Ajker Patrika

কুষ্টিয়ায় কিশোরকে হেনস্তার অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৪৩
কুষ্টিয়ায় কিশোরকে হেনস্তার অভিযোগ

কুষ্টিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে বাপ্পি ইসলাম নামের (১৫) এক কিশোরকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। বাপ্পি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নগর মোহাম্মদ পুর এলাকার রবিউল ইসলামের পুত্র। সে পেশায় একজন মোটরসাইকেল মেকানিক।

বাপ্পির অভিযোগ, কুষ্টিয়ার বন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল হামিদ এবং তার স্ত্রীর বড় ভাই তার দোকানে গাড়ি পরিষ্কারসহ খুঁটিনাটি কাজ করাতে আসতেন।

কিন্তু তাঁরা কোনো সময় ঠিকমত মজুরি পরিশোধ করতেন না। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে বাপ্পীর ওপর ক্ষিপ্ত হন আবদুল হামিদ।

গত ১ ডিসেম্বর বাপ্পীর গ্যারাজের পাশের একটি কাঁঠাল গাছ থেকে দুটি ঘুঘু পাখির বাচ্চা ধরে বাপ্পি। এতে বাপ্পীকে পাখি ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে তাঁকে আটক করে জেলা বন বিভাগের অফিসে নিয়ে আসে আবদুল হামিদ।

এ সময় বাপ্পী আকুতি করে হামিদের কাছে ক্ষমা চাইলেও তাকে বিভিন্ন মামলায় জেলে পাঠানোর হুমকি দিতে থাকেন হামিদ। এর একপর্যায়ে বাপ্পীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন হামিদ। এই খবর শুনে বাপ্পীর স্বজন এবং স্থানীয়রা এসে চাপ সৃষ্টি করলে জোর করে একটা মুচলেকায় স্বাক্ষর করিয়ে ছেড়ে দেন বাপ্পীকে।

বাপ্পী বলে, ‘আমি একজন ছোটখাটো মোটরসাইকেল মেকানিক। বন বিভাগের ওই কর্মকর্তা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে আমাকে হেনস্থা করার জন্য তাঁর অফিসে নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখেন।’

এ বিষয়ে বাপ্পীর বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তিনি সরকারি চাকরির ক্ষমতা দেখিয়ে টাকার জন্য এলাকার বিভিন্ন মানুষকে নানানভাবে হয়রানি করেন। আমার ছেলেকেও অকারণে ধরে আটকে রাখেন। এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে আমার ছেলের নামে পাখি পাচারকারী এবং গাছ চুরির মামলা দেওয়া হুমকি দিতে থাকেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল হামিদ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বন্যপ্রাণী ধরা অপরাধ। তাই তাকে ধরেছিলাম। পরে তার অভিভাবকেরা ভুল স্বীকার করায় তাকে ছেড়ে দিয়েছি। এখন তারা উল্টা আমার নামে মিথ্যা এসব অভিযোগ করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত