‘ঘর দিয়েছেন, এখন সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেন।’ গতকাল শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে এমন আকুতি জানাচ্ছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের সেই সাহেরা খাতুন (৬৫।

গত ২০ জুলাই আজকের পত্রিকায় বৃদ্ধ এই মানুষটিকে নিয়ে ‘হেঁটেই চলে জীবন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের নজরে আসে সাহেরার পরিবার। পরে টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে পরিবারটির জন্য একটি টিনশেডের মেঝে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে সাহেরা খাতুন তাঁর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছেলে তমিজ মোল্লাকে (৪৫) নিয়ে সেই ঘরেই বাস করছেন।

এ দিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারটির বর্তমান অবস্থা পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম, যদুবয়রা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল কাদির জিলানী প্রমুখ।

ইউএনও বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পারি। পর আমি সরেজমিনে খোঁজ নিই। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ছয় মাস পর পর মা বিধবাভাতা আর ছেলে প্রতিবন্ধী ভাতার সাত হাজার টাকা পান। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাঁদের একটি ১০ টাকা কেজি চালের কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।’

বিতান কুমার মণ্ডল আরও বলেন, ‘তাঁদেরকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। পরে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’