রবিশস্যের চারা উৎপাদন

মো. জহিরুল হক বাবু, বুড়িচং
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৮
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০৪

একপাশে গোমতী নদী, অন্যপাশে রানি ময়নামতির প্রাসাদ। বুড়িচংয়ের ঐতিহাসিক রানি ময়নামতি প্রাসাদের কোল ঘেঁষে সমেশপুর গ্রামের অবস্থান। দীর্ঘ পাঁচ যুগ ধরে এখানকার কৃষকেরা বিভিন্ন রবিশস্যের চারা উৎপাদন করছেন। চারা বিক্রি করে সারা দেশের কৃষকদের কাছে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে সমেশপুর গ্রাম।

সূত্রে জানা যায়, এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে এই গ্রাম থেকে বিক্রি হবে অন্তত ৩ কোটি টাকার রবিশস্যের চারা। এর মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, গোল বেগুন, শিংনাথ বেগুন, লাউ, টমেটোসহ বিভিন্ন রবিশস্যের চারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকেরা রবিশস্যের চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিবছরের আগস্ট থেকে কৃষকেরা বীজতলা তৈরি শুরু করেন।

চারা উৎপাদনকারী মো. মনির হোসেন, মো. রাসেল, মো. খোকন মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, `এটা আমাদের পৈতৃক পেশা। ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে চারা উৎপাদন করছি। সিলেট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, পাবনা, রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে অনেকে তাঁদের চারা কিনতে আসেন।’

কৃষক আনোয়ার মেম্বার বলেন, তিনি ৮ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত অন্তত তিনবার চারা উৎপাদন হবে তাঁর বীজতলায়। প্রতিবার চারা উৎপাদনে তাঁর খরচ হবে ৮০ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চারা বিক্রি করে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাভ হবে তাঁর।

চারা কিনতে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকার সরকার কবির আহমেদ বলেন, ‘সমেশপুরের চারা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো। গত ১০ বছর থেকে আমি সমেশপুর থেকে চারা নিয়ে জমিতে রোপণ করি।’

কৃষক মাসুদ রানা বলেন, কোনো সহযোগিতা কৃষি বিভাগ করেনি। কোনো সমস্যা হলে কৃষকেরা নিজেরাই আলাপ-আলোচনা করে সমাধান খুঁজে নেন।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিনা আক্তার বলেন, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেন। বীজ, সার, কীটনাশকসহ প্রণোদনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত