যশোর প্রতিনিধি
যশোরের মাঠে মাঠে চলছে পাকা আমন ধান কাটার ধুম। আবহাওয়া ভালো থাকায় অনেকেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে গত দু’দিন সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
টানা বৃষ্টিতে সদর, চৌগাছা, বাঘারপাড়া, কেশবপুর, অভয়নগর, মনিরামপুরের অনেক কৃষকই এখনো ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এতে অনেকেরই শুকনো ধান ভিজে গেছে। শেষ সময়ে কষ্টের ফলানো ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার সকাল থেকেই জেলায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল রোববার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। সকাল থেকেই কখনো মাঝারি, কখনোবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এ অবস্থা আজও (সোমবার) অব্যাহত থাকতে পারে। এ দিকে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যশোরে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি আমনের মৌসুমে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। কয়েক দিন ধরে ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কিষান-কিষানিরা। এ সময়ে আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে মাঠের অধিকাংশ ধান কেটে বাড়িতে নিয়েছেন তাঁরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৩-৪ দিনের মধ্যে পুরো ধান ঘরে তোলার কাজ সম্পন্ন হতো। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। টানা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে অনেকের শুকনো ধান। এতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার জলেশ্বর এলাকার কৃষক আব্দুর রফিক বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেকেই ধান বাড়িতে তুলেছেন। তবে কারও কারও ধান কাটার পর শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছেন খেতে। আবার কেউ কেউ শুকনো ধানের মুঠো বেঁধে গাদা করে রেখেছেন। এ অবস্থায় শনিবার ও রোববার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। বৃষ্টিতে ভিজেই ধান কাটা, বাঁধা ও নেওয়ার কাজ করছেন কিষানিরা। এতে বেগ পেতে হচ্ছে। সময় লাগছে বেশি। আর বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রমও হয়েছে।’
কৃষক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে ১ বিঘা ৮ কাঠা বাড়িতে আনা হয়ে গেছে। ১২ কাঠা জমির ধান বৃষ্টিতে ভিজেছে। দুদিন রোদ্দুর হলে হাসি মুখে সব জমির ধান বাড়িতে আনতে পারতেন তিনি। এমন আবহাওয়া থাকলে অনেক ধান নষ্ট হয়ে যাবে তাঁর।
শালবরাট গ্রামের কৃষক বাচ্চু মোল্যা বলেন, ‘২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি, সব ধানই মাঠে পড়ে আছে। ’
আমাদের চৌগাছা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর রাত থেকে শুরু হয়ে রোববার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের আমন ধান তোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠের বেশির ভাগ ধান কাটা হয়ে গেলেও অনেকেই ধান গুছিয়ে বাড়িতে নিতে না পেরে মাঠেই গাদা (জালি) দিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ বাড়িতে নিয়ে জালি দিয়ে রেখেছেন। এসব কৃষকই বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যদিও মাঠের কিছু অংশ ধান এখনো কাটা হয়নি।
সিংহঝুলি গ্রামের টনিরাজ জানান, এখনো মাঠের ধান বাড়িতে আনতে না পারায় তাঁর মতো অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। স্বরুপদাহ গ্রামের ফসিউজ্জামান জানান, তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান কেটে মাঠে রাখা ছিল। শনিবার বাড়িতে এনে জালি দিয়ে রেখেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘আরও দুই–একদিন না গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। আমন ধান বেশির ভাগই কেটে বাড়িতে নিয়েছেন কৃষক। অনেকেই বোরোর বীজতলা তৈরি করেছেন। এখনো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও আরও কয়েক দিন এ অবস্থায় থাকলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘জেলায় এবার ১ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। এর প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাড়ি তোলা হয়েছে অন্তত ৬০-৬৫ ভাগ ধান। যারা দেরিতে আবাদ করেছিলেন তাঁদের কিছু ধান এখনো মাঠে থেকে গেছে। সেগুলোও ঘরে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।’
আবহাওয়া অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৃষ্টি বেশি সময় থাকার কথা নয়। সুতরাং এর তেমন একটা প্রভাবও পড়বে না। তবে ধান ভিজে যাওয়ায় কিছু চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
যশোরের মাঠে মাঠে চলছে পাকা আমন ধান কাটার ধুম। আবহাওয়া ভালো থাকায় অনেকেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে গত দু’দিন সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
টানা বৃষ্টিতে সদর, চৌগাছা, বাঘারপাড়া, কেশবপুর, অভয়নগর, মনিরামপুরের অনেক কৃষকই এখনো ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এতে অনেকেরই শুকনো ধান ভিজে গেছে। শেষ সময়ে কষ্টের ফলানো ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার সকাল থেকেই জেলায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল রোববার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। সকাল থেকেই কখনো মাঝারি, কখনোবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এ অবস্থা আজও (সোমবার) অব্যাহত থাকতে পারে। এ দিকে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যশোরে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি আমনের মৌসুমে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। কয়েক দিন ধরে ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কিষান-কিষানিরা। এ সময়ে আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে মাঠের অধিকাংশ ধান কেটে বাড়িতে নিয়েছেন তাঁরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৩-৪ দিনের মধ্যে পুরো ধান ঘরে তোলার কাজ সম্পন্ন হতো। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। টানা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে অনেকের শুকনো ধান। এতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার জলেশ্বর এলাকার কৃষক আব্দুর রফিক বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেকেই ধান বাড়িতে তুলেছেন। তবে কারও কারও ধান কাটার পর শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছেন খেতে। আবার কেউ কেউ শুকনো ধানের মুঠো বেঁধে গাদা করে রেখেছেন। এ অবস্থায় শনিবার ও রোববার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। বৃষ্টিতে ভিজেই ধান কাটা, বাঁধা ও নেওয়ার কাজ করছেন কিষানিরা। এতে বেগ পেতে হচ্ছে। সময় লাগছে বেশি। আর বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রমও হয়েছে।’
কৃষক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে ১ বিঘা ৮ কাঠা বাড়িতে আনা হয়ে গেছে। ১২ কাঠা জমির ধান বৃষ্টিতে ভিজেছে। দুদিন রোদ্দুর হলে হাসি মুখে সব জমির ধান বাড়িতে আনতে পারতেন তিনি। এমন আবহাওয়া থাকলে অনেক ধান নষ্ট হয়ে যাবে তাঁর।
শালবরাট গ্রামের কৃষক বাচ্চু মোল্যা বলেন, ‘২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি, সব ধানই মাঠে পড়ে আছে। ’
আমাদের চৌগাছা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর রাত থেকে শুরু হয়ে রোববার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের আমন ধান তোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠের বেশির ভাগ ধান কাটা হয়ে গেলেও অনেকেই ধান গুছিয়ে বাড়িতে নিতে না পেরে মাঠেই গাদা (জালি) দিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ বাড়িতে নিয়ে জালি দিয়ে রেখেছেন। এসব কৃষকই বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যদিও মাঠের কিছু অংশ ধান এখনো কাটা হয়নি।
সিংহঝুলি গ্রামের টনিরাজ জানান, এখনো মাঠের ধান বাড়িতে আনতে না পারায় তাঁর মতো অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। স্বরুপদাহ গ্রামের ফসিউজ্জামান জানান, তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান কেটে মাঠে রাখা ছিল। শনিবার বাড়িতে এনে জালি দিয়ে রেখেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘আরও দুই–একদিন না গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। আমন ধান বেশির ভাগই কেটে বাড়িতে নিয়েছেন কৃষক। অনেকেই বোরোর বীজতলা তৈরি করেছেন। এখনো তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও আরও কয়েক দিন এ অবস্থায় থাকলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘জেলায় এবার ১ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। এর প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাড়ি তোলা হয়েছে অন্তত ৬০-৬৫ ভাগ ধান। যারা দেরিতে আবাদ করেছিলেন তাঁদের কিছু ধান এখনো মাঠে থেকে গেছে। সেগুলোও ঘরে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।’
আবহাওয়া অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৃষ্টি বেশি সময় থাকার কথা নয়। সুতরাং এর তেমন একটা প্রভাবও পড়বে না। তবে ধান ভিজে যাওয়ায় কিছু চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে