মনিরামপুর প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে একসময় কদর ছিল ভুট্টার আবাদের। প্রতি মৌসুমে ভুট্টার চাষ বেড়েছিল দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ। কিন্তু গত চার-পাঁচ বছর ধরে এ ফসল চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষকেরা।
চলতি মৌসুমে উপজেলায় মাত্র ৭৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ভুট্টার, যা গত বারের তুলনায় ১০০ হেক্টর কম।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, বাজারে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা ধান চাষে ঝুঁকছেন। একই সঙ্গে ভুট্টার বাজারজাত করায় রয়েছে নানা সমস্যা। এসবের কারণে ভুট্টার আবাদ কমেছে।
কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি ভুট্টা চাষের উপযুক্ত সময়। চলতি মৌসুমে মনিরামপুরে ৭৩ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মনিরামপুর সদর ইউনিয়নে ২৭ হেক্টর, পৌরসভা এলাকায় ১৪ হেক্টর, খেদাপাড়ায় ১৩ হেক্টর, রোহিতায় ৬ হেক্টর, কাশিমনগর ও ভোজগাতী ইউনিয়নে ৫ হেক্টর করে ১০ হেক্টর, মশ্মিমনগরে ৩ হেক্টর, শ্যামকুড়ে ২ হেক্টর ও মাছনা গ্রামে ১ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে।
দাম ও ফলন দুটোই ভালো হলেও ভুট্টা চাষ আকৃষ্ট করতে পারেনি ঢাকুরিয়া, হরিহরনগর, ঝাঁপা, চালুয়াহাটি, দূর্বাডাঙা ও নেহালপুর ইউনিয়নের কৃষকদের। এসব অঞ্চলে এবার ভুট্টার চাষ শূন্যের ঘরে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ২০১৮ সালে ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়। ২০১৯ সালে ভুট্টার চাষ দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১০ হেক্টরে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ভুট্টার চাষ হয় ১৭৫ হেক্টর জমিতে।
চলতি মৌসুমে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭৫ হেক্টর। ২৫০ জন কৃষককে ভুট্টার প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা ২ কেজি করে বীজ ও ৩০ কেজি মিশ্র সার পেয়েছেন। প্রণোদনা দিয়েও এ বছর ভুট্টার আবাদ বাড়ানো যায়নি। বরং চাষ কমেছে গত বছর থেকে ১০২ হেক্টরের।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের অসময়ের বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ভুট্টার আবাদ। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ২০ হেক্টর ভুট্টা খেত পানিতে তালিয়ে গেছে। এর মধ্যে ২ হেক্টরে ভুট্টার আবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গবাদিপশু, হাঁস মুরগি, মাছ ও মানুষের খাবার তৈরিতে ভুট্টা ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পশু ও বয়লারের খামার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে ভুট্টার।
ভুট্টার চাষ পদ্ধতি সহজ, খরচ কম। শতক প্রতি এর ফলন কয়েক মণ। ফসল তোলার মুহূর্তে কৃষক প্রতিমণ ভুট্টা ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় মনিরামপুর অঞ্চলের কৃষক এ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
গত দুই বছর ধানের বাজার দর বেশি। প্রতিমণ ধান খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ভালো দাম পেয়ে ফের কৃষকেরা ধান চাষে ঝুঁকেছেন।
উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ৮৪ শতক জমিতে এবার ভুট্টা চাষ করেছি। গত বছর সমপরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। এখন ভুট্টার মণ ১ হাজার ৩০০ টাকা। ফসল ওঠার সময় দাম থাকে ৭০০-৭৫০ টাকা।
কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বড় ব্যবসায়ীরা এদিকে আসেন না। স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ভুট্টা বিক্রি করতে হয়। বড় ব্যবসায়ীরা এলে দাম কিছুটা বেশি পেতাম।’
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘ধানের দাম বাড়ার কারণে ভুট্টাসহ মসুর ও সরিষার চাষ মনিরামপুরে অনেকটা কমেছে। ভুট্টার ফল ছাড়ানোর কাজ কৃষকেরা কিছুটা ঝামেলার মনে করেন। তা ছাড়া ভুট্টার বাজারজাতকরণ নিয়েও কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হয়।’
যশোরের মনিরামপুরে একসময় কদর ছিল ভুট্টার আবাদের। প্রতি মৌসুমে ভুট্টার চাষ বেড়েছিল দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ। কিন্তু গত চার-পাঁচ বছর ধরে এ ফসল চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষকেরা।
চলতি মৌসুমে উপজেলায় মাত্র ৭৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ভুট্টার, যা গত বারের তুলনায় ১০০ হেক্টর কম।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, বাজারে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকেরা ধান চাষে ঝুঁকছেন। একই সঙ্গে ভুট্টার বাজারজাত করায় রয়েছে নানা সমস্যা। এসবের কারণে ভুট্টার আবাদ কমেছে।
কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি ভুট্টা চাষের উপযুক্ত সময়। চলতি মৌসুমে মনিরামপুরে ৭৩ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মনিরামপুর সদর ইউনিয়নে ২৭ হেক্টর, পৌরসভা এলাকায় ১৪ হেক্টর, খেদাপাড়ায় ১৩ হেক্টর, রোহিতায় ৬ হেক্টর, কাশিমনগর ও ভোজগাতী ইউনিয়নে ৫ হেক্টর করে ১০ হেক্টর, মশ্মিমনগরে ৩ হেক্টর, শ্যামকুড়ে ২ হেক্টর ও মাছনা গ্রামে ১ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে।
দাম ও ফলন দুটোই ভালো হলেও ভুট্টা চাষ আকৃষ্ট করতে পারেনি ঢাকুরিয়া, হরিহরনগর, ঝাঁপা, চালুয়াহাটি, দূর্বাডাঙা ও নেহালপুর ইউনিয়নের কৃষকদের। এসব অঞ্চলে এবার ভুট্টার চাষ শূন্যের ঘরে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ২০১৮ সালে ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়। ২০১৯ সালে ভুট্টার চাষ দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১০ হেক্টরে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ভুট্টার চাষ হয় ১৭৫ হেক্টর জমিতে।
চলতি মৌসুমে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭৫ হেক্টর। ২৫০ জন কৃষককে ভুট্টার প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা ২ কেজি করে বীজ ও ৩০ কেজি মিশ্র সার পেয়েছেন। প্রণোদনা দিয়েও এ বছর ভুট্টার আবাদ বাড়ানো যায়নি। বরং চাষ কমেছে গত বছর থেকে ১০২ হেক্টরের।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের অসময়ের বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ভুট্টার আবাদ। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ২০ হেক্টর ভুট্টা খেত পানিতে তালিয়ে গেছে। এর মধ্যে ২ হেক্টরে ভুট্টার আবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গবাদিপশু, হাঁস মুরগি, মাছ ও মানুষের খাবার তৈরিতে ভুট্টা ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পশু ও বয়লারের খামার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে ভুট্টার।
ভুট্টার চাষ পদ্ধতি সহজ, খরচ কম। শতক প্রতি এর ফলন কয়েক মণ। ফসল তোলার মুহূর্তে কৃষক প্রতিমণ ভুট্টা ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় মনিরামপুর অঞ্চলের কৃষক এ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
গত দুই বছর ধানের বাজার দর বেশি। প্রতিমণ ধান খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ভালো দাম পেয়ে ফের কৃষকেরা ধান চাষে ঝুঁকেছেন।
উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ৮৪ শতক জমিতে এবার ভুট্টা চাষ করেছি। গত বছর সমপরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। এখন ভুট্টার মণ ১ হাজার ৩০০ টাকা। ফসল ওঠার সময় দাম থাকে ৭০০-৭৫০ টাকা।
কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বড় ব্যবসায়ীরা এদিকে আসেন না। স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ভুট্টা বিক্রি করতে হয়। বড় ব্যবসায়ীরা এলে দাম কিছুটা বেশি পেতাম।’
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘ধানের দাম বাড়ার কারণে ভুট্টাসহ মসুর ও সরিষার চাষ মনিরামপুরে অনেকটা কমেছে। ভুট্টার ফল ছাড়ানোর কাজ কৃষকেরা কিছুটা ঝামেলার মনে করেন। তা ছাড়া ভুট্টার বাজারজাতকরণ নিয়েও কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হয়।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে