আয়নাল হোসেন, ঢাকা
শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানির জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ জুন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের মো. মজিবুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সামারি পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সেটিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী পরিমাণ শুল্ক প্রত্যাহার হবে সেটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারণ করবে। এ ব্যাপারে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি দেওয়া হবে। বর্তমানে চাল আমদানির ওপর ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য রয়েছে।
জানা গেছে, বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত চাল আমদানি অব্যাহত থাকবে। চাল আমদানির কারণে মজুতদারেরা যাতে তাদের মজুত নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে সে জন্য শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানির সুযোগ চাওয়া হয়েছে।
শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানি হলে বাজারে অবশ্যই দাম কমে আসবে বলে মনে করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি চাল আমদানির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ১
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চালের পাশাপাশি গম আমদানির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে গম আমদানি করা যাচ্ছে না। এখন বিকল্প দেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দামে ঠিক হলে দ্রুত আমদানি করা হবে।
শুল্ক প্রত্যাহারের মাধ্যমে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে বাজারে দাম কমে আসবে বলে মনে করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অভিযানে দাম কমবে না। নীতিগত সিদ্ধান্তে বাজারে দাম কমে আসবে। শুল্ক প্রত্যাহার করে আমদানির সুযোগ তৈরি হলে যারা মজুত নিয়ে অপকর্ম করেছিল তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। তবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
তবে নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা বলেন, শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হলেও বাজারে দাম কমবে না। যদি সরকার মনে করে দাম কমবে সেটি ভুল ধারণা হবে। চাল আমদানি হলে যে পরিমাণ ঘাটতি ছিল তা পূরণ হবে। বিনা শুল্কে আমদানি করা হলেও ভারতের চাল ৫৬-৫৭ টাকা দাম পড়বে। আর দেশি চাল অনায়াসে ৫৯-৬২ টাকায় বিক্রি হবে।
গত ৬ জুন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চাল শুল্কমুক্তভাবে যেন আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে করে কৃষক, বাজার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার চাল ব্যবসায়ী আবু হানিফ জানান, অভিযানের কারণে বাজারে দাম কমেনি বরং বেড়েছে। গতকাল তাঁর দোকানে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৮-৭২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৫-৮৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পুরান ঢাকার বাবুবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, দাম কমাতে অভিযান চালানো হয়েছে। শুরুতে কিছুটা কমলেও গত এক সপ্তাহ ধরে দাম আগের অবস্থানে চলে গেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৬৪-৭৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০-৭২ টাকা। আর মাঝারি মানের চাল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫২-৬০ টাকায়। যা সপ্তাহ আগে ছিল ৫২-৫৬ টাকা। তবে মোটা চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানির জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ জুন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের মো. মজিবুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সামারি পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সেটিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী পরিমাণ শুল্ক প্রত্যাহার হবে সেটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারণ করবে। এ ব্যাপারে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি দেওয়া হবে। বর্তমানে চাল আমদানির ওপর ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য রয়েছে।
জানা গেছে, বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত চাল আমদানি অব্যাহত থাকবে। চাল আমদানির কারণে মজুতদারেরা যাতে তাদের মজুত নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে সে জন্য শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানির সুযোগ চাওয়া হয়েছে।
শুল্ক প্রত্যাহারে চাল আমদানি হলে বাজারে অবশ্যই দাম কমে আসবে বলে মনে করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি চাল আমদানির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ১
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চালের পাশাপাশি গম আমদানির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে গম আমদানি করা যাচ্ছে না। এখন বিকল্প দেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দামে ঠিক হলে দ্রুত আমদানি করা হবে।
শুল্ক প্রত্যাহারের মাধ্যমে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে বাজারে দাম কমে আসবে বলে মনে করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অভিযানে দাম কমবে না। নীতিগত সিদ্ধান্তে বাজারে দাম কমে আসবে। শুল্ক প্রত্যাহার করে আমদানির সুযোগ তৈরি হলে যারা মজুত নিয়ে অপকর্ম করেছিল তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। তবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
তবে নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা বলেন, শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হলেও বাজারে দাম কমবে না। যদি সরকার মনে করে দাম কমবে সেটি ভুল ধারণা হবে। চাল আমদানি হলে যে পরিমাণ ঘাটতি ছিল তা পূরণ হবে। বিনা শুল্কে আমদানি করা হলেও ভারতের চাল ৫৬-৫৭ টাকা দাম পড়বে। আর দেশি চাল অনায়াসে ৫৯-৬২ টাকায় বিক্রি হবে।
গত ৬ জুন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চাল শুল্কমুক্তভাবে যেন আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে করে কৃষক, বাজার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার চাল ব্যবসায়ী আবু হানিফ জানান, অভিযানের কারণে বাজারে দাম কমেনি বরং বেড়েছে। গতকাল তাঁর দোকানে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৮-৭২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৫-৮৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পুরান ঢাকার বাবুবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, দাম কমাতে অভিযান চালানো হয়েছে। শুরুতে কিছুটা কমলেও গত এক সপ্তাহ ধরে দাম আগের অবস্থানে চলে গেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৬৪-৭৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০-৭২ টাকা। আর মাঝারি মানের চাল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫২-৬০ টাকায়। যা সপ্তাহ আগে ছিল ৫২-৫৬ টাকা। তবে মোটা চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে