মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। এই সময়ে ঘুরে বেড়াতে দেশবাসীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে কক্সবাজার। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক এই পর্যটন নগরীতে ছুটে আসেন। পাহাড়-সমুদ্রের মিতালি যে এখানে। এই কক্সবাজারে ইনানী পাথুরে সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য টানে কমবেশি সকলকেই। এই সৈকতের পাশেই পাথুয়ারটেক। আরেকটু দূরে কানা রাজার সুড়ঙ্গ। আশপাশের বন-বনানী, প্রাণী বৈচিত্র্যসহ কত কিছু দেখার আছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন এখানে লুটিয়ে পড়ছে।
প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাথরের স্তূপে দাঁড়িয়ে দিগন্তছোঁয়া সৈকত নীল জলরাশি অবলোকন ভ্রমণপিপাসু টেনে আনে। পাশের পাহাড়, চিংড়ির পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি জোন ও সুপারি বাগান ঘুরে দেখারও সুযোগ মেলে তাঁদের।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলীর সায়মন বিচ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় বেশি ভিড় করেন পর্যটকেরা। এখানে মূলত থাকা-খাওয়া ও নিরাপত্তাসহ নানাবিধ সুবিধা সহজলভ্য। যে কারণে এখানে জটলা করেন পর্যটকেরা। অথচ শহর থকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতের বেশির ভাগ জায়গায় পর্যটক আকর্ষণের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুরে পাতুয়ারটেকের সৈকতে মায়ের হাত ধরে হাঁটছিল ৬ বছরের ছোট্ট নাফিজ ইমরান। পাথর থেকে পাথরে লাফ দিচ্ছিল। কখনো আবার বসে স্বচ্ছ জলরাশি নিয়ে খেলা মেতে উঠছিল সে। মা জেরিন ইমরান কোনো ভাবেই তাকে ছাড়ছিলেন না। পাশাপাশি থেকে ছেলে ও স্ত্রীর সেই দৃশ্য ধারণ করছিলেন ইমরান সাঈদ। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী। রাজধানী ঢাকার মালিবাগ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিদায়ী বছর ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার ছুটে এসেছিলেন তাঁরা।
ইমরান সাঈদ বলেন, পাতুয়ারটেক ও ইনানী সৈকত খুবই নিরিবিলি। একসঙ্গে সব দেখার সুযোগ এখানে রয়েছে।
বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক শামীমা নাসরিন শমী তাঁর ২৫ সহকর্মীকে ইনানী সৈকতে এসেছিলেন বনভোজনে। তিনি বলেন, সৈকতের আশপাশের সৌন্দর্য আরও বেশি আনন্দ জুগিয়েছে।
স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা বলেন, আগের চেয়ে ইনানী ও পাতুয়ারটেক সৈকতে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে তাঁরা আসছেন। পথে বড়ছড়া পাহাড়ি ঝরনা, দরিয়ানগর পর্যটনকেন্দ্র, হিমছড়ি ঝরনা ও পাহাড় চূড়ার বিনোদনকেন্দ্রেও যাচ্ছেন পর্যটকেরা।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সুপার (এসপি) মো. জিললুর রহমান বলেন, ইনানী ও পাতুয়ারটেক সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
যেভাবে যাবেন: কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এক পাশে উঁচু পাহাড় ও অন্য পাশে সমুদ্রসৈকত। দীর্ঘ পথে যেতে একটুও ক্লান্ত হবেন না আপনি। এ সড়ক ধরে ২৭ কিলোমিটার গেলেই পাথুরে সৈকত ইনানী। এরপর পড়বে পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ। আরও তিন কিলোমিটার পর পাতুয়ারটেক।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার এসে নামতে হবে। এরপর বাস টার্মিনাল কিংবা কলাতলীর মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত টমটম, টুরিস্ট জিপে যাওয়া যাবে ইনানী।
ভাড়া: সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা টমটমে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় আসা-যাওয়া করা যাবে। জিপে যেতে হলে খরচ হবে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা।
থাকা ও খাওয়া-দাওয়া: ইনানীতে রয়েল টিউলিপ, রয়েল রিসোর্ট, জলতরঙ্গ, অর্কিড ব্লু, পেভেল স্টোনসহ ৩০ টির মতো হোটেল-কটেজ ও গেস্ট হাউস রয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু রেস্তোরাঁও। এখানে ১২ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। এই সময়ে ঘুরে বেড়াতে দেশবাসীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে কক্সবাজার। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক এই পর্যটন নগরীতে ছুটে আসেন। পাহাড়-সমুদ্রের মিতালি যে এখানে। এই কক্সবাজারে ইনানী পাথুরে সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য টানে কমবেশি সকলকেই। এই সৈকতের পাশেই পাথুয়ারটেক। আরেকটু দূরে কানা রাজার সুড়ঙ্গ। আশপাশের বন-বনানী, প্রাণী বৈচিত্র্যসহ কত কিছু দেখার আছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন এখানে লুটিয়ে পড়ছে।
প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাথরের স্তূপে দাঁড়িয়ে দিগন্তছোঁয়া সৈকত নীল জলরাশি অবলোকন ভ্রমণপিপাসু টেনে আনে। পাশের পাহাড়, চিংড়ির পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি জোন ও সুপারি বাগান ঘুরে দেখারও সুযোগ মেলে তাঁদের।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলীর সায়মন বিচ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় বেশি ভিড় করেন পর্যটকেরা। এখানে মূলত থাকা-খাওয়া ও নিরাপত্তাসহ নানাবিধ সুবিধা সহজলভ্য। যে কারণে এখানে জটলা করেন পর্যটকেরা। অথচ শহর থকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতের বেশির ভাগ জায়গায় পর্যটক আকর্ষণের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুরে পাতুয়ারটেকের সৈকতে মায়ের হাত ধরে হাঁটছিল ৬ বছরের ছোট্ট নাফিজ ইমরান। পাথর থেকে পাথরে লাফ দিচ্ছিল। কখনো আবার বসে স্বচ্ছ জলরাশি নিয়ে খেলা মেতে উঠছিল সে। মা জেরিন ইমরান কোনো ভাবেই তাকে ছাড়ছিলেন না। পাশাপাশি থেকে ছেলে ও স্ত্রীর সেই দৃশ্য ধারণ করছিলেন ইমরান সাঈদ। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী। রাজধানী ঢাকার মালিবাগ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিদায়ী বছর ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার ছুটে এসেছিলেন তাঁরা।
ইমরান সাঈদ বলেন, পাতুয়ারটেক ও ইনানী সৈকত খুবই নিরিবিলি। একসঙ্গে সব দেখার সুযোগ এখানে রয়েছে।
বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক শামীমা নাসরিন শমী তাঁর ২৫ সহকর্মীকে ইনানী সৈকতে এসেছিলেন বনভোজনে। তিনি বলেন, সৈকতের আশপাশের সৌন্দর্য আরও বেশি আনন্দ জুগিয়েছে।
স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা বলেন, আগের চেয়ে ইনানী ও পাতুয়ারটেক সৈকতে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে তাঁরা আসছেন। পথে বড়ছড়া পাহাড়ি ঝরনা, দরিয়ানগর পর্যটনকেন্দ্র, হিমছড়ি ঝরনা ও পাহাড় চূড়ার বিনোদনকেন্দ্রেও যাচ্ছেন পর্যটকেরা।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সুপার (এসপি) মো. জিললুর রহমান বলেন, ইনানী ও পাতুয়ারটেক সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
যেভাবে যাবেন: কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এক পাশে উঁচু পাহাড় ও অন্য পাশে সমুদ্রসৈকত। দীর্ঘ পথে যেতে একটুও ক্লান্ত হবেন না আপনি। এ সড়ক ধরে ২৭ কিলোমিটার গেলেই পাথুরে সৈকত ইনানী। এরপর পড়বে পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ। আরও তিন কিলোমিটার পর পাতুয়ারটেক।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার এসে নামতে হবে। এরপর বাস টার্মিনাল কিংবা কলাতলীর মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত টমটম, টুরিস্ট জিপে যাওয়া যাবে ইনানী।
ভাড়া: সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা টমটমে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় আসা-যাওয়া করা যাবে। জিপে যেতে হলে খরচ হবে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা।
থাকা ও খাওয়া-দাওয়া: ইনানীতে রয়েল টিউলিপ, রয়েল রিসোর্ট, জলতরঙ্গ, অর্কিড ব্লু, পেভেল স্টোনসহ ৩০ টির মতো হোটেল-কটেজ ও গেস্ট হাউস রয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু রেস্তোরাঁও। এখানে ১২ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে