মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য লাক্ষা। এর ব্যবহার বহুবিধ। তবে বর্তমানে হারিয়ে গেছে লাক্ষা চাষের সোনালি দিন। একসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেমিয়লাটা, বরই, বাবলা, কড়ইগাছের বাগানে লাক্ষা চাষ করা হলেও নানা সংকটের মুখে পড়ে বরইগাছে এখনো লাক্ষা চাষ করছেন চাষিরা।
তবে গবেষক সংকটের মধ্যে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সম্ভাবনাময় লাক্ষা চাষাবাদ। এ ছাড়াও জনবল সংকটে ধুঁকছে দেশের একমাত্র লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রটি।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রয়েছে দেশের একমাত্র লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্র। যদিও সেটি গবেষক-বিজ্ঞানীসহ জনবলের অভাবে চলছে ধুঁকে ধুঁকে। একাধিক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদ থাকলেও একজন মাত্র বিজ্ঞানীর পদায়ন দিয়ে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কল্যাণপুরে ২৪ একর জমির ওপর লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রটি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রের তথ্যমতে, দেশে বর্তমান লাক্ষার চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদন হচ্ছে দেড় থেকে দুই শ মেট্রিক টন। এর ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। অবশিষ্ট লাক্ষা আমদানি করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে।
লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চল নাচোল উপজেলায় লাক্ষা চাষ বেশি হচ্ছে। তবে নতুন চাষি পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁরা চাষাবাদ করছেন, তাঁরা মূলত বাপ-দাদার পেশার অস্তিত্ব ধরে রাখতে লাক্ষা চাষ করছেন।
নাচোল উপজেলার লাক্ষাচাষি ইসমাইল আলী বলেন, তাঁরা বংশগতভাবে লাক্ষা চাষ করে আসছেন। প্রতিবছর ২৫-৩০ মণ লাক্ষা উৎপাদন করতেন। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল না থাকায়, লাক্ষা গবেষকদের অবহেলা, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে প্রায় বন্ধ করে দেন এ চাষ। তার পরও দুই বছর ধরে ৫-৬ মণ লাক্ষা চাষ করেছেন তিনি।
শিবগঞ্জ উপজেলার একসময়ে পুরোনো লাক্ষাচাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি মৌসুমে তিনি ৫০ থেকে ৬০ মণ লাক্ষা চাষ করতেন। দিন দিন আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব। আমবাগানে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে লাক্ষা চাষ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, লাক্ষা একটি লাভজনক ফসল। লাক্ষা মূলত কাঠের আসবাবপত্র ও পিতল বার্নিশ, স্বর্ণালংকারের ফাঁপা অংশ পূরণ, ওষুধের ক্যাপসুলের কোটিং, চকলেট ও চুইংগামের কোটিং, ডাকঘরের চিঠি বা পার্সেল সিলমোহরের কাজে ব্যবহার করা হয়। আবহাওয়াগত কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাক্ষা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় আম চাষ বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত লাক্ষার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়া লাক্ষার চাষ বাড়াতে তাঁদের কোনো গাফিলতি নেই।
বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য লাক্ষা। এর ব্যবহার বহুবিধ। তবে বর্তমানে হারিয়ে গেছে লাক্ষা চাষের সোনালি দিন। একসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেমিয়লাটা, বরই, বাবলা, কড়ইগাছের বাগানে লাক্ষা চাষ করা হলেও নানা সংকটের মুখে পড়ে বরইগাছে এখনো লাক্ষা চাষ করছেন চাষিরা।
তবে গবেষক সংকটের মধ্যে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সম্ভাবনাময় লাক্ষা চাষাবাদ। এ ছাড়াও জনবল সংকটে ধুঁকছে দেশের একমাত্র লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রটি।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রয়েছে দেশের একমাত্র লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্র। যদিও সেটি গবেষক-বিজ্ঞানীসহ জনবলের অভাবে চলছে ধুঁকে ধুঁকে। একাধিক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদ থাকলেও একজন মাত্র বিজ্ঞানীর পদায়ন দিয়ে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কল্যাণপুরে ২৪ একর জমির ওপর লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রটি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রের তথ্যমতে, দেশে বর্তমান লাক্ষার চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদন হচ্ছে দেড় থেকে দুই শ মেট্রিক টন। এর ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। অবশিষ্ট লাক্ষা আমদানি করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে।
লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চল নাচোল উপজেলায় লাক্ষা চাষ বেশি হচ্ছে। তবে নতুন চাষি পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁরা চাষাবাদ করছেন, তাঁরা মূলত বাপ-দাদার পেশার অস্তিত্ব ধরে রাখতে লাক্ষা চাষ করছেন।
নাচোল উপজেলার লাক্ষাচাষি ইসমাইল আলী বলেন, তাঁরা বংশগতভাবে লাক্ষা চাষ করে আসছেন। প্রতিবছর ২৫-৩০ মণ লাক্ষা উৎপাদন করতেন। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল না থাকায়, লাক্ষা গবেষকদের অবহেলা, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে প্রায় বন্ধ করে দেন এ চাষ। তার পরও দুই বছর ধরে ৫-৬ মণ লাক্ষা চাষ করেছেন তিনি।
শিবগঞ্জ উপজেলার একসময়ে পুরোনো লাক্ষাচাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি মৌসুমে তিনি ৫০ থেকে ৬০ মণ লাক্ষা চাষ করতেন। দিন দিন আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব। আমবাগানে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে লাক্ষা চাষ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণাকেন্দ্রের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, লাক্ষা একটি লাভজনক ফসল। লাক্ষা মূলত কাঠের আসবাবপত্র ও পিতল বার্নিশ, স্বর্ণালংকারের ফাঁপা অংশ পূরণ, ওষুধের ক্যাপসুলের কোটিং, চকলেট ও চুইংগামের কোটিং, ডাকঘরের চিঠি বা পার্সেল সিলমোহরের কাজে ব্যবহার করা হয়। আবহাওয়াগত কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাক্ষা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় আম চাষ বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত লাক্ষার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়া লাক্ষার চাষ বাড়াতে তাঁদের কোনো গাফিলতি নেই।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে