়াড়েরাও লিগে খুব বেশি ম্যাচ পায় না। দেখা যাচ্ছে খুব বেশি ম্যাচ না খেলেও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ম্যাচ খেলার যে ছন্দ, সেটার অভাব থাকে তাদের খেলায়। লিগে পারফরম্যান্স নেই, গোল নেই; এমন একজন খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলে ডাক পায় তখন সে নিজের অজান্তেই মানসিক চাপে পড়ে যায়। বাইরের পারিপার্শ্বিকতা থেকে যে চাপটা আসে, সাফের মতো একটা টুর্নামেন্টে খেলতে গেলে সেই খেলোয়াড় নিজের সেরাটা দিতে পারে না।
তবে দুই বছর ধরে কোচকে যেভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, নিজের মতো করে খেলোয়াড় নির্বাচন করছেন, খেলোয়াড়েরা যদি কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারে, আর মানসিকভাবে সবাই ঠিক থাকে তাহলে সব মিলিয়ে হয়তো আমরা ভালো একটা ফল আশা করলেও করতে পারি। এখানে আসলে কাবরেরারও দায় নেই। মাঠে খেলবে খেলোয়াড়। যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়েই তো লড়াই করতে হবে। ভালো মানের খেলোয়াড় থাকলে হয়তো হিসাবটা ভিন্ন হতো। কাকে রেখে কাকে নেবে—এমন মধুর সমস্যায় পড়লে সেক্ষেত্রে কোচকে হয়তো দোষ দেওয়া যেত। কিন্তু কোচের হাতে তো অস্ত্রই নেই। কাবরেরাকে বাহবা দিতে হবে যে এমন একটা দল নিয়ে অন্তত লড়াই করতে পারছে। আর খারাপ করলেও কিছু করার নেই। কোচ তো আর মাঠে খেলবে না। অস্ত্র ছাড়া যুদ্ধে গেলে আসলে কতই বা প্রত্যাশা করা যায়। খেলোয়াড়েরা মাঠে কেমন খেলবে, সেটার ওপরই নির্ভর করছে ফলাফল।
আমাদের সাফ জয়ের পর দুই দশক পেরিয়ে গেছে। সাফে আর সাফল্য নেই; নেই গর্ব করার মতো অর্জনও। দেশ সাফল্য পেলে আনন্দ লাগে, খারাপ করলে কষ্ট। এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন। এবারের সাফটা ভিন্ন। লেবানন-কুয়েতের মতো দল খেলছে দক্ষিণ এশীয় এই টুর্নামেন্টে। তাই টুর্নামেন্ট হবে কঠিন। কিন্তু বিশ্বাস করি না, আমাদের আর কোনো দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না।
দেশের মাঠে আমরা যেভাবে শিরোপার জন্য লড়াই করেছিলাম, সেটা অবিশ্বাস্য ছিল। তখন খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালো খেলার প্রতিজ্ঞা ছিল, দেশের জন্য কিছু করা সম্ভব, ছিল সেই বিশ্বাসও।
আমাদের সেই দলে কোচের (জর্জ কোটান) বিশাল একটা অবদান ছিল। তিনি এই দলটাকে প্রায় দুই বছর সময় ধরে তৈরি করেছিলেন। দলের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। গোলরক্ষক আমিনুলকে তৈরি করেছিলেন। আমাদের দলটাকে এক করেছিলেন। এরপর যত দল এসেছে, আমাদের সেই দলটার তুলনায় সেসব দলের বিশাল পার্থক্য। এখনকার দলে নিখাদ কোনো স্ট্রাইকার নেই। এটাই বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এরপর বল বানিয়ে দেওয়ার মতো মিডফিল্ডারও নেই। ভালো মানের স্টপার নেই।
আমিনুলের মতো একজন গোলরক্ষক দলে নেই যে একাই প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে দিতে পারে। আসলে বর্তমান অনেক কিছু নেই, আবার অনেক কিছুই আছে।
এখন বাস্তবতা হচ্ছে দেশে মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের ভীষণ অভাব। বড় বড় দেশে মেসি-রোনালদোদের মতো একজন খেলোয়াড় থাকে যারা দলের মানদণ্ড। দলের প্রাণভোমরা। বাংলাদেশ দলে এমন কোনো প্রাণভোমরা নেই যেকোনো সময় সে খেলার চেহারাটা পাল্টে দিতে পারে। আসলে খেলোয়াড়েরাও লিগে খুব বেশি ম্যাচ পায় না। দেখা যাচ্ছে খুব বেশি ম্যাচ না খেলেও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ম্যাচ খেলার যে ছন্দ, সেটার অভাব থাকে তাদের খেলায়। লিগে পারফরম্যান্স নেই, গোল নেই; এমন একজন খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলে ডাক পায় তখন সে নিজের অজান্তেই মানসিক চাপে পড়ে যায়। বাইরের পারিপার্শ্বিকতা থেকে যে চাপটা আসে, সাফের মতো একটা টুর্নামেন্টে খেলতে গেলে সেই খেলোয়াড় নিজের সেরাটা দিতে পারে না।
তবে দুই বছর ধরে কোচকে যেভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, নিজের মতো করে খেলোয়াড় নির্বাচন করছেন, খেলোয়াড়েরা যদি কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারে, আর মানসিকভাবে সবাই ঠিক থাকে তাহলে সব মিলিয়ে হয়তো আমরা ভালো একটা ফল আশা করলেও করতে পারি। এখানে আসলে কাবরেরারও দায় নেই। মাঠে খেলবে খেলোয়াড়। যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়েই তো লড়াই করতে হবে। ভালো মানের খেলোয়াড় থাকলে হয়তো হিসাবটা ভিন্ন হতো। কাকে রেখে কাকে নেবে—এমন মধুর সমস্যায় পড়লে সেক্ষেত্রে কোচকে হয়তো দোষ দেওয়া যেত। কিন্তু কোচের হাতে তো অস্ত্রই নেই। কাবরেরাকে বাহবা দিতে হবে যে এমন একটা দল নিয়ে অন্তত লড়াই করতে পারছে। আর খারাপ করলেও কিছু করার নেই। কোচ তো আর মাঠে খেলবে না। অস্ত্র ছাড়া যুদ্ধে গেলে আসলে কতই বা প্রত্যাশা করা যায়। খেলোয়াড়েরা মাঠে কেমন খেলবে, সেটার ওপরই নির্ভর করছে ফলাফল।
আমাদের সাফ জয়ের পর দুই দশক পেরিয়ে গেছে। সাফে আর সাফল্য নেই; নেই গর্ব করার মতো অর্জনও। দেশ সাফল্য পেলে আনন্দ লাগে, খারাপ করলে কষ্ট। এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন। এবারের সাফটা ভিন্ন। লেবানন-কুয়েতের মতো দল খেলছে দক্ষিণ এশীয় এই টুর্নামেন্টে। তাই টুর্নামেন্ট হবে কঠিন। কিন্তু বিশ্বাস করি না, আমাদের আর কোনো দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে