সখীপুরে নিত্যসঙ্গী যানজট

শাহীন রহমান, পাবনা
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০৭: ১৩
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ৫২

সখীপুর পৌর শহর ধীরে ধীরে যানজটের শহরে পরিণত হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও যানজট নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের সড়কে যত্রতত্র ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পার্কিং করায় দিন দিন এ সমস্যা বাড়ছে।

যানবাহন রাখার নির্দিষ্ট স্থান না থাকা, যানজট নিরসনে সুষ্ঠু ব্যবস্থা ও চালকেরা ট্রাফিক আইন না মানায় যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। ফলে সমস্যাটি স্থায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ উপজেলায় কয়েক বছরে প্রাইভেট কার, ট্রাক, ট্রাক্টর, পিকআপ, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশাভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক বর্ধিত যানবাহন রাখার জন্য শহরে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সিএনজি রাখার একটি নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও তা মূলত সড়কের পাশে।

অন্যদিকে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাভ্যানগুলো শহরের কেন্দ্রবিন্দু মুখতার ফোয়ারার আশপাশের সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। এত দিনেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব যানবাহন অবস্থানের জন্য কোনো জায়গা তৈরি করতে পারেনি। তাই সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট।

স্থানীয় লোকজন জানান, কোনো বাইপাস সড়ক না থাকায় মধুপুর, গারোবাজার, সাগরদীঘি, ঘাটাইল, কুতুবপুর ও জোড়দীঘির মালবাহী ট্রাক এই পৌর শহরের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট হলেও ধনবাড়ী, জামালপুর, সরিষাবাড়ি, মধুপুরের বাস ও ট্রাক গোড়াই-সখীপুর সড়ক বাইপাস হিসেবে ব্যবহার করে।

তাই শহরের একমাত্র সড়কটিতে যানজট আরও প্রকট আকার ধারণ করে। অপরদিকে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান মুখতার ফোয়ারা চত্বরে স্বল্প সময়ের জন্য ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও অধিকাংশ সময়ই চালকেরা আইন না মেনে খেয়ালখুশি মতো গাড়ি চালান।

গতকাল রোববার সরেজমিন দেখা যায়, মুখতার ফোয়ারা চত্বরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চত্বর থেকে ঢাকার দিকের সড়কে হাসপাতাল গেট পর্যন্ত এবং কচুয়া সড়কের সৌখিনমোড় পর্যন্ত দীর্ঘ হয়েছে আটকে পড়া যানবাহনের সারি।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, সখীপুরের চালকেরা ট্রাফিক আইন মানতে নারাজ। তাঁরা বেশির ভাগ সময়ই নিজের খেয়ালখুশি মতো চলাচল করেন। ট্রাফিক বিভাগের মাত্র একজন কনস্টেবল নিয়ে ওই মোড়ে দায়িত্ব পালন করা কষ্টসাধ্য। এ কারণে মাঝেমধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বলেন, ‘যানজটের বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনশৃঙ্খলা সভায় বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছি। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন উপজেলার ১২০ জন চালককে ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে কিছুটা হলেও তাঁরা ট্রাফিক আইন বিষয়ে জানতে পারবেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত