রহমান মৃধা
পৃথিবীতে মানুষের আগমন এবং ক্রমান্বয়ে উন্নতির যে ধাপগুলো জমা করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে পর্যবেক্ষকগণ একটি সারাংশে উপনীত হয়েছেন। সেটা হলো, যদি আমরা বর্তমান ও অতীতের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে ১৯৭৫ সালে মানব জাতির আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তা ছিল সবচেয়ে বেশি। ডেনমার্ক ও নরওয়ের গবেষকেরা মনে করছেন, তাঁদের আইকিউর ভিত্তি লোপ পেয়েছে। এ ধরনের মন্তব্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে বরং ভাবি, কেন হঠাৎ এমনটি ধারণা করা হচ্ছে?
যে যুক্তিগুলো দাঁড় করানো হয়েছে, তার মধ্যে বলা হয়েছে যে প্রযুক্তির কারণে সবকিছু সহজলভ্য হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে সৃজনশীল কাজে প্রয়োগ করার প্রয়োজন মনে করছি না। সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান পেয়ে যাচ্ছি, যার ফলে আমরা উদ্ভাবনের চেয়ে আবিষ্কার করছি বেশি। যাঁরা সৃজনশীল, তাঁদের সংখ্যা খুবই কম।
একটি উদাহরণ দিই। বাংলাদেশে যাঁরা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন, বলতে পারবেন তাঁদের উদ্ভাবনী পারদর্শিতা কতটুকু? শূন্য। তবে আবিষ্কারের সামর্থ্য শতভাগ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে কৃতিত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কারণ তারা নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে শেখেনি। তারা হয়তো সমাজের বড় পেশাগুলো দখল করে বসে আছে।
মস্তিষ্কের চর্চা করতে হলে ঝুঁকি নিতে হবে, নতুন কিছু ভাবতে হবে। ভবিষ্যৎকে সামনে এনে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে ভবিষ্যৎ কী। তা কেউ যখন জানে না, সে ক্ষেত্রে যদি বলি দুই আর দুই সাত, সবাই বলবে আমার বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুঃখের বিষয়, দুই আর দুই চার, এটা জীবনের একটি কমফোর্ট জোন। আর আমরা এখানে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু যারা এ ধরনের দেয়াল ভাঙতে পেরেছে, তারাই দেয়ালের অন্য পাশে কী আছে সেটা দেখতে পেরেছে। এবং আমরা সেই দেখা জিনিস যুগ যুগ ধরে দেখে চলেছি।
পৃথিবীর সবকিছুই অসম্ভব ছিল যতক্ষণ না সেটা সম্ভব হয়েছে। যেমন আগুনের ব্যবহার না শেখা অবধি কেউ কি জানত আগুনের গুণাবলি? এখন যদি বলি আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ গুণগত মান ঢুকিয়ে তাকে সুপার ক্রিয়েটিভ করা সম্ভব এবং সেটা করতে পারলে দুই আর দুই চার না হয়ে নয় হতে পারে বা পানিকে সহজ পদ্ধতিতে ভেঙে তার ব্যবহার শুধু পানি নয়, পানি নতুন জীবন হয়ে কাজ করতে পারবে, যা এই মুহূর্তে আমাদের কল্পনার বাইরে। যদি বলি মৃত্যুর পর জীবনের এক নতুন যাত্রা শুরু হবে, যার গতি আলোর গতির চেয়ে বেশি হবে? এবং আমরা মানুষ হিসেবে যা করেছি, শিখেছি, উপভোগ করেছি এসব স্মৃতিচারণ করলে খুব অল্প সময়ে শেষ হয়ে যায়? যদিও অনেক কিছু করেছি, দেখেছি এবং এত কিছু করেছি এত বছর ধরে, কিন্তু তার পরও মনে হয় এই তো সেদিন!
পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে বদ্ধ না করে নিজেকে উন্মুক্ত করতে হবে। ভয়কে জয় করার আরেক নাম জীবন। সেই জীবনকে সামনে এনে তাকে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব কিছু নয়। উন্মুক্ত বিদ্যাকেও ভয় না করে চর্চা করে জয় করা সম্ভব। কারণ আমরা যদি কল্পনা করতে পারি, আমরা যদি স্মৃতিচারণায় অতীতে ফিরে যেতে পারি, তাহলে উদ্ভাবক কেন হতে পারব না?
পৃথিবীতে মানুষের আগমন এবং ক্রমান্বয়ে উন্নতির যে ধাপগুলো জমা করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে পর্যবেক্ষকগণ একটি সারাংশে উপনীত হয়েছেন। সেটা হলো, যদি আমরা বর্তমান ও অতীতের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে ১৯৭৫ সালে মানব জাতির আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তা ছিল সবচেয়ে বেশি। ডেনমার্ক ও নরওয়ের গবেষকেরা মনে করছেন, তাঁদের আইকিউর ভিত্তি লোপ পেয়েছে। এ ধরনের মন্তব্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে বরং ভাবি, কেন হঠাৎ এমনটি ধারণা করা হচ্ছে?
যে যুক্তিগুলো দাঁড় করানো হয়েছে, তার মধ্যে বলা হয়েছে যে প্রযুক্তির কারণে সবকিছু সহজলভ্য হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে সৃজনশীল কাজে প্রয়োগ করার প্রয়োজন মনে করছি না। সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান পেয়ে যাচ্ছি, যার ফলে আমরা উদ্ভাবনের চেয়ে আবিষ্কার করছি বেশি। যাঁরা সৃজনশীল, তাঁদের সংখ্যা খুবই কম।
একটি উদাহরণ দিই। বাংলাদেশে যাঁরা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন, বলতে পারবেন তাঁদের উদ্ভাবনী পারদর্শিতা কতটুকু? শূন্য। তবে আবিষ্কারের সামর্থ্য শতভাগ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে কৃতিত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কারণ তারা নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে শেখেনি। তারা হয়তো সমাজের বড় পেশাগুলো দখল করে বসে আছে।
মস্তিষ্কের চর্চা করতে হলে ঝুঁকি নিতে হবে, নতুন কিছু ভাবতে হবে। ভবিষ্যৎকে সামনে এনে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে ভবিষ্যৎ কী। তা কেউ যখন জানে না, সে ক্ষেত্রে যদি বলি দুই আর দুই সাত, সবাই বলবে আমার বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুঃখের বিষয়, দুই আর দুই চার, এটা জীবনের একটি কমফোর্ট জোন। আর আমরা এখানে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু যারা এ ধরনের দেয়াল ভাঙতে পেরেছে, তারাই দেয়ালের অন্য পাশে কী আছে সেটা দেখতে পেরেছে। এবং আমরা সেই দেখা জিনিস যুগ যুগ ধরে দেখে চলেছি।
পৃথিবীর সবকিছুই অসম্ভব ছিল যতক্ষণ না সেটা সম্ভব হয়েছে। যেমন আগুনের ব্যবহার না শেখা অবধি কেউ কি জানত আগুনের গুণাবলি? এখন যদি বলি আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ গুণগত মান ঢুকিয়ে তাকে সুপার ক্রিয়েটিভ করা সম্ভব এবং সেটা করতে পারলে দুই আর দুই চার না হয়ে নয় হতে পারে বা পানিকে সহজ পদ্ধতিতে ভেঙে তার ব্যবহার শুধু পানি নয়, পানি নতুন জীবন হয়ে কাজ করতে পারবে, যা এই মুহূর্তে আমাদের কল্পনার বাইরে। যদি বলি মৃত্যুর পর জীবনের এক নতুন যাত্রা শুরু হবে, যার গতি আলোর গতির চেয়ে বেশি হবে? এবং আমরা মানুষ হিসেবে যা করেছি, শিখেছি, উপভোগ করেছি এসব স্মৃতিচারণ করলে খুব অল্প সময়ে শেষ হয়ে যায়? যদিও অনেক কিছু করেছি, দেখেছি এবং এত কিছু করেছি এত বছর ধরে, কিন্তু তার পরও মনে হয় এই তো সেদিন!
পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে বদ্ধ না করে নিজেকে উন্মুক্ত করতে হবে। ভয়কে জয় করার আরেক নাম জীবন। সেই জীবনকে সামনে এনে তাকে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব কিছু নয়। উন্মুক্ত বিদ্যাকেও ভয় না করে চর্চা করে জয় করা সম্ভব। কারণ আমরা যদি কল্পনা করতে পারি, আমরা যদি স্মৃতিচারণায় অতীতে ফিরে যেতে পারি, তাহলে উদ্ভাবক কেন হতে পারব না?
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪