মেহগনি ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎসংযোগ

মতিয়ার রহমান মিঞা, মধুখালী (ফরিদপুর)
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৩১
Thumbnail image

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেগচামী গ্রামে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর দাবি জানিয়ে এলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, মেগচামী ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া খানবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া গোরস্থান মডেল বাজার এলাকায় গাছ ও বাঁশের ঝাড়ের মধ্য দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সংযোগ দিয়েছে (ডব্লিউজেড পিডিসিএল) রাজবাড়ী অফিস। বৈদ্যুতিক খুঁটি না বসিয়ে বাঁশ ও গাছের ডালে বিদ্যুতের তার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অনেক জায়গায় তারের ভারে বাঁশগুলো হেলে পড়েছে। কোথাও বা হেলে থাকা বাঁশ আরও একটা বাঁশ দিয়ে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তার আশপাশের মেহগনি গাছের সঙ্গেও বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। কোথাও আবার তারে লতাপাতা জড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এক কিলোমিটারের কিছু বেশি রাস্তায় বসানো বাঁশের খুঁটিতে ভরসা করেই প্রায় ১০০ বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের খুঁটি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু খুঁটির ব্যবস্থা না করে কর্তৃপক্ষ বাঁশ বসিয়ে সংযোগ দিয়েছে।

মেগচামী এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া বলেন, তাঁর বাড়ির সামনে একটি সিমেন্টের খুঁটি ছিল। সেটি ভেঙে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ অফিসের লোক মেহগনি গাছের সঙ্গে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে রেখেছে। তাঁরা বৈদ্যুতিক খুঁটি বসাতে বলেছেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষ দ্রুতই খুঁটি স্থাপন করা হবে বলে অপেক্ষা করতে বলে। দশ বছরেরও বেশি সময় এভাবেই অপেক্ষা চলছে।

একই এলাকার শাহিন খন্দকার, এরশাদ খন্দকারসহ কয়েকজন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেনে ও নিরুপায় হয়ে এভাবে ঝুঁকি নিয়েই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে। যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এই সংযোগগুলোর নিরাপদ ব্যবস্থা প্রয়োজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ১০০ গজের বেশি দূরত্বে সার্ভিস লাইন দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। ১০০ গজের অতিরিক্ত দূরত্ব হলে অবশ্যই খুঁটি দিতে হবে, অন্যথায় সংযোগ দেওয়া যাবে না। অথচ এ এলাকায় ২০০ থেকে ৩০০ মিটারের বেশি দূরে গিয়ে খুঁটি বসানো হয়েছে। মাঝের স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে বাঁশের খুঁটি।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, রাজবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই, তবে ওই এলাকায় গিয়ে বিষয়টি দেখে সমাধান করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত