শাহীন রহমান, পাবনা
প্রতিষ্ঠার পর ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা পায়নি মুলাদী উপজেলার আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এমনকী চিকিৎসা সহকারী পদটিও এই মুহূর্তে খালি। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন সেখানে। তিনিও নিয়মিত আসেন না স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ফলে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি খোলা হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাটামারা ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
জানা যায়, বাটামারা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডই জয়ন্তী ও আড়িয়াল খাঁ নদীবেষ্টিত। ওই ইউনিয়নের চরআলগী, চিঠিরচর, চরসাহেবরামপুর উপজেলা সদর থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে। তাদের নদী ছাড়া উপজেলা সদরে যাওয়ার উপায় নেই। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে ওই ইউনিয়নে আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কাছাকাছি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পেয়ে আশার সঞ্চার হয়েছিল এখানকার বাসিন্দাদের মনে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে এখন হতাশ এই এলাকার বাসিন্দারা।
চিকিৎসক না থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীও নেই এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রায় এক বছর আগে স্বাস্থ্য সহকারী সাজ্জাদ হোসেন অবসরে যাওয়ার পর কেন্দ্রটি অচল হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৬-৮৭ সালের দিকে আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র করা হয়। শুরু থেকে এই কেন্দ্রে কোনো এমবিবিএস/বিসিএস চিকিৎসক পাননি তারা। তাদের ধারণা ছিল, সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন চিকিৎসক পাওয়া যাবে। কিন্তু এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে এমবিবিএস চিকিৎসক দেওয়া হয়নি। প্যারা মেডিকেল চিকিৎসক দিয়েই তাদের ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) মো. নাসির উদ্দীন স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন।
আলীমাবাদ গ্রামের আবুল কাশেম খান জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে কোনো চিকিৎসক নেই। আগেও কোনো দিন এমবিবিএস চিকিৎসক ছিলেন না। বেশির ভাগ সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসা সহকারী সাজ্জাদ হোসেন অবসরে যাওয়ার পর কেন্দ্রটি কোন সময় খোলা আর কোন সময় বন্ধ হয় তা জানে না কেউ।
চর আলীমাবাদ গ্রামের আবুল খায়ের জানান, অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সপ্তাহে ২/১ দিন চিকিৎসক আসেন। বাকি দিনগুলো স্বাস্থ্য সহকারী ওষুধ বিতরণ ও কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কিন্তু আলীমাবাদ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক আসেন না।
বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সিকদার বলেন, আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নেই। বিষয়টি প্রতি মাসের উপজেলায় সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নেননি। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও বাটামারা ইউনিয়বাসী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাটামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দীন খসরু জানান, আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সেবা না থাকায় নারী ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বেশি। তাদের চিকিৎসা নিতে নদী পথে ২৫/৩০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে। এই কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া হলে তারা কোথায় কাজ করেন তা কর্মকর্তারা ভালো জানেন।
উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নাসির উদ্দীন বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় বর্তমানে কিছুটা অনিয়মিত হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা। এছাড়া আমি নিয়মিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা দিয়ে থাকি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, ‘আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার কিংবা স্বাস্থ্য সেবা না হওয়ার বিষয়টি জানা নাই। স্বাস্থ্য সহকারী অবসরে গিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. নাসির উদ্দীনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
প্রতিষ্ঠার পর ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা পায়নি মুলাদী উপজেলার আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এমনকী চিকিৎসা সহকারী পদটিও এই মুহূর্তে খালি। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন সেখানে। তিনিও নিয়মিত আসেন না স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ফলে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি খোলা হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাটামারা ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
জানা যায়, বাটামারা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডই জয়ন্তী ও আড়িয়াল খাঁ নদীবেষ্টিত। ওই ইউনিয়নের চরআলগী, চিঠিরচর, চরসাহেবরামপুর উপজেলা সদর থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে। তাদের নদী ছাড়া উপজেলা সদরে যাওয়ার উপায় নেই। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে ওই ইউনিয়নে আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কাছাকাছি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পেয়ে আশার সঞ্চার হয়েছিল এখানকার বাসিন্দাদের মনে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে এখন হতাশ এই এলাকার বাসিন্দারা।
চিকিৎসক না থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীও নেই এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রায় এক বছর আগে স্বাস্থ্য সহকারী সাজ্জাদ হোসেন অবসরে যাওয়ার পর কেন্দ্রটি অচল হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৬-৮৭ সালের দিকে আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র করা হয়। শুরু থেকে এই কেন্দ্রে কোনো এমবিবিএস/বিসিএস চিকিৎসক পাননি তারা। তাদের ধারণা ছিল, সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন চিকিৎসক পাওয়া যাবে। কিন্তু এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে এমবিবিএস চিকিৎসক দেওয়া হয়নি। প্যারা মেডিকেল চিকিৎসক দিয়েই তাদের ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) মো. নাসির উদ্দীন স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন।
আলীমাবাদ গ্রামের আবুল কাশেম খান জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে কোনো চিকিৎসক নেই। আগেও কোনো দিন এমবিবিএস চিকিৎসক ছিলেন না। বেশির ভাগ সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসা সহকারী সাজ্জাদ হোসেন অবসরে যাওয়ার পর কেন্দ্রটি কোন সময় খোলা আর কোন সময় বন্ধ হয় তা জানে না কেউ।
চর আলীমাবাদ গ্রামের আবুল খায়ের জানান, অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সপ্তাহে ২/১ দিন চিকিৎসক আসেন। বাকি দিনগুলো স্বাস্থ্য সহকারী ওষুধ বিতরণ ও কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কিন্তু আলীমাবাদ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক আসেন না।
বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সিকদার বলেন, আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নেই। বিষয়টি প্রতি মাসের উপজেলায় সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নেননি। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও বাটামারা ইউনিয়বাসী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাটামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দীন খসরু জানান, আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সেবা না থাকায় নারী ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বেশি। তাদের চিকিৎসা নিতে নদী পথে ২৫/৩০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে। এই কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া হলে তারা কোথায় কাজ করেন তা কর্মকর্তারা ভালো জানেন।
উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নাসির উদ্দীন বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় বর্তমানে কিছুটা অনিয়মিত হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা। এছাড়া আমি নিয়মিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা দিয়ে থাকি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, ‘আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার কিংবা স্বাস্থ্য সেবা না হওয়ার বিষয়টি জানা নাই। স্বাস্থ্য সহকারী অবসরে গিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. নাসির উদ্দীনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে