নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
স্থানীয়দের জীবন মান উন্নয়ন ও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে পদ্মা সেতু ঘেঁষা শরীয়তপুরের নাওডোবায় নির্মাণ করা হচ্ছে তাঁতপল্লি। এর নাম শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি।
জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ও পাশের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুরের ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এই তাঁতপল্লি। এটি নির্মিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে বিপুলসংখ্যক মানুষের। ১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।
পদ্মা সেতু ঘিরে ব্যা.পক কর্মযজ্ঞ চলছে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে। সেতুর আশপাশে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন শিল্প ও কল কারখানা নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিল্প কারখানা নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়ের পর উদ্যোক্তারা রয়েছেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এরই অংশ হিসেবে বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে একটি তাঁতপল্লি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয় সরকার।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সরকার তাঁত শিল্পের উন্নয়নে বহুমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী তাঁতপল্লি নির্মাণ অন্যতম। শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা মৌজায় ৫৯ দশমিক ৭৩ একর ও মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর মৌজায় ৬০ একর করে মোট ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে এই শিল্প স্থাপন করা হবে। প্রশাসনিক আদেশের পর জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। মাটি ভরাটের মাধ্যমে এখন চলছে ভূমি উন্নয়নের কাজ। এরপর শুরু হবে অবকাঠামো তৈরির কাজ। প্রকল্পের আওতায় তাঁত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কলকারখানার পাশাপাশি কর্মরত তাঁতিদের জন্য রাখা হয়েছে আবাসন ব্যবস্থা। তাঁতিদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের গুণগতমান উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ, পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, দেশি ও আন্তর্জাতিক বাজারে তাঁতবস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই তাঁত শিল্পটি গড়ে উঠছে। প্রকল্পের আওতায় মোট ৮ হাজার ৬৪টি তাঁত শেড নির্মাণ করা হবে। যেখানে ৮ হাজার ৬৪ তাঁতিকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে। বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪ দশমিক ৩১ কোটি মিটার কাপড়।
পশ্চিম নাওডোবার ইউনিয়নের জমাদ্দারকান্দি গ্রামের বাদল জমাদ্দার বলেন, ‘তাঁত শিল্পের পাশেই আমাদের বাড়ি। প্রকল্প এলাকার সঙ্গেই আমার কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁতপল্লিকে ঘিরেই এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। তাঁতপল্লি চালু হলে এখানে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। মানুষের হাঁকডাকে সব সময় কর্ম ব্যস্ত থাকবে এসব এলাকা।’
নাওডোবা বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এই গ্রামটি পদ্মা পাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় এত দিন উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত আমাদের গ্রামের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পরই পাল্টে যেতে থাকে আমাদের এলাকার উন্নয়নের চিত্র। এখন আবার নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লি। এখনই পদ্মা সেতু দেখতে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ভিড় করছেন এলাকায়। তাঁতপল্লি নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটি জমজমাট থাকবে। এলাকার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি দেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে টিকিয়ে রাখার প্রয়াস। এর ফলে উন্নত হবে দেশের তাঁত শিল্প। স্থানীয়দের পাশাপাশি জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে তাঁতিদের। বিপুলসংখ্যক জনগণের কর্মসংস্থান হবে।’
স্থানীয়দের জীবন মান উন্নয়ন ও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে পদ্মা সেতু ঘেঁষা শরীয়তপুরের নাওডোবায় নির্মাণ করা হচ্ছে তাঁতপল্লি। এর নাম শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি।
জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ও পাশের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুরের ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এই তাঁতপল্লি। এটি নির্মিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে বিপুলসংখ্যক মানুষের। ১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।
পদ্মা সেতু ঘিরে ব্যা.পক কর্মযজ্ঞ চলছে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে। সেতুর আশপাশে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন শিল্প ও কল কারখানা নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিল্প কারখানা নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়ের পর উদ্যোক্তারা রয়েছেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এরই অংশ হিসেবে বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে একটি তাঁতপল্লি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয় সরকার।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সরকার তাঁত শিল্পের উন্নয়নে বহুমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী তাঁতপল্লি নির্মাণ অন্যতম। শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা মৌজায় ৫৯ দশমিক ৭৩ একর ও মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর মৌজায় ৬০ একর করে মোট ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে এই শিল্প স্থাপন করা হবে। প্রশাসনিক আদেশের পর জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। মাটি ভরাটের মাধ্যমে এখন চলছে ভূমি উন্নয়নের কাজ। এরপর শুরু হবে অবকাঠামো তৈরির কাজ। প্রকল্পের আওতায় তাঁত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কলকারখানার পাশাপাশি কর্মরত তাঁতিদের জন্য রাখা হয়েছে আবাসন ব্যবস্থা। তাঁতিদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের গুণগতমান উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ, পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, দেশি ও আন্তর্জাতিক বাজারে তাঁতবস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই তাঁত শিল্পটি গড়ে উঠছে। প্রকল্পের আওতায় মোট ৮ হাজার ৬৪টি তাঁত শেড নির্মাণ করা হবে। যেখানে ৮ হাজার ৬৪ তাঁতিকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে। বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪ দশমিক ৩১ কোটি মিটার কাপড়।
পশ্চিম নাওডোবার ইউনিয়নের জমাদ্দারকান্দি গ্রামের বাদল জমাদ্দার বলেন, ‘তাঁত শিল্পের পাশেই আমাদের বাড়ি। প্রকল্প এলাকার সঙ্গেই আমার কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁতপল্লিকে ঘিরেই এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। তাঁতপল্লি চালু হলে এখানে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। মানুষের হাঁকডাকে সব সময় কর্ম ব্যস্ত থাকবে এসব এলাকা।’
নাওডোবা বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এই গ্রামটি পদ্মা পাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় এত দিন উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত আমাদের গ্রামের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পরই পাল্টে যেতে থাকে আমাদের এলাকার উন্নয়নের চিত্র। এখন আবার নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লি। এখনই পদ্মা সেতু দেখতে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ভিড় করছেন এলাকায়। তাঁতপল্লি নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটি জমজমাট থাকবে। এলাকার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি দেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে টিকিয়ে রাখার প্রয়াস। এর ফলে উন্নত হবে দেশের তাঁত শিল্প। স্থানীয়দের পাশাপাশি জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে তাঁতিদের। বিপুলসংখ্যক জনগণের কর্মসংস্থান হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে