তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
অতিমারির বিধিনিষেধের পর এবারে আসছে স্বস্তির ঈদ। মনে করা হচ্ছে, এবার বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামবে মহাসড়কে। কিন্তু সেই চাপ কি সামলাতে পারবে মহাসড়ক? ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, সে প্রশ্নটাই বড় করে দেখা দিচ্ছে।
সরকার অবশ্য বলছে, আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সব সড়কই মেরামত করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। তারা মনে করছে, এ বছরও দীর্ঘ যানজটে ভুগতে হবে তাদের। হয়তো ১০ ঘণ্টার যাত্রা গিয়ে ঠেকবে ২০ ঘণ্টায়।
ঘরে ফেরা যাত্রীদের যানজটে আটকে থাকতে হবে রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথগুলোতেই। কোথাও সেতু, সড়ক এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হবে। গাবতলী হয়ে পাটুরিয়া ঘাটমুখী ও উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের বড় বাধা হবে গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজ পার হওয়া। তারপর সাভারের ইপিজেডে পড়তে হবে যানজটে। তবে চন্দ্রায় এবার যানজট হবে না। মহাখালী থেকে উত্তরা হয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনাগামী গাড়িগুলোকে যানজটে আটকে থাকতে হবে আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী ও গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী গাড়িগুলোকে কাঁচপুর ব্রিজের আগে যানজটে আটকে থাকতে হতে পারে। তবে যাত্রাবাড়ী থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ দিয়ে মাওয়া হয়ে খুলনা যেতে ফেরিঘাট ছাড়া বেগ পেতে হবে না যাত্রীদের। তবে বর্ষা মৌসুমের আগে দেশের দুই বড় ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হবে।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ১৫ এপ্রিলের মধ্যে রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ভোগের কারণ হবে বিআরটি প্রকল্প
ঢাকা ও গাজীপুরের সংযোগ সেতু হলো টঙ্গী ব্রিজ। এখান থেকেই শুরু জরাজীর্ণ খানাখন্দে ভরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এই এলাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আর উড়ালসড়কের কাজ চলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জায়গায় জায়গায় সংকুচিত হয়েছে রাস্তা। তাই সড়কজুড়ে রয়েছে নানা খানাখন্দ। ফলে টঙ্গীর বাটা গেট থেকে মেইল গেট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ জটলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব ভোগান্তির সঙ্গে নতুন করে সড়কে যোগ হয়েছে ধুলার দাপট। তা ছাড়া ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চান্দিনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক পার হতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা।
বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রকল্প এলাকায় শুধু রাতের বেলায় কাজ হচ্ছে। তবে তাতেও যদি যাত্রীসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হয়, রাতের বেলার কাজও বন্ধ রাখব ঈদের সময়।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মহাসড়কের ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্য ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ মহানগরী এলাকার ও অন্যান্য সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
স্বস্তি নেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-রংপুর মহাসড়কে
এই পথে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-এলেঙ্গা চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এই ১৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেখান থেকেই যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলে। এ কারণে কড্ডা ও হাটিকুমরুল মোড়ে হবে যানজট। সিরাজগঞ্জ থেকে রংপুর অংশে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে গাড়ির চাপ বাড়লেই যানজটের সৃষ্টি হবে।
সাসেক সড়ক সংযোগ-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, ঈদের আগেই ২৫ এপ্রিল নলকা ব্রিজসহ কয়েকটি আন্ডারপাস সাময়িক চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ভূঞাপুর এলাকার বাইপাস সড়কগুলো যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। যেখানে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে, সেখানে রাস্তা প্রশস্ত করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রংপুর মহাসড়কে যানজট না হয়।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, ঈদে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক।
চার লেনেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট হবে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের হলেও এ মহাসড়কের বেশ কিছু পয়েন্টে যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে কাঁচপুর ব্রিজের আগে। দাউদকান্দির শহিদনগর এলাকা এবং দাউদকান্দি ঘাট থেকে বালুবাহী ট্রাক বলদাখাল মোড়ে ইউটার্ন নিতে গিয়ে যানজটের তৈরি হবে। তা ছাড়া মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন থেমে যাবে। এ ছাড়া মিরসরাই এলাকায় ২৯ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের ধীরগতি হতে পারে সড়কে ওজন স্কেল বসানোর কারণে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গড়ে উঠেছে যানবাহনের স্ট্যান্ড
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁর কাঁচপুর থেকে ভুলতা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশে যানজট নিয়মিত হচ্ছে। ঈদের সময় এই জট আরও বাড়তে পারে। নিয়মিত যানজট হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা গেছে, মহাসড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে যানবাহনের স্ট্যান্ড ও অবৈধ পার্কিং। এ ছাড়া এই মহাসড়কের যাত্রামুড়া বাজার ও ভুলতা পর্যন্ত দুই পাশ দখল করে বাস ও ট্রাক পার্ক করে রাখা হয়।
ফেরির সংকটে দুর্ভোগ হবে ঘাটে
কালবৈশাখীতে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে নৌপথ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তা ছাড়া ঘাটে ফেরির সংকট আছে। যানবাহনের তুলনায় ফেরির সংখ্যা কম হওয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি থাকতে পারে ঘাটে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের সময় ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ২১টি চলবে। এখন তিন হাজার যান পারাপার করা হয়। ঈদের সময় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার যান পারাপার করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মত প্রকাশ করেন।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এবং মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া ঘাটে বর্তমানে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের আগে আরও ৪টি ফেরি বাড়ানো হবে। তখন ফেরির সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টির মতো। এই ঘাটেই ফেরির সবচেয়ে বেশি সংকট। ঈদে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে নতুন করে আরেকটি ঘাট করার উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
ঘাটের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী বলেন, ‘ফেরিঘাটে যেন মানুষের দুর্ভোগ না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহাসড়কে সারা বছরই প্রকল্পের কাজ চলে। কিন্তু কাজের কারণে সড়কে গাড়ি কীভাবে চলবে তার কোনো পরিকল্পনা করা হয় না। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সড়কে কাজ চললে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়া সড়ক প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ার কারণেও দুর্ভোগ হয়।
অতিমারির বিধিনিষেধের পর এবারে আসছে স্বস্তির ঈদ। মনে করা হচ্ছে, এবার বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামবে মহাসড়কে। কিন্তু সেই চাপ কি সামলাতে পারবে মহাসড়ক? ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, সে প্রশ্নটাই বড় করে দেখা দিচ্ছে।
সরকার অবশ্য বলছে, আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সব সড়কই মেরামত করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। তারা মনে করছে, এ বছরও দীর্ঘ যানজটে ভুগতে হবে তাদের। হয়তো ১০ ঘণ্টার যাত্রা গিয়ে ঠেকবে ২০ ঘণ্টায়।
ঘরে ফেরা যাত্রীদের যানজটে আটকে থাকতে হবে রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথগুলোতেই। কোথাও সেতু, সড়ক এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হবে। গাবতলী হয়ে পাটুরিয়া ঘাটমুখী ও উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের বড় বাধা হবে গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজ পার হওয়া। তারপর সাভারের ইপিজেডে পড়তে হবে যানজটে। তবে চন্দ্রায় এবার যানজট হবে না। মহাখালী থেকে উত্তরা হয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনাগামী গাড়িগুলোকে যানজটে আটকে থাকতে হবে আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী ও গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী গাড়িগুলোকে কাঁচপুর ব্রিজের আগে যানজটে আটকে থাকতে হতে পারে। তবে যাত্রাবাড়ী থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ দিয়ে মাওয়া হয়ে খুলনা যেতে ফেরিঘাট ছাড়া বেগ পেতে হবে না যাত্রীদের। তবে বর্ষা মৌসুমের আগে দেশের দুই বড় ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হবে।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ১৫ এপ্রিলের মধ্যে রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ভোগের কারণ হবে বিআরটি প্রকল্প
ঢাকা ও গাজীপুরের সংযোগ সেতু হলো টঙ্গী ব্রিজ। এখান থেকেই শুরু জরাজীর্ণ খানাখন্দে ভরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এই এলাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আর উড়ালসড়কের কাজ চলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জায়গায় জায়গায় সংকুচিত হয়েছে রাস্তা। তাই সড়কজুড়ে রয়েছে নানা খানাখন্দ। ফলে টঙ্গীর বাটা গেট থেকে মেইল গেট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ জটলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব ভোগান্তির সঙ্গে নতুন করে সড়কে যোগ হয়েছে ধুলার দাপট। তা ছাড়া ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চান্দিনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক পার হতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা।
বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রকল্প এলাকায় শুধু রাতের বেলায় কাজ হচ্ছে। তবে তাতেও যদি যাত্রীসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হয়, রাতের বেলার কাজও বন্ধ রাখব ঈদের সময়।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মহাসড়কের ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্য ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ মহানগরী এলাকার ও অন্যান্য সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
স্বস্তি নেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-রংপুর মহাসড়কে
এই পথে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-এলেঙ্গা চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এই ১৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেখান থেকেই যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলে। এ কারণে কড্ডা ও হাটিকুমরুল মোড়ে হবে যানজট। সিরাজগঞ্জ থেকে রংপুর অংশে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে গাড়ির চাপ বাড়লেই যানজটের সৃষ্টি হবে।
সাসেক সড়ক সংযোগ-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, ঈদের আগেই ২৫ এপ্রিল নলকা ব্রিজসহ কয়েকটি আন্ডারপাস সাময়িক চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ভূঞাপুর এলাকার বাইপাস সড়কগুলো যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। যেখানে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে, সেখানে রাস্তা প্রশস্ত করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রংপুর মহাসড়কে যানজট না হয়।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, ঈদে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক।
চার লেনেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট হবে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের হলেও এ মহাসড়কের বেশ কিছু পয়েন্টে যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে কাঁচপুর ব্রিজের আগে। দাউদকান্দির শহিদনগর এলাকা এবং দাউদকান্দি ঘাট থেকে বালুবাহী ট্রাক বলদাখাল মোড়ে ইউটার্ন নিতে গিয়ে যানজটের তৈরি হবে। তা ছাড়া মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন থেমে যাবে। এ ছাড়া মিরসরাই এলাকায় ২৯ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের ধীরগতি হতে পারে সড়কে ওজন স্কেল বসানোর কারণে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গড়ে উঠেছে যানবাহনের স্ট্যান্ড
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁর কাঁচপুর থেকে ভুলতা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশে যানজট নিয়মিত হচ্ছে। ঈদের সময় এই জট আরও বাড়তে পারে। নিয়মিত যানজট হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা গেছে, মহাসড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে যানবাহনের স্ট্যান্ড ও অবৈধ পার্কিং। এ ছাড়া এই মহাসড়কের যাত্রামুড়া বাজার ও ভুলতা পর্যন্ত দুই পাশ দখল করে বাস ও ট্রাক পার্ক করে রাখা হয়।
ফেরির সংকটে দুর্ভোগ হবে ঘাটে
কালবৈশাখীতে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে নৌপথ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তা ছাড়া ঘাটে ফেরির সংকট আছে। যানবাহনের তুলনায় ফেরির সংখ্যা কম হওয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি থাকতে পারে ঘাটে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের সময় ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ২১টি চলবে। এখন তিন হাজার যান পারাপার করা হয়। ঈদের সময় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার যান পারাপার করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মত প্রকাশ করেন।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এবং মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া ঘাটে বর্তমানে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের আগে আরও ৪টি ফেরি বাড়ানো হবে। তখন ফেরির সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টির মতো। এই ঘাটেই ফেরির সবচেয়ে বেশি সংকট। ঈদে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে নতুন করে আরেকটি ঘাট করার উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
ঘাটের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী বলেন, ‘ফেরিঘাটে যেন মানুষের দুর্ভোগ না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহাসড়কে সারা বছরই প্রকল্পের কাজ চলে। কিন্তু কাজের কারণে সড়কে গাড়ি কীভাবে চলবে তার কোনো পরিকল্পনা করা হয় না। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সড়কে কাজ চললে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়া সড়ক প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ার কারণেও দুর্ভোগ হয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে