স্বতন্ত্রদের নিয়ে দুশ্চিন্তা আ.লীগে

শহিদুল ইসলাম, বাসাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৪: ২৪
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৫

বাসাইলে চার ইউপির প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অনেকেই দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) হিসেবে নির্বাচন করছেন। আবার দলীয়ভাবে বিএনপি অংশ না নিলেও সব কটি ইউপিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন দলটির নেতারা। এসব প্রার্থীই নৌকার প্রার্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে পোস্টারে ছেয়ে গেছে চারদিক। শেষ সময়ের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে কাল বুধবার।

পঞ্চম ধাপের আসন্ন নির্বাচনে উপজেলার চার ইউপির তিনটিতে নতুন মুখ ও একটিতে বর্তমান চেয়ারম্যানকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু চার ইউপিতেই রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীসহ স্বতন্ত্রের আড়ালে বিএনপি। ফলে বেশির ভাগ ইউপিতে এখনো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেননি নৌকার মাঝিরা। এতে দলের প্রার্থী, সমর্থক, কর্মী-নেতারা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।

জানা গেছে, ফুলকি ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন তালুকদারের মনোনয়ন পরিবর্তন করে শেষ সময়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা করিম তালুকদারকে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সামছুল আলম বিজু (আনারস প্রতীকে)। প্রার্থীদের ব্যাপারে নেতাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়নের কারণে কর্মীদের একটা অংশ রয়েছে ক্ষোভের মধ্যে। তবে এ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্রের আড়ালে নির্বাচনে লড়বেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাদিদুল ইসলাম বাবুল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী সামছুল আলম বিজুর সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

কাউলজানী ইউপিতে নৌকার মাঝি হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনী হাবিব। তবে এ ইউপিতে অনেকটাই আঞ্চলিকতার প্রভাব পড়তে পারে ভোটে। তবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্রের আড়ালে বিএনপি নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকী। এ ইউপিতে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

হাবলা ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম এবারও পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। তাঁর ক্লিন ইমেজের কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম রতন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নিজামুল ইসলাম রুপনকে সমর্থন দেওয়ায় ভোটের হিসাব কিছুটা পাল্টাতে পারে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কাঞ্চনপুর ইউপিতে নৌকার মাঝি হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রাকিব খান শাহিন। মনোনয়নে ত্যাগী নেতারা বাদ পড়ায় অনেকটাই আশঙ্কাজনক অবস্থানে রয়েছেন নৌকার মাঝি। এমনটাই ধারণা বেশির ভাগ ভোটারের। এ ইউপিতে পরপর দুইবারের চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ, তরুন মুখ শামীম আল মামুন ও আব্দুস সামাদ ফারুক রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিহেবে। এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ, শামীম আল মামুন ও রাকিব খান শাহীনের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান গাউজ বলেন, দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে শীর্ষ নেতারা মাঠে কাজ করছেন। আশা করছেন, নৌকার প্রার্থীরাই বিজয়ী হবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভিন বলেন, উপজেলার চারটি ইউপিতেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা যেন অবাধে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত