চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর-সিলেট পথে (রুটে) আবার কবে চলবে ট্রেন কেউ তা জানেন না। প্রায় পাঁচ দশক ধরে বন্ধ থাকা এই যাত্রাপথে আবার নতুন এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছর। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনও দিয়েছেন। তবে এক বছরেও সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। কবে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না রেলের কর্মকর্তারা।
এক সময় চাঁদপুর-সিলেট সরাসরি একটি ট্রেন চলাচল করত। মেঘনা নামের ট্রেনটি দিয়ে আসাম থেকে চা ও অন্যান্য পণ্য আনা হতো চাঁদপুরে। সেখান থেকে এসব পণ্য নৌপথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর হয়ে পৌঁছাত যুক্তরাজ্যে। পুরোনো সেই রুট আবার সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে এক বছরেও সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। এতে এ অঞ্চলের লাখো মানুষ সরাসরি রেল সেবা থেকে বঞ্চিত। অনেকে আবার দফায় দফায় ট্রেন পরিবর্তন করে ভোগান্তির শিকার হয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে।
এক সময় চাঁদপুর-সিলেট যাত্রাপথে ট্রেনে শরীয়তপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা ও বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করতেন হাজারো মানুষ। বর্তমানে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে প্রতিদিন আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা মেইল চলাচল করছে। ফলে বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের কুমিল্লায় ও কুমিল্লার যাত্রীদের দক্ষিণাঞ্চলে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমানে এই রুটের যাত্রীরা ঢাকা হয়ে বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছেন। নতুন প্রস্তাবিত ট্রেন সার্ভিসটি চালু হলে বৃহত্তর কুমিল্লা ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ যাত্রী চাঁদপুর হয়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।
জানা গেছে, পুরোনো রুটটি আবার চালু করতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের গড়িমসি ও অসহযোগিতার কারণে তা আর অগ্রসর হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । বর্তমানে সিলেট থেকে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৪০টি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। বাসগুলোর সেবার মান খুবই নিম্নমানের। লক্ষ্মীপুর জেলার অধিকাংশ যাত্রী চাঁদপুর হয়ে বাসে সিলেট যাতায়াত করেন। চাঁদপুর থেকে সিলেটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে বৃহত্তর কুমিল্লাসহ নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, শরীয়তপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার বাসিন্দারা এ পথে সিলেট যাতায়াত করতে পারবেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সিলেট-চাঁদপুর রুটে নতুন একটি আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর জন্য ওই চিঠি দেন। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালকের কাছে নতুন করে তাগাদা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিশেষ নির্দেশনা থাকায় সিলেট-চাঁদপুর রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু হতে বাধা নেই। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো মতামত চাওয়া হলে আমরা অবশ্যই বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেব। বিষয়টি রেলের পরিবহন বিভাগ থেকে সম্ভাব্যতা যাচাই ও বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় ট্রেনটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলেই রেলওয়ের সবচেয়ে পুরোনো এ রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।’
তবে এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশন মাস্টার মো. সায়েব সিকদার বলেন, এক সময় এই রুট জমজমাট ছিল। কোচ ও বগি বাড়িয়ে রুটটি চালু করা সম্ভব। তবে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
চাঁদপুর-সিলেট পথে (রুটে) আবার কবে চলবে ট্রেন কেউ তা জানেন না। প্রায় পাঁচ দশক ধরে বন্ধ থাকা এই যাত্রাপথে আবার নতুন এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছর। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনও দিয়েছেন। তবে এক বছরেও সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। কবে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না রেলের কর্মকর্তারা।
এক সময় চাঁদপুর-সিলেট সরাসরি একটি ট্রেন চলাচল করত। মেঘনা নামের ট্রেনটি দিয়ে আসাম থেকে চা ও অন্যান্য পণ্য আনা হতো চাঁদপুরে। সেখান থেকে এসব পণ্য নৌপথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর হয়ে পৌঁছাত যুক্তরাজ্যে। পুরোনো সেই রুট আবার সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে এক বছরেও সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। এতে এ অঞ্চলের লাখো মানুষ সরাসরি রেল সেবা থেকে বঞ্চিত। অনেকে আবার দফায় দফায় ট্রেন পরিবর্তন করে ভোগান্তির শিকার হয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে।
এক সময় চাঁদপুর-সিলেট যাত্রাপথে ট্রেনে শরীয়তপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা ও বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করতেন হাজারো মানুষ। বর্তমানে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে প্রতিদিন আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা মেইল চলাচল করছে। ফলে বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের কুমিল্লায় ও কুমিল্লার যাত্রীদের দক্ষিণাঞ্চলে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমানে এই রুটের যাত্রীরা ঢাকা হয়ে বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছেন। নতুন প্রস্তাবিত ট্রেন সার্ভিসটি চালু হলে বৃহত্তর কুমিল্লা ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ যাত্রী চাঁদপুর হয়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।
জানা গেছে, পুরোনো রুটটি আবার চালু করতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের গড়িমসি ও অসহযোগিতার কারণে তা আর অগ্রসর হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । বর্তমানে সিলেট থেকে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৪০টি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। বাসগুলোর সেবার মান খুবই নিম্নমানের। লক্ষ্মীপুর জেলার অধিকাংশ যাত্রী চাঁদপুর হয়ে বাসে সিলেট যাতায়াত করেন। চাঁদপুর থেকে সিলেটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে বৃহত্তর কুমিল্লাসহ নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, শরীয়তপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার বাসিন্দারা এ পথে সিলেট যাতায়াত করতে পারবেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সিলেট-চাঁদপুর রুটে নতুন একটি আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর জন্য ওই চিঠি দেন। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালকের কাছে নতুন করে তাগাদা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিশেষ নির্দেশনা থাকায় সিলেট-চাঁদপুর রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু হতে বাধা নেই। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো মতামত চাওয়া হলে আমরা অবশ্যই বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেব। বিষয়টি রেলের পরিবহন বিভাগ থেকে সম্ভাব্যতা যাচাই ও বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় ট্রেনটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলেই রেলওয়ের সবচেয়ে পুরোনো এ রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।’
তবে এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশন মাস্টার মো. সায়েব সিকদার বলেন, এক সময় এই রুট জমজমাট ছিল। কোচ ও বগি বাড়িয়ে রুটটি চালু করা সম্ভব। তবে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে