মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
‘সারের দাম বেশি, শ্রমিকের মজুরি বেশি, বেচার সময় খাজনা বেশি, ৪২ কেজিতে মণ, সব জায়গায় খালি কৃষকের লোকসান, এ চাষ আর করব না।’ আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন পেঁয়াজচাষি মো. আমিরুল ইসলাম। পেঁয়াজের দাম না পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি সাপ্তাহিক পেঁয়াজের হাটে এসব কথা বলছিলেন তিনি।
আমিরুল ইসলাম উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোত মোড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ চাষে খরচ হয় মেলা (অনেক)। কিন্তু এ বছর দাম নাই। ১৬ মণ ভালো পেঁয়াজ নিয়াইছি (এনেছি)। ১ হাজার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মণ বেচার দরকার। কিন্তু ৭০০ থেকে ৮০০ দাম কচ্ছেন (বলছেন) ব্যাপারীরা।’ শুধু কৃষক আমিরুলই নয়, এ বছর উৎপাদনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কম থাকায় হতাশায় ভুগছেন উপজেলার সব চাষি। দামের পরিবর্তন না হলে কৃষকের ব্যাপক লোকসান হবে। পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাবেন কৃষক। ফলে উৎপাদন কমে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের সংকট দেখ দেবে।
প্রতি শুক্রবারে পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে পেঁয়াজের হাট। এ হাটে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে কয়েক হাজার কৃষক ও ব্যবসায়ী পেঁয়াজ বেচাকেনা করতে আসেন। হাটে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টন পেঁয়াজের ওঠে।
গতকাল সকালে হাটে দেখা যায়, আকার, আকৃতি ও মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬ টাকা থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দামে ব্যবসায়ীরা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও অখুশি কৃষকেরা।
হাটে আসা পান্টি ইউনিয়নের বশিগ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা লোকসান। এমন দাম হলে সামনের বছর আর পেঁয়াজের চাষ করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষক মারে দেশ চলবে না। সরকারের দাম বাড়ানো উচিত।’ একই ইউনিয়নের ডাঁসা গ্রামের কৃষক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজের অবস্থা খুব খারাপ। এবার আর কৃষক বাঁচপিনানে (বাঁচবে না)। ৪ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। ৮৩০ টাকা দরে বিক্রি করিছি।’
বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামের কৃষক তফিজ উদ্দিন বলেন, ‘চাষের খরচ মেটাতে ১২ মণ পেঁয়াজ হাটে এনেছি। কেউ ৭০০, কেউ ৮০০ টাকা মণ বলছেন। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে খরচটা মেকআপ হতো।’
স্থানীয় পেঁয়াজের ব্যবসায়ী সুরুজ মোল্লা বলেন, ‘আজকের হাটে পেঁয়াজ উঠেছে বেশি। প্রায় দেড় শ মণ পেঁয়াজ কিনেছি মজুত করার জন্য। আকারভেদে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা মণ পড়েছে।’
কুমিল্লা থেকে হাটে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক ট্রাক পেঁয়াজ কিনেছি। প্রায় ৪৫০ মণ হবে। প্রতি মণে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ পড়েছে। আমদানি করা এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কম।’
হাটের ইজারাদার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন পেঁয়াজের হাটে উঠেছে। আকার ও মানভেদে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। দামে ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি হলেও কৃষকেরা হতাশ।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা, যা বর্তমান বাজারদরের চেয়ে বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘এবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের ২৩ থেকে ২৫ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পেঁয়াজের বাজারদর উৎপাদনের খরচের অনেক কম। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
‘সারের দাম বেশি, শ্রমিকের মজুরি বেশি, বেচার সময় খাজনা বেশি, ৪২ কেজিতে মণ, সব জায়গায় খালি কৃষকের লোকসান, এ চাষ আর করব না।’ আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন পেঁয়াজচাষি মো. আমিরুল ইসলাম। পেঁয়াজের দাম না পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি সাপ্তাহিক পেঁয়াজের হাটে এসব কথা বলছিলেন তিনি।
আমিরুল ইসলাম উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোত মোড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ চাষে খরচ হয় মেলা (অনেক)। কিন্তু এ বছর দাম নাই। ১৬ মণ ভালো পেঁয়াজ নিয়াইছি (এনেছি)। ১ হাজার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মণ বেচার দরকার। কিন্তু ৭০০ থেকে ৮০০ দাম কচ্ছেন (বলছেন) ব্যাপারীরা।’ শুধু কৃষক আমিরুলই নয়, এ বছর উৎপাদনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কম থাকায় হতাশায় ভুগছেন উপজেলার সব চাষি। দামের পরিবর্তন না হলে কৃষকের ব্যাপক লোকসান হবে। পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাবেন কৃষক। ফলে উৎপাদন কমে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের সংকট দেখ দেবে।
প্রতি শুক্রবারে পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে পেঁয়াজের হাট। এ হাটে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে কয়েক হাজার কৃষক ও ব্যবসায়ী পেঁয়াজ বেচাকেনা করতে আসেন। হাটে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টন পেঁয়াজের ওঠে।
গতকাল সকালে হাটে দেখা যায়, আকার, আকৃতি ও মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬ টাকা থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দামে ব্যবসায়ীরা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও অখুশি কৃষকেরা।
হাটে আসা পান্টি ইউনিয়নের বশিগ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা লোকসান। এমন দাম হলে সামনের বছর আর পেঁয়াজের চাষ করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষক মারে দেশ চলবে না। সরকারের দাম বাড়ানো উচিত।’ একই ইউনিয়নের ডাঁসা গ্রামের কৃষক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজের অবস্থা খুব খারাপ। এবার আর কৃষক বাঁচপিনানে (বাঁচবে না)। ৪ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। ৮৩০ টাকা দরে বিক্রি করিছি।’
বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামের কৃষক তফিজ উদ্দিন বলেন, ‘চাষের খরচ মেটাতে ১২ মণ পেঁয়াজ হাটে এনেছি। কেউ ৭০০, কেউ ৮০০ টাকা মণ বলছেন। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে খরচটা মেকআপ হতো।’
স্থানীয় পেঁয়াজের ব্যবসায়ী সুরুজ মোল্লা বলেন, ‘আজকের হাটে পেঁয়াজ উঠেছে বেশি। প্রায় দেড় শ মণ পেঁয়াজ কিনেছি মজুত করার জন্য। আকারভেদে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা মণ পড়েছে।’
কুমিল্লা থেকে হাটে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক ট্রাক পেঁয়াজ কিনেছি। প্রায় ৪৫০ মণ হবে। প্রতি মণে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ পড়েছে। আমদানি করা এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কম।’
হাটের ইজারাদার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন পেঁয়াজের হাটে উঠেছে। আকার ও মানভেদে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। দামে ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি হলেও কৃষকেরা হতাশ।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা, যা বর্তমান বাজারদরের চেয়ে বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘এবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের ২৩ থেকে ২৫ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পেঁয়াজের বাজারদর উৎপাদনের খরচের অনেক কম। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৯ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪