ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
‘বালিশ-কাণ্ড, বাতি-কাণ্ড কিংবা পর্দা-কাণ্ডের’ মতো বড় দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে দেশে বেশ তোলপাড় হয়েছে। তবে এবার শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুটি বই প্রকাশনার ব্যয় নিয়ে আপত্তি তুলেছে খোদ ঢাবির ফাইন্যান্স কমিটি। দুই প্রকাশনার এই ‘বই-কাণ্ডে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ অর্ধকোটি টাকারও বেশি। নজিরবিহীন এমন ব্যয়কে তাই অনৈতিক ও নিয়মবিরুদ্ধ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ঢাবি সূত্রে জানা গেছে, উৎসব ঘিরে নতুন ছয়টি বই প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলোর মধ্যে দুটি বইয়ের লেখা, সম্পাদনা ও আনুষঙ্গিক খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১-২০২১): ক্রমবিকাশ’ বইয়ের সম্পাদনা বাবদ প্রবীণ অধ্যাপক (অব.) ড. শরিফ উদ্দিন আহমেদের সম্মানী ধরা হয়েছে তিন লাখ টাকা। ‘দ্য রোল অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি ইন মেকিং অ্যান্ড শেফিং বাংলাদেশ’ বইটির সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা ঢাবির সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
সম্পাদনা ও সম্মানীর ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি কী রকম ব্যয় করে জানতে চাইলে একাডেমির গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘একেকটা বইয়ের একেক রকম হিসাব। তবে গবেষণাধর্মী বইয়ের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানী দিয়ে থাকি।’
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সম্পাদিত বই তেমন নেই, তবে যে প্রজেক্টের আউটকাম রয়েছে সে হিসেবে সম্পাদক তাঁর সম্পাদনার সম্মানী হিসেবে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার এবং সহকারী ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।’
অথচ ঢাবির এই দুটি বইয়ের সম্পাদনা ও এ সংশ্লিষ্ট কাজেই ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ ২২ হাজার টাকা। বই সম্পাদনায় নজিরবিহীন ব্যয়কে ‘অনৈতিক ও নিয়মবিরুদ্ধ’ উল্লেখ করে গত ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর চিঠি দিয়েছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সামাদ। এমন চিঠির পরেও সম্পাদনার ব্যয়ে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসেনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ড. মুহাম্মদ সামাদ।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১-২০২১) ক্রমবিকাশ’ এই গ্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের সদস্যদের সম্মানী মিটিং বাবদ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা, টাইপিং ব্যয় ১ লাখ, সেমিনার/ওয়ার্কশপ ব্যয় ১ লাখ, প্রুফ রিডিং সম্মানী দেড় লাখ, ল্যাঙ্গুয়েজ এডিটিং ৫০ হাজার, মুদ্রণ ও বাঁধাই (১০০০ কপি) ১৭ লাখ ১৫ হাজার এবং বিবিধ খাতে ৫০ হাজার, লেখকদের সম্মানী ৩ লাখ ৫০ হাজার। বিবিধ খরচসহ এই গ্রন্থে মোট ব্যয় ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
‘দ্য রোল অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি ইন মেকিং অ্যান্ড শেফিং বাংলাদেশ’ বইটিতে সম্পাদনা সহযোগী দুজনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। প্রুফ রিডিং ব্যয় ৫৫ হাজার, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট সম্মানী ২০ হাজার, তথ্য সংগ্রহ ব্যয় ১০ হাজার, টাইপিং ব্যয় ৩০ হাজার, শিক্ষাসামগ্রী ব্যয় ৮৯ হাজার, অনুবাদ ব্যয় ১২ হাজার, মুদ্রণ ও বাঁধাই (১০০০ কপি) ১০ লাখ ৭৮ হাজার লেখকদের সম্মানী বাবদ (প্রভোস্ট ব্যতীত) ২ লাখ টাকা এবং বিবিধ খরচসহ মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘সম্পাদক দুজনই দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তি। সকলের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞজনদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। আমরা কারও সঙ্গে তুলনা করে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা করে খরচ নির্ধারণ করিনি।’
বই দুটির পৃষ্ঠা ও মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাবি প্রকাশনা সংস্থার সহকারী পরিচালক (বিপণন শাখা) পরিচালক পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বইগুলো এখনো বিক্রির জন্য অনুমোদন হয়নি। এখনো স্ব স্ব প্রকাশনায় রয়েছে। এ মুহূর্তে পৃষ্ঠা ও মূল্য সম্পর্কে বলতে পারছি না।’
‘বালিশ-কাণ্ড, বাতি-কাণ্ড কিংবা পর্দা-কাণ্ডের’ মতো বড় দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে দেশে বেশ তোলপাড় হয়েছে। তবে এবার শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুটি বই প্রকাশনার ব্যয় নিয়ে আপত্তি তুলেছে খোদ ঢাবির ফাইন্যান্স কমিটি। দুই প্রকাশনার এই ‘বই-কাণ্ডে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ অর্ধকোটি টাকারও বেশি। নজিরবিহীন এমন ব্যয়কে তাই অনৈতিক ও নিয়মবিরুদ্ধ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ঢাবি সূত্রে জানা গেছে, উৎসব ঘিরে নতুন ছয়টি বই প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলোর মধ্যে দুটি বইয়ের লেখা, সম্পাদনা ও আনুষঙ্গিক খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১-২০২১): ক্রমবিকাশ’ বইয়ের সম্পাদনা বাবদ প্রবীণ অধ্যাপক (অব.) ড. শরিফ উদ্দিন আহমেদের সম্মানী ধরা হয়েছে তিন লাখ টাকা। ‘দ্য রোল অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি ইন মেকিং অ্যান্ড শেফিং বাংলাদেশ’ বইটির সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা ঢাবির সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
সম্পাদনা ও সম্মানীর ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি কী রকম ব্যয় করে জানতে চাইলে একাডেমির গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘একেকটা বইয়ের একেক রকম হিসাব। তবে গবেষণাধর্মী বইয়ের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানী দিয়ে থাকি।’
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সম্পাদিত বই তেমন নেই, তবে যে প্রজেক্টের আউটকাম রয়েছে সে হিসেবে সম্পাদক তাঁর সম্পাদনার সম্মানী হিসেবে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার এবং সহকারী ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।’
অথচ ঢাবির এই দুটি বইয়ের সম্পাদনা ও এ সংশ্লিষ্ট কাজেই ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ ২২ হাজার টাকা। বই সম্পাদনায় নজিরবিহীন ব্যয়কে ‘অনৈতিক ও নিয়মবিরুদ্ধ’ উল্লেখ করে গত ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর চিঠি দিয়েছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সামাদ। এমন চিঠির পরেও সম্পাদনার ব্যয়ে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসেনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ড. মুহাম্মদ সামাদ।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১-২০২১) ক্রমবিকাশ’ এই গ্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের সদস্যদের সম্মানী মিটিং বাবদ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা, টাইপিং ব্যয় ১ লাখ, সেমিনার/ওয়ার্কশপ ব্যয় ১ লাখ, প্রুফ রিডিং সম্মানী দেড় লাখ, ল্যাঙ্গুয়েজ এডিটিং ৫০ হাজার, মুদ্রণ ও বাঁধাই (১০০০ কপি) ১৭ লাখ ১৫ হাজার এবং বিবিধ খাতে ৫০ হাজার, লেখকদের সম্মানী ৩ লাখ ৫০ হাজার। বিবিধ খরচসহ এই গ্রন্থে মোট ব্যয় ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
‘দ্য রোল অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি ইন মেকিং অ্যান্ড শেফিং বাংলাদেশ’ বইটিতে সম্পাদনা সহযোগী দুজনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। প্রুফ রিডিং ব্যয় ৫৫ হাজার, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট সম্মানী ২০ হাজার, তথ্য সংগ্রহ ব্যয় ১০ হাজার, টাইপিং ব্যয় ৩০ হাজার, শিক্ষাসামগ্রী ব্যয় ৮৯ হাজার, অনুবাদ ব্যয় ১২ হাজার, মুদ্রণ ও বাঁধাই (১০০০ কপি) ১০ লাখ ৭৮ হাজার লেখকদের সম্মানী বাবদ (প্রভোস্ট ব্যতীত) ২ লাখ টাকা এবং বিবিধ খরচসহ মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘সম্পাদক দুজনই দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তি। সকলের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞজনদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। আমরা কারও সঙ্গে তুলনা করে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা করে খরচ নির্ধারণ করিনি।’
বই দুটির পৃষ্ঠা ও মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাবি প্রকাশনা সংস্থার সহকারী পরিচালক (বিপণন শাখা) পরিচালক পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বইগুলো এখনো বিক্রির জন্য অনুমোদন হয়নি। এখনো স্ব স্ব প্রকাশনায় রয়েছে। এ মুহূর্তে পৃষ্ঠা ও মূল্য সম্পর্কে বলতে পারছি না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে