৪ কিমি জুড়ে খানাখন্দ, দুর্ভোগ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ৫৫

জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের বড়তাজপুর-শালগাঁও-শিডগাংরাইল রাস্তাটির প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

সরেজমিন জানা গেছে, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বড়তাজপুর, শালগাঁও, দস্তপুর এবং শিডগাংরাইলসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার লোক যাতায়াত করেন। এ রাস্তাটির দুপাশে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছোট বড় ২০০টি গরুর খামার, ২৫টি পোলট্রি ফার্ম ও ১০-১২টি পুকুর রয়েছে।

এর মধ্যে বড় পুকুরের পাড়ের ওপর দিয়ে গেছে রাস্তাটি। ওই পুকুরে ভেঙে গেছে রাস্তার প্রায় ৩০০ মিটার। তাই ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে অনেক সময় ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভটভটি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। 
প্রায়ই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দ্রুত এ রাস্তাটি পাকা করা না হলে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপদ সড়কের স্বার্থে অতি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

গরুর খামারি এমদাদুল ইসমাম বলেন, ‘রাস্তাটিতে খানাখন্দ থাকায় গরু এবং হাঁস-মুরগির অসুখ-বিসুখে জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসক আসতে পারেন না। তখন মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়।’

শালগাঁও এর কৃষক আব্দুল আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে উৎপাদিত বিভিন্ন শস্য বাজার নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেশি টাকা দিয়েও কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য ভ্যান বা ভটভটি পাওয়া যায় না। তাই কৃষকদের স্বার্থে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণের দাবি জানাচ্ছি।’

শিডগাংরাইল গ্রামের শ্রীমতি চামেলি রানী বলেন, ‘বর্ষাকালে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। ভ্যান বা ভটভটিও চলাচল করতে পারে না। প্রসূতিকে চিকিৎসকের কাছে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।’

শালগাঁও কোরবানিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল হালিম বলেন, ‘বর্ষাকালে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার লোকজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি পাকা হলে এলাকাবাসীর কষ্ট দূর হবে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘শালগাঁও কোরবানিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ভোটকেন্দ্র হওয়ায় কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের জন্য রাস্তাটি পাকা হওয়া জরুরি। রাস্তাটির কোড নম্বর হয়েছে মর্মে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি।’

পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বড়তাজপুর-শালগাঁও-শিডগাংরাইল রাস্তাটির কোড নম্বর পাশ হয়েছে। এখন যেকোনো সময় রাস্তাটির পাকাকরণ কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত