খাইরুল ইসলাম আকাশ, তালতলী (বরগুনা)
সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিনে জেলেদের সরকারি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলেদের অভিযোগ, প্রকৃত জেলেরা চাল পান না, যাঁরা জেলে নন, তাঁরাই চাল পান। তবে মৎস্য কার্যালয় বলছে, জেলে যাচাই-বাছাইয়ের সময় এসব জেলে না থাকায় তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
জানা গেছে, উপজেলায় ৮ হাজার ৭২১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। উপকূলীয় এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ পেশা হচ্ছে জেলে। ইলিশ মাছ ধরা পেশায় বেশির ভাগ জেলে নির্ভরশীল। সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে প্রতিবছরের মতো এবারও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞাকালীন কর্মহীন এসব জেলেকে জুনে ৫৬ কেজি ও জুলাই মাসে ৩০ কেজি করে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারের চাল বিতরণ নিয়ে জেলেদের রয়েছে নানান অভিযোগ।
উপজেলার ইদুপাড়া গ্রামের জেলে মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘সরকার নাকি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের চাল দেয়। সত্যি বলতে, এই চালগুলো পায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আত্মীয়স্বজন। আমরা যাঁরা প্রকৃত সাগরের জেলে, তাঁদের নামের চাল বরাদ্দ হয় ঠিকই, কিন্তু সেটা চলে যায় সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষের ঘরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথা বিশ্বাস না হলে জেলেদের চাল পরিষদে যখন বিতরণ করা হবে, তখন আপনারা এসে এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই-বাছাই করে দেখেন। এঁদের মধ্যে অনেকে আছেন এলাকায় মুদিদোকানি, ট্রলারের মালিকসহ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আত্মীয়স্বজন।’
একই এলাকার জেলে মো. হারুন (৫৫) বলেন, ‘জেলেজীবনে মাত্র একবার চাল পেয়েছি। কিন্তু যাঁরা জেলে নন, তাঁরা চাল পান সব সময়।’ তিনি বলেন, সব মিলিয়ে বছরে অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা) থাকে ৫ থেকে ৬ মাস। সাগরে সব সময় মাছ পাওয়া যায় না। সবদিক হিসাব করলে আমাদের কাজ থাকে ১২ মাসের মধ্যে ৬ মাস। বাকি ৬ মাস সংসার চলতে হয় ধারদেনা করে। এর ভেতরে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা করাতে পারছি না।’
ফকিরহাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান ফরাজী বলেন, ‘ভারতের জেলেরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে জলসীমানায় এসে মাছ শিকার করছে। এ জন্য ভারতের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের বাংলাদেশে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত। এই নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে পরিবার চলবে, এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছে জেলে পরিবারগুলো।’ তিনি আরও বলেন, ‘জেলেদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ নিষেধাজ্ঞাকালীন গভীর সাগরে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পটে জেলেদের যাচাই-বাছাইয়ের সভা করেছি। তখন এই সব জেলে ছিলেন না। এ জন্য তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবু যাতে প্রকৃত জেলে ছাড়া অন্য কেউ চাল না পান, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সাগরে ভারতীয় জেলেরা যাতে মাছ শিকার করতে না পারেন, সে জন্য নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।’
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, সরকারি চাল বিতরণে যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিনে জেলেদের সরকারি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলেদের অভিযোগ, প্রকৃত জেলেরা চাল পান না, যাঁরা জেলে নন, তাঁরাই চাল পান। তবে মৎস্য কার্যালয় বলছে, জেলে যাচাই-বাছাইয়ের সময় এসব জেলে না থাকায় তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
জানা গেছে, উপজেলায় ৮ হাজার ৭২১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। উপকূলীয় এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ পেশা হচ্ছে জেলে। ইলিশ মাছ ধরা পেশায় বেশির ভাগ জেলে নির্ভরশীল। সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে প্রতিবছরের মতো এবারও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞাকালীন কর্মহীন এসব জেলেকে জুনে ৫৬ কেজি ও জুলাই মাসে ৩০ কেজি করে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারের চাল বিতরণ নিয়ে জেলেদের রয়েছে নানান অভিযোগ।
উপজেলার ইদুপাড়া গ্রামের জেলে মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘সরকার নাকি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের চাল দেয়। সত্যি বলতে, এই চালগুলো পায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আত্মীয়স্বজন। আমরা যাঁরা প্রকৃত সাগরের জেলে, তাঁদের নামের চাল বরাদ্দ হয় ঠিকই, কিন্তু সেটা চলে যায় সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষের ঘরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথা বিশ্বাস না হলে জেলেদের চাল পরিষদে যখন বিতরণ করা হবে, তখন আপনারা এসে এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই-বাছাই করে দেখেন। এঁদের মধ্যে অনেকে আছেন এলাকায় মুদিদোকানি, ট্রলারের মালিকসহ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আত্মীয়স্বজন।’
একই এলাকার জেলে মো. হারুন (৫৫) বলেন, ‘জেলেজীবনে মাত্র একবার চাল পেয়েছি। কিন্তু যাঁরা জেলে নন, তাঁরা চাল পান সব সময়।’ তিনি বলেন, সব মিলিয়ে বছরে অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা) থাকে ৫ থেকে ৬ মাস। সাগরে সব সময় মাছ পাওয়া যায় না। সবদিক হিসাব করলে আমাদের কাজ থাকে ১২ মাসের মধ্যে ৬ মাস। বাকি ৬ মাস সংসার চলতে হয় ধারদেনা করে। এর ভেতরে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা করাতে পারছি না।’
ফকিরহাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান ফরাজী বলেন, ‘ভারতের জেলেরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে জলসীমানায় এসে মাছ শিকার করছে। এ জন্য ভারতের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের বাংলাদেশে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত। এই নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে পরিবার চলবে, এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছে জেলে পরিবারগুলো।’ তিনি আরও বলেন, ‘জেলেদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ নিষেধাজ্ঞাকালীন গভীর সাগরে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পটে জেলেদের যাচাই-বাছাইয়ের সভা করেছি। তখন এই সব জেলে ছিলেন না। এ জন্য তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবু যাতে প্রকৃত জেলে ছাড়া অন্য কেউ চাল না পান, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সাগরে ভারতীয় জেলেরা যাতে মাছ শিকার করতে না পারেন, সে জন্য নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।’
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, সরকারি চাল বিতরণে যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪