সায়ু ভোজওয়ানি
এখনো তো এক মাসও হয়নি। কেমন করে নাটকীয়ভাবে বদলে গেল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। বদলে গেল ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে মনোনীত হওয়ায়। গত সপ্তাহে শিকাগোয় দলটির জাতীয় সম্মেলন চলাকালে জয়ের আগাম সুবাতাস পাচ্ছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। আমার মতো লোকেরা, যাঁরা ভারতে জন্মগ্রহণ করে প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী হয়েছেন, তাঁদের জন্য কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যাশাটার মধ্যে একটা টান টান উত্তেজনা রয়েছে।
আমার প্রজন্মের নারীরা, যাঁরা আসলেই ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের মতো, অভিবাসী মায়েদের জ্যেষ্ঠ কন্যা—তাঁরা এই মুহূর্তে কমলার মধ্যে একজন অপরিহার্য নেতাকে দেখতে পাচ্ছেন। তিনি আসলেই তাই, যাকে আমি বলি সম্মুখসারির অভিবাসী কন্যা—দায়িত্বশীল, কঠোর পরিশ্রমী ও সচেতন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে কমলা তাঁর মাকে এভাবে বর্ণনা করেন—‘জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে আমি দেখেছি এই দুনিয়া কখনো কখনো তাঁর সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করেছে। আমি দেখেছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তিনি সচেতনতা তৈরি করেছিলেন। আর তা কীভাবে “জনগণের জন্য” লড়াই করার প্রতিশ্রুতিতে অবদান রেখেছিল।’ আমেরিকার রাজনীতিতে কমলার নামের আগে ভূষণ—প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, প্রথম ক্যারিবীয় আমেরিকান, প্রথম এশিয়ান আমেরিকান—যাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঐতিহাসিক সম্ভাবনা প্রবল। এই সম্ভাবনা তৈরি হলো এমন অর্থবহ সময়ে, যখন দেশটি খুঁজছে ‘কে আমেরিকান’। এই প্রশ্নটি ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে বর্তমান সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন বিতর্কটি।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবাদী টানাপোড়েনের জন্য একেবারে অপরিচিত নয়, তবে বর্তমান বিভাজনের মূলে রয়েছে আমেরিকার ব্রাউনিংয়ের ভয়। দেশটির ২০৪০-এর দিকে অভিযাত্রাকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত একটি শব্দগুচ্ছই যথেষ্ট যে, তখন আর শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (মাগা) স্লোগানটি এই ভয়ের আলোকেই তৈরি, যা আমেরিকার বৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা—যার ব্যাপ্তি মুসলিম নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে সীমান্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যন্ত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর এক মেয়াদে সুপ্রিম কোর্টে তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়োগ করেছিলেন। এই বিচারপতিরা ২০২৩ সালে স্টুডেন্টস ফর ফেয়ার অ্যাডমিশন বনাম হার্ভার্ড মামলার সিদ্ধান্তে পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছিলেন। বাদীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিগুলো জাতিগত ভিত্তির ওপর করাটা বৈষম্যমূলক এবং সুপ্রিম কোর্ট তাতে একমত হয়। এর প্রভাব স্কুল প্রতিষ্ঠা, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা ফাউন্ডেশন তৈরির ব্যাপারেও পড়ে। আর এ রায় এই খাতগুলোর জন্য ভারতীয় আমেরিকানসহ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে কর্মসূচি ও সেবা প্রদানকে কঠিন করে তুলেছে।
ভারতীয় আমেরিকানরা হলো যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত বর্ধনশীল জাতিগোষ্ঠী। এরা এশিয়ান আমেরিকান জনসংখ্যার বড় অংশ। যদিও তাদের রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী মনে করা হয়। কারণ অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর তুলনায় তাদের আয় বেশি, তবে সবাই সিইও বা ব্যাংকার নন। ভাইস প্রেসিডেন্টের মা শ্যামলা গোপালনের একটি শালীন মধ্যবিত্ত জীবনধারা ছিল, যা তাঁর নিজের একটা বাড়ি কেনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। আজ অনেক ভারতীয় এখানে এইচ ওয়ান বি ভিসায় আছেন। তাঁরা ক্রমে বেশি সংখ্যায় আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অনিশ্চিত জীবন শুরু করছেন এবং অন্য অভিবাসীদের মতো তাঁরাও সমানভাবে গাত্রবর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ বা বর্ণের ভিত্তিতে জাতিগত বৈষম্যের শিকার।
আমার সম্প্রদায়ের এই চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে আমি প্রায় তিন দশক আগে অলাভজনক সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাকশন-এর কাজ শুরু করি। তার পর থেকে আমি যুক্তরাষ্ট্রে, সরকারি এবং অলাভজনক সংস্থাগুলোতে অভিবাসী অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কাজ করেছি। আমি লক্ষ করেছি, তখন পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের অধীনে কীভাবে অভিবাসীদের অর্থনৈতিক অবস্থা, অপরাধ বৃদ্ধি ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকির জন্য বলির পাঁঠা বানানো হতো।
তবু এটা শুনতে কষ্টের যে কমলা হ্যারিস, যিনি কিনা একজন অভিবাসীর সন্তান, নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য দলের জাতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এটা বলার প্রয়োজন বোধ করেন যে তিনি হবেন সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ‘আপনি সব সময় আমার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন যে দেশকে দল ও নিজের ওপরে রাখতে হবে। আমরা অভিবাসীদের জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি এবং আমাদের ভগ্ন অভিবাসনব্যবস্থাকে সংস্কার করতে পারি।’ তাঁর জোরালো বক্তব্যটি প্রেসিডেন্ট ওবামার ২০১৪ সালের ভাষণ স্মরণ করিয়ে দেয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমি আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করতে অস্বীকার করি।’ কিন্তু এই বছরের শুরুর দিকে সীমান্ত নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিল সিনেটে খতম করার জন্য ট্রাম্পকে তাঁর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে তিনি তাঁর আগের সব প্রার্থীর মতো অভিবাসন নিয়ে রাজনীতি করছেন।
তবু ২০২৪ সালের ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কমলা দেবী হ্যারিসের শীর্ষে থাকাটা কেবল আমেরিকা বা বিশ্বের জন্য নয়, আমাদের নিজের পরিবারের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। আমার ১৮ বছর বয়সী সন্তান, যারা জেন জি হিসেবে পরিচিত এবং আমেরিকায় তাদের ভোটের সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ, তারা এই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার সন্তান বলেছে, ‘আমি আগামীর আমেরিকাকে কীভাবে দেখব, তার সাংস্কৃতিক পটভূমি ভাগ করে নিয়ে দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা বজায় রেখে তার চারপাশের লোকদের যত্ন নিয়ে—ঠিক এমনটাই ভাবছেন কমলা।’
আমি খোলা চোখে কমলা হ্যারিসকে ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। কমলার বহুমুখী প্রতিভার কারণে আমরা অনেকেই তাঁর মধ্যে নিজেদের দেখতে পাই। এটা কোনো ছোট জিনিস না। কিন্তু আমি এটাও দেখছি যে এতকিছু থাকার পরেও তাঁকে ভিন্নভাবে বিচার করা হবে। এটাই অভিবাসী নারী এবং অন্য বর্ণের নারীদের অভিজ্ঞতা। তবে নেপথ্যের মঞ্চ থেকে তাঁর উত্থান দেখাটা আমাদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ী।
লেখক: সায়ু ভোজওয়ানি
অভিবাসন বিষয়ে নিউইয়র্ক শহরের প্রথম কমিশনার
(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
এখনো তো এক মাসও হয়নি। কেমন করে নাটকীয়ভাবে বদলে গেল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। বদলে গেল ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে মনোনীত হওয়ায়। গত সপ্তাহে শিকাগোয় দলটির জাতীয় সম্মেলন চলাকালে জয়ের আগাম সুবাতাস পাচ্ছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। আমার মতো লোকেরা, যাঁরা ভারতে জন্মগ্রহণ করে প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী হয়েছেন, তাঁদের জন্য কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যাশাটার মধ্যে একটা টান টান উত্তেজনা রয়েছে।
আমার প্রজন্মের নারীরা, যাঁরা আসলেই ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের মতো, অভিবাসী মায়েদের জ্যেষ্ঠ কন্যা—তাঁরা এই মুহূর্তে কমলার মধ্যে একজন অপরিহার্য নেতাকে দেখতে পাচ্ছেন। তিনি আসলেই তাই, যাকে আমি বলি সম্মুখসারির অভিবাসী কন্যা—দায়িত্বশীল, কঠোর পরিশ্রমী ও সচেতন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে কমলা তাঁর মাকে এভাবে বর্ণনা করেন—‘জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে আমি দেখেছি এই দুনিয়া কখনো কখনো তাঁর সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করেছে। আমি দেখেছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তিনি সচেতনতা তৈরি করেছিলেন। আর তা কীভাবে “জনগণের জন্য” লড়াই করার প্রতিশ্রুতিতে অবদান রেখেছিল।’ আমেরিকার রাজনীতিতে কমলার নামের আগে ভূষণ—প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, প্রথম ক্যারিবীয় আমেরিকান, প্রথম এশিয়ান আমেরিকান—যাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঐতিহাসিক সম্ভাবনা প্রবল। এই সম্ভাবনা তৈরি হলো এমন অর্থবহ সময়ে, যখন দেশটি খুঁজছে ‘কে আমেরিকান’। এই প্রশ্নটি ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে বর্তমান সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন বিতর্কটি।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবাদী টানাপোড়েনের জন্য একেবারে অপরিচিত নয়, তবে বর্তমান বিভাজনের মূলে রয়েছে আমেরিকার ব্রাউনিংয়ের ভয়। দেশটির ২০৪০-এর দিকে অভিযাত্রাকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত একটি শব্দগুচ্ছই যথেষ্ট যে, তখন আর শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (মাগা) স্লোগানটি এই ভয়ের আলোকেই তৈরি, যা আমেরিকার বৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা—যার ব্যাপ্তি মুসলিম নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে সীমান্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যন্ত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর এক মেয়াদে সুপ্রিম কোর্টে তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়োগ করেছিলেন। এই বিচারপতিরা ২০২৩ সালে স্টুডেন্টস ফর ফেয়ার অ্যাডমিশন বনাম হার্ভার্ড মামলার সিদ্ধান্তে পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছিলেন। বাদীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিগুলো জাতিগত ভিত্তির ওপর করাটা বৈষম্যমূলক এবং সুপ্রিম কোর্ট তাতে একমত হয়। এর প্রভাব স্কুল প্রতিষ্ঠা, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা ফাউন্ডেশন তৈরির ব্যাপারেও পড়ে। আর এ রায় এই খাতগুলোর জন্য ভারতীয় আমেরিকানসহ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে কর্মসূচি ও সেবা প্রদানকে কঠিন করে তুলেছে।
ভারতীয় আমেরিকানরা হলো যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত বর্ধনশীল জাতিগোষ্ঠী। এরা এশিয়ান আমেরিকান জনসংখ্যার বড় অংশ। যদিও তাদের রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী মনে করা হয়। কারণ অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর তুলনায় তাদের আয় বেশি, তবে সবাই সিইও বা ব্যাংকার নন। ভাইস প্রেসিডেন্টের মা শ্যামলা গোপালনের একটি শালীন মধ্যবিত্ত জীবনধারা ছিল, যা তাঁর নিজের একটা বাড়ি কেনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। আজ অনেক ভারতীয় এখানে এইচ ওয়ান বি ভিসায় আছেন। তাঁরা ক্রমে বেশি সংখ্যায় আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অনিশ্চিত জীবন শুরু করছেন এবং অন্য অভিবাসীদের মতো তাঁরাও সমানভাবে গাত্রবর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ বা বর্ণের ভিত্তিতে জাতিগত বৈষম্যের শিকার।
আমার সম্প্রদায়ের এই চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে আমি প্রায় তিন দশক আগে অলাভজনক সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাকশন-এর কাজ শুরু করি। তার পর থেকে আমি যুক্তরাষ্ট্রে, সরকারি এবং অলাভজনক সংস্থাগুলোতে অভিবাসী অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কাজ করেছি। আমি লক্ষ করেছি, তখন পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের অধীনে কীভাবে অভিবাসীদের অর্থনৈতিক অবস্থা, অপরাধ বৃদ্ধি ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকির জন্য বলির পাঁঠা বানানো হতো।
তবু এটা শুনতে কষ্টের যে কমলা হ্যারিস, যিনি কিনা একজন অভিবাসীর সন্তান, নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য দলের জাতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এটা বলার প্রয়োজন বোধ করেন যে তিনি হবেন সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ‘আপনি সব সময় আমার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন যে দেশকে দল ও নিজের ওপরে রাখতে হবে। আমরা অভিবাসীদের জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি এবং আমাদের ভগ্ন অভিবাসনব্যবস্থাকে সংস্কার করতে পারি।’ তাঁর জোরালো বক্তব্যটি প্রেসিডেন্ট ওবামার ২০১৪ সালের ভাষণ স্মরণ করিয়ে দেয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমি আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করতে অস্বীকার করি।’ কিন্তু এই বছরের শুরুর দিকে সীমান্ত নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিল সিনেটে খতম করার জন্য ট্রাম্পকে তাঁর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে তিনি তাঁর আগের সব প্রার্থীর মতো অভিবাসন নিয়ে রাজনীতি করছেন।
তবু ২০২৪ সালের ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কমলা দেবী হ্যারিসের শীর্ষে থাকাটা কেবল আমেরিকা বা বিশ্বের জন্য নয়, আমাদের নিজের পরিবারের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। আমার ১৮ বছর বয়সী সন্তান, যারা জেন জি হিসেবে পরিচিত এবং আমেরিকায় তাদের ভোটের সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ, তারা এই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার সন্তান বলেছে, ‘আমি আগামীর আমেরিকাকে কীভাবে দেখব, তার সাংস্কৃতিক পটভূমি ভাগ করে নিয়ে দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা বজায় রেখে তার চারপাশের লোকদের যত্ন নিয়ে—ঠিক এমনটাই ভাবছেন কমলা।’
আমি খোলা চোখে কমলা হ্যারিসকে ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। কমলার বহুমুখী প্রতিভার কারণে আমরা অনেকেই তাঁর মধ্যে নিজেদের দেখতে পাই। এটা কোনো ছোট জিনিস না। কিন্তু আমি এটাও দেখছি যে এতকিছু থাকার পরেও তাঁকে ভিন্নভাবে বিচার করা হবে। এটাই অভিবাসী নারী এবং অন্য বর্ণের নারীদের অভিজ্ঞতা। তবে নেপথ্যের মঞ্চ থেকে তাঁর উত্থান দেখাটা আমাদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ী।
লেখক: সায়ু ভোজওয়ানি
অভিবাসন বিষয়ে নিউইয়র্ক শহরের প্রথম কমিশনার
(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে