শেখ মফিজ শিপন, ফরিদপুর
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের হঠাৎ উত্থানে বিস্মিত হয়েছিলেন ফরিদপুরের মানুষ। খুব অল্প দিনের মাথায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন ফরিদপুরের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। সেই বাবরকে গ্রেপ্তারের পর সাধারণ মানুষ শহরে মিষ্টি খেয়ে মিছিল করেছে, তাঁর হাতকড়া পরা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে।
২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বাবর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন। সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাবর হয়তো নিজেও কোনো দিন ভাবতে পারেননি, তাঁকে কারাগারে যেতে হবে।
ফরিদপুর শহরে একসময়ের মহাক্ষমতাধর বাবর ছিলেন বিএনপির সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আপন ভাই খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু ওই নির্বাচনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জিতে গিয়ে মন্ত্রী হওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি ভাইয়ের ক্ষমতাবলয়ে ঢুকে পড়েন।
ফরিদপুরের স্থানীয় লোকজন বলছেন, ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ বাবরের হাতে চলে যায়। মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন অফিস-আদালতে প্রভাব বিস্তার করেন। তাঁর ছত্রচ্ছায়ায় কিছু লোক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, পাসপোর্ট অফিস, সড়ক বিভাগ, এলজিইডি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। এসব টেন্ডার থেকে তিনি কমিশন নেন। দুই ভাই রুবেল-বরকতকে তিনি ব্যবহার করতে শুরু করেন।
কমিশন থেকে হাতে টাকা এলেও তিনি ভুগতে থাকেন পরিচয়সংকটে। সরকারি দপ্তর দখলের পর নিজের পরিচয় দেওয়ার মতো একটি জুতসই পদবি খুঁজতে থাকেন তিনি। ২০১৪ সালে মন্ত্রী বড় ভাইয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, ক্যাপ্টেন বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা শওকত আলী জাহিদ, ছাত্রলীগের নেতা মনিরুজ্জামান মনির ও অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুল তাঁর নির্যাতনের শিকার হয়।
উচ্চাভিলাষী বাবর এরপরও থেমে থাকেননি। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে বাবরকে সাধারণ সম্পাদক দেখতে চাই লেখা হাজারো ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে যায় ফরিদপুর শহর। কিন্তু তিনি সে চেষ্টায় ব্যর্থ হন। সব বাদ দিয়ে আগের মতো মনোযোগী হন অর্থ-বিত্তের দিকে। মালয়েশিয়ায় একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর, যেখানে তাঁর ছেলে থাকেন। ফরিদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের বাইপাস সড়কের পাশে আরেকটি বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়াও বিপুল ভূসম্পত্তির মালিক হন বাবর।
সবকিছু ঠিকঠাকমতো এগোলেও ২০১৭ সালে বড় ভাই খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাবরের কাছে টাকা চান বড় ভাই খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ার ফেলে দিয়ে তাঁকে ঢাকায় চলে যেতে হয়। এরপর মাত্র একবার ফরিদপুরে এলেও টিকতে পারেননি। সেই থেকে তিনি ঢাকাতেই থাকতেন।
২০২০ সালের ১৬ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৮ মে এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সুবল সাহা। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৭ জুন ফরিদপুরে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ক্ষমতার বলয়ে যাঁরা ছিলেন তাঁদের প্রায় সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার বাবরকে ফরিদপুরে নেওয়া হলে স্থানীয় লোকজন আনন্দ মিছিল করেন। সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম হক, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক গোলাম মো. নাছিরসহ অনেকে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেছেন, বাবর ছিলেন ভিন্ন দলে, সুযোগ-সুবিধা লুটতেই তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এত দিন ভাইয়ের ক্ষমতার দাপটে তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের হঠাৎ উত্থানে বিস্মিত হয়েছিলেন ফরিদপুরের মানুষ। খুব অল্প দিনের মাথায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন ফরিদপুরের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। সেই বাবরকে গ্রেপ্তারের পর সাধারণ মানুষ শহরে মিষ্টি খেয়ে মিছিল করেছে, তাঁর হাতকড়া পরা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে।
২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বাবর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন। সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাবর হয়তো নিজেও কোনো দিন ভাবতে পারেননি, তাঁকে কারাগারে যেতে হবে।
ফরিদপুর শহরে একসময়ের মহাক্ষমতাধর বাবর ছিলেন বিএনপির সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আপন ভাই খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু ওই নির্বাচনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জিতে গিয়ে মন্ত্রী হওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি ভাইয়ের ক্ষমতাবলয়ে ঢুকে পড়েন।
ফরিদপুরের স্থানীয় লোকজন বলছেন, ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ বাবরের হাতে চলে যায়। মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন অফিস-আদালতে প্রভাব বিস্তার করেন। তাঁর ছত্রচ্ছায়ায় কিছু লোক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, পাসপোর্ট অফিস, সড়ক বিভাগ, এলজিইডি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। এসব টেন্ডার থেকে তিনি কমিশন নেন। দুই ভাই রুবেল-বরকতকে তিনি ব্যবহার করতে শুরু করেন।
কমিশন থেকে হাতে টাকা এলেও তিনি ভুগতে থাকেন পরিচয়সংকটে। সরকারি দপ্তর দখলের পর নিজের পরিচয় দেওয়ার মতো একটি জুতসই পদবি খুঁজতে থাকেন তিনি। ২০১৪ সালে মন্ত্রী বড় ভাইয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, ক্যাপ্টেন বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা শওকত আলী জাহিদ, ছাত্রলীগের নেতা মনিরুজ্জামান মনির ও অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুল তাঁর নির্যাতনের শিকার হয়।
উচ্চাভিলাষী বাবর এরপরও থেমে থাকেননি। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে বাবরকে সাধারণ সম্পাদক দেখতে চাই লেখা হাজারো ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে যায় ফরিদপুর শহর। কিন্তু তিনি সে চেষ্টায় ব্যর্থ হন। সব বাদ দিয়ে আগের মতো মনোযোগী হন অর্থ-বিত্তের দিকে। মালয়েশিয়ায় একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর, যেখানে তাঁর ছেলে থাকেন। ফরিদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের বাইপাস সড়কের পাশে আরেকটি বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়াও বিপুল ভূসম্পত্তির মালিক হন বাবর।
সবকিছু ঠিকঠাকমতো এগোলেও ২০১৭ সালে বড় ভাই খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাবরের কাছে টাকা চান বড় ভাই খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ার ফেলে দিয়ে তাঁকে ঢাকায় চলে যেতে হয়। এরপর মাত্র একবার ফরিদপুরে এলেও টিকতে পারেননি। সেই থেকে তিনি ঢাকাতেই থাকতেন।
২০২০ সালের ১৬ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৮ মে এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সুবল সাহা। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৭ জুন ফরিদপুরে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ক্ষমতার বলয়ে যাঁরা ছিলেন তাঁদের প্রায় সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার বাবরকে ফরিদপুরে নেওয়া হলে স্থানীয় লোকজন আনন্দ মিছিল করেন। সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম হক, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক গোলাম মো. নাছিরসহ অনেকে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেছেন, বাবর ছিলেন ভিন্ন দলে, সুযোগ-সুবিধা লুটতেই তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এত দিন ভাইয়ের ক্ষমতার দাপটে তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪