আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়। ফাইনালে গোল না পেলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করায় খুশি সাবিনার পরিবারসহ ফুটবল-সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, গোল্ডেন বুট জয়ী সাবিনা ও অন্যতম খেলোয়াড় মাসুরাকে স্বাগত জানাতে জমকালো সংবর্ধনার আয়োজন করতে যাচ্ছে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ায় আনন্দে ভাসছেন সাবিনার মা মমতাজ বেগম। তিনি দেশর নারী ফুটবল টিমের সবার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। পিতাহীন পরিবারের কর্ত্রী এখন সাবিনার বড় বোন সালমা খাতুন। সন্ধ্যার পর টিভিতে দেখেছেন বাংলাদেশের জয়। রাতে সাবিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গোল্ডেন বুট জয়ের খবরে অঝোরে কেঁদেছেন। তিনি জানান, বোনের এ জয়ে বারবার তাঁর বাবার কথা খুব মনে পড়েছে। দেশে যেখানেই সাবিনা খেলতে যেতেন, সেখানেই ছুটে যেতেন তাঁর বাবা।
সাবিনা-মাসুরার জয়ে সব খেলোয়াড়ের পরিবার স্মরণ করেছেন সাতক্ষীরার স্থানীয় কোচ আকবার আলীকে। বছরখানেক আগে তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতায় নারী ফুটবল দলের আরেক খেলোয়াড় মাসুরাদের বাড়িতেও চলছে জয়ের উৎসব। বাংলাদেশ দলের জয়ে তাঁর বাবা রজব আলী শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও স্থানীয় মেলায় রাতভর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।
কোচ আকবার আলীই আমার মেয়েকে এ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য হলো, এত বড় জয় আকবার আলী দেখে যেতে পারলেন না
-ফাতেমা খাতুন, মাসুরার মা
রজব আলী বলেন, ‘শহরের পিটিআই মাঠে কোচ আকবার ভাই মেয়েদের ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ দিতেন। আমার বড় মেয়ে মাসুরা ওরফে মুক্তা পিটিআই এলাকার একটি স্কুলে ক্লাস থ্রিতে পড়ত। স্কুল শেষে সে বাসায় না ফিরে মাঠে থাকত। সে সময় সাবিনারা পিটিআই মাঠে খেলত। বল কুড়ানোর মধ্য দিয়ে মাসুরার ফুটবলপ্রীতি তৈরি হয়। আমি এসবের কিছুই জানতাম না। যখন জানলাম, তখন বাধা দিয়েছিলাম। তবে আকবার ভাইয়ের অনুরোধে আমি আর না করতে পারিনি। শেষমেশ ফুটবলেই মেয়েটা সুনাম কুড়াল।’
মাসুরার মা ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘আমরা খুবই গরিব মানুষ। এমনও দিন গেছে, অনাহারে থাকতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকে মাসুরার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখে আমি তাকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিলাম।’
সাতক্ষীরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন প্রিন্স জানান, সাবিনা ও মাসুরা সাতক্ষীরায় ফিরলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে সাবিনা-মাসুরার জেলা সাতক্ষীরায়। ফাইনালে গোল না পেলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করায় খুশি সাবিনার পরিবারসহ ফুটবল-সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, গোল্ডেন বুট জয়ী সাবিনা ও অন্যতম খেলোয়াড় মাসুরাকে স্বাগত জানাতে জমকালো সংবর্ধনার আয়োজন করতে যাচ্ছে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ায় আনন্দে ভাসছেন সাবিনার মা মমতাজ বেগম। তিনি দেশর নারী ফুটবল টিমের সবার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। পিতাহীন পরিবারের কর্ত্রী এখন সাবিনার বড় বোন সালমা খাতুন। সন্ধ্যার পর টিভিতে দেখেছেন বাংলাদেশের জয়। রাতে সাবিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গোল্ডেন বুট জয়ের খবরে অঝোরে কেঁদেছেন। তিনি জানান, বোনের এ জয়ে বারবার তাঁর বাবার কথা খুব মনে পড়েছে। দেশে যেখানেই সাবিনা খেলতে যেতেন, সেখানেই ছুটে যেতেন তাঁর বাবা।
সাবিনা-মাসুরার জয়ে সব খেলোয়াড়ের পরিবার স্মরণ করেছেন সাতক্ষীরার স্থানীয় কোচ আকবার আলীকে। বছরখানেক আগে তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতায় নারী ফুটবল দলের আরেক খেলোয়াড় মাসুরাদের বাড়িতেও চলছে জয়ের উৎসব। বাংলাদেশ দলের জয়ে তাঁর বাবা রজব আলী শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও স্থানীয় মেলায় রাতভর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।
কোচ আকবার আলীই আমার মেয়েকে এ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য হলো, এত বড় জয় আকবার আলী দেখে যেতে পারলেন না
-ফাতেমা খাতুন, মাসুরার মা
রজব আলী বলেন, ‘শহরের পিটিআই মাঠে কোচ আকবার ভাই মেয়েদের ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ দিতেন। আমার বড় মেয়ে মাসুরা ওরফে মুক্তা পিটিআই এলাকার একটি স্কুলে ক্লাস থ্রিতে পড়ত। স্কুল শেষে সে বাসায় না ফিরে মাঠে থাকত। সে সময় সাবিনারা পিটিআই মাঠে খেলত। বল কুড়ানোর মধ্য দিয়ে মাসুরার ফুটবলপ্রীতি তৈরি হয়। আমি এসবের কিছুই জানতাম না। যখন জানলাম, তখন বাধা দিয়েছিলাম। তবে আকবার ভাইয়ের অনুরোধে আমি আর না করতে পারিনি। শেষমেশ ফুটবলেই মেয়েটা সুনাম কুড়াল।’
মাসুরার মা ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘আমরা খুবই গরিব মানুষ। এমনও দিন গেছে, অনাহারে থাকতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকে মাসুরার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখে আমি তাকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিলাম।’
সাতক্ষীরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন প্রিন্স জানান, সাবিনা ও মাসুরা সাতক্ষীরায় ফিরলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪