মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
সৌরবিদ্যুতের প্যানেল আছে, কিন্তু বাতি নেই। আবার কোথাও বাতি আছে, কিন্তু প্যানেল গায়েব। বহু সড়কবাতি ব্যাটারি ও লাইটহীন। স্ট্রিটের ব্যাটারি বক্সে দেখা মিলছে পাখির বাসার। কোথাও ঝড় বা বর্ষার পানিতে হেলে পড়ে আছে সড়কবাতি। রক্ষণাবেক্ষণের বালাই নেই। অবাধে চুরি হচ্ছে ব্যাটারি ও সোলার প্যানেল।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আট ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লার চিত্র এটি। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত টানা চার বছর ৯০ কোটি ২৯ হাজার টাকা খরচে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসব এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ৯৮৫টি সড়কবাতি। চতুর্থ ধাপে স্থাপিত সড়কবাতির তিন বছর রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব শেষ হবে চলতি বছর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে বড় বাজার এবং বর্ধমানপাড়া হয়ে আখড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কে ৪২টি সড়কবাতির মধ্যে ৩১টিতে আলো জ্বলে না। দেওঘর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর মো. আবদুল হামিদ সেতুর ১০টি সড়কবাতির অর্ধেকই নষ্ট। দুই পাশের সংযোগ সড়কে ৭টি সড়কবাতির মধ্যে আলো জ্বলে কেবল দুটিতে।
অষ্টগ্রাম উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও প্রধান ফটকের একাধিক সড়কবাতি নষ্ট। পূর্ব অষ্টগ্রাম বড়খাল, পরাসরপাড়া, ইকুরদিয়া সড়ক, হাবেলি বাড়ি উত্তর সড়কসহ বহু সড়কবাতির ব্যাটারি চুরি হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। আদমপুর, কলমা, পূর্ব অষ্টগ্রাম, খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর, অষ্টগ্রাম সদর, কাস্তুল ও দেওঘর ইউনিয়নের বিভিন্ন খেলার মাঠ, হাটবাজার, শ্মশান, কবরস্থান, বিদ্যালয়, কলেজ ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকাংশ সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদকে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব না দেওয়ায় বিকল হয়ে পড়ে আছে কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় মানুষের দাবি, এই বাতির আলোয় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে সুবিধা হতো, চুরিসহ সামাজিক অপরাধ দমনে সহায়ক ছিল। খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘বিপুল টাকার এই বাতিগুলো এত কম সময়ে নষ্ট হওয়ায় আমরা হতাশ। দ্রুত এগুলো চালু করা দরকার।’
অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, সরকারের এই মহতী উদ্যোগ সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ভেস্তে গেছে। এসব বাতি মানুষের উপকারে এসেছিল। বেশির ভাগ বাতি এখন নষ্ট। দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাধাকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কতটি বাতি আছে, আমি জানি না। নষ্টগুলো সারানোর বাজেট ও দায়িত্ব আমাদের নেই।’
কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগ নিলে বাতিগুলো মানুষের কাজে আসবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলমাছ উদ্দিন বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে আছি। আমার সময়ে এগুলো হয়নি। কত দিনের চুক্তি ছিল, তা দেখে পরে বলতে পারব।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মানিক দেব বলেন, অনেকগুলো সড়কবাতি নষ্ট ও চুরি হয়ে গেছে। এসব বাতি মেরামত করা জরুরি। এই খাতে মেরামত ও ব্যয় নির্দেশনা নেই। তবে এইগুলো সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দরকার। বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সৌরবিদ্যুতের প্যানেল আছে, কিন্তু বাতি নেই। আবার কোথাও বাতি আছে, কিন্তু প্যানেল গায়েব। বহু সড়কবাতি ব্যাটারি ও লাইটহীন। স্ট্রিটের ব্যাটারি বক্সে দেখা মিলছে পাখির বাসার। কোথাও ঝড় বা বর্ষার পানিতে হেলে পড়ে আছে সড়কবাতি। রক্ষণাবেক্ষণের বালাই নেই। অবাধে চুরি হচ্ছে ব্যাটারি ও সোলার প্যানেল।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আট ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লার চিত্র এটি। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত টানা চার বছর ৯০ কোটি ২৯ হাজার টাকা খরচে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসব এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ৯৮৫টি সড়কবাতি। চতুর্থ ধাপে স্থাপিত সড়কবাতির তিন বছর রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব শেষ হবে চলতি বছর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে বড় বাজার এবং বর্ধমানপাড়া হয়ে আখড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কে ৪২টি সড়কবাতির মধ্যে ৩১টিতে আলো জ্বলে না। দেওঘর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর মো. আবদুল হামিদ সেতুর ১০টি সড়কবাতির অর্ধেকই নষ্ট। দুই পাশের সংযোগ সড়কে ৭টি সড়কবাতির মধ্যে আলো জ্বলে কেবল দুটিতে।
অষ্টগ্রাম উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও প্রধান ফটকের একাধিক সড়কবাতি নষ্ট। পূর্ব অষ্টগ্রাম বড়খাল, পরাসরপাড়া, ইকুরদিয়া সড়ক, হাবেলি বাড়ি উত্তর সড়কসহ বহু সড়কবাতির ব্যাটারি চুরি হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। আদমপুর, কলমা, পূর্ব অষ্টগ্রাম, খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর, অষ্টগ্রাম সদর, কাস্তুল ও দেওঘর ইউনিয়নের বিভিন্ন খেলার মাঠ, হাটবাজার, শ্মশান, কবরস্থান, বিদ্যালয়, কলেজ ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকাংশ সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদকে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব না দেওয়ায় বিকল হয়ে পড়ে আছে কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় মানুষের দাবি, এই বাতির আলোয় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে সুবিধা হতো, চুরিসহ সামাজিক অপরাধ দমনে সহায়ক ছিল। খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘বিপুল টাকার এই বাতিগুলো এত কম সময়ে নষ্ট হওয়ায় আমরা হতাশ। দ্রুত এগুলো চালু করা দরকার।’
অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, সরকারের এই মহতী উদ্যোগ সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ভেস্তে গেছে। এসব বাতি মানুষের উপকারে এসেছিল। বেশির ভাগ বাতি এখন নষ্ট। দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাধাকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কতটি বাতি আছে, আমি জানি না। নষ্টগুলো সারানোর বাজেট ও দায়িত্ব আমাদের নেই।’
কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগ নিলে বাতিগুলো মানুষের কাজে আসবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলমাছ উদ্দিন বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে আছি। আমার সময়ে এগুলো হয়নি। কত দিনের চুক্তি ছিল, তা দেখে পরে বলতে পারব।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মানিক দেব বলেন, অনেকগুলো সড়কবাতি নষ্ট ও চুরি হয়ে গেছে। এসব বাতি মেরামত করা জরুরি। এই খাতে মেরামত ও ব্যয় নির্দেশনা নেই। তবে এইগুলো সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দরকার। বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে