নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২২, ০৭: ০৭
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, ১০: ২৯

জনসমাগমস্থল এবং গণপরিবহনে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর যৌন হয়রানি এবং সহিংসতা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনসমাগমস্থলে নারী ও কন্যাশিশুর ওপর হয়রানি বন্ধে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালাগুলো যথেষ্ট নয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ জনসমাগমস্থলে নারীদের জন্য আরও নিরাপদ ও স্বস্তিকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত, সম্মিলিত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিইসি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই), তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানবাধিকার কর্মসূচি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতায় এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।

সভায় বক্তারা বলেন, জনসমাগমস্থল ও চলার পথকে নারীদের জন্য নিরাপদ করতে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি রোধে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একজন নারীর নিরাপত্তা ও চলার পথকে মসৃণ করতে হলে অবশ্যই তাঁর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ তরুণ সমাজ ও নাগরিকদের ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার।

তাঁরা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সবক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার এবং চলাফেরার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ অনুযায়ী শ্রমবাজার ও কর্মক্ষেত্রে সমান অধিকারসহ সব ধরনের জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে জনসমাগমস্থলে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর হয়রানি বন্ধে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালাগুলো যথেষ্ট নয়।

ডিইসি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী সোমেন কানুনগো বলেন, ‘গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি বন্ধে বাসগুলোর ভেতরে গাড়ির নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। কেউ হয়রানির শিকার হলে দ্রুত নম্বর দেখে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত